শিরোনামঃ

বান্দরবানে প্রথম আলো সাংবাদিক লাঞ্চিত হলো শ্রমিকদের হাতে

সিএইচটি টুডে ডট কম,বান্দরবান। অবৈধ ইটভাটায় বনের কাঠ পোড়ানোর ছবি তুলতে গেলে দৈনিক প্রথম আলো’র জেলা প্রতিনিধি বুদ্ধজ্যোতি চাকমাকে লাঞ্ছিত করেছে ইটভাটার শ্রমিকরা। আর এ ঘটনায় সোমবার প্রেসক্লাব চত্তরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করবেন স্থানীয়
সাংবাদিকরা।Buddojoti

জানা গেছে, রোববার বিকালে জেলা কৃষক দলের সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম কোম্পানির মালিকানাধীন সদর উপজেলার গুংগুরু খিয়াংপাড়া এলাকায় অবস্থিত এ.বি.সি নামে অবৈধ ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ ও কৃষি জমির মাটির ছবি তুলতে গেলে শ্রমিক সর্দার পরিচয়দানকারি মৌলভি শহর আলী ওরফে তাজুল প্রথম আলো’র প্রতিনিধি বুদ্ধজ্যোতি চাকমাকে অকথ্যভাষায় গালাগালি ও হামলার চেষ্টা চালান। পরে ভাটার মালিক ইসলাম কোম্পানীর উপস্থিতিতে তাঁকে লাঞ্ছিত করেন শ্রমিকরা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, গুংগুরু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বিএনপি নেতার এই ইটভাটা নির্মানের কারনে ভাটা থেকে নির্গত বিষক্ত কালো ধোঁয়ার কারন এবং কৃষি জমি কেটে মাটি বোঝাই করে আনার সময় ট্রাকের বিকট আওয়াজ এবং ধুলাবালিতে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ আচ্ছন্ন হয়ে থাকার কারনে উক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর ক্লাশ করতে পারেনা।
আরো জানা গেছে, উক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিগত বছরগুলোতে প্রভাবশালী বিএনপি নেতার এই অবৈধ ভাটাটি বন্ধ করার দাবীতে একাধিকবার জেলা শহরে মানববন্ধন করলেও প্রশাসন এই ব্যাপারে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
জেলা খিয়াং ছাত্র পরিষদের সভাপতি হ্লামং খিয়াং বলেন, ইটভাটাটি বন্ধের জন্য একাধিকবার মানববন্ধন, ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার পরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় গুংগুরুর খিয়াং আদিবাসিরা অভিযোগ করে বলেন, এবিসি নামে অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার মালিক মোহাম্মদ ইসলামের কাছে তারা আট বছর ধরে জিম্মি হয়ে রয়েছেন। প্রশাসনের সাথে এই ভাটার মালিকের সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও প্রতিবাদ সভা-সমাবেশ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়না, বরং স্থানীয়দের হুমকি দেওয়া হয়।
এদিকে প্রথম আলো’র জেলা প্রতিনিধি বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে আমি এটা আশাকরি।
স্থানীয়রা আরো জানান, প্রতিমন ৬০ টাকা করে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ির সরকারি বনাঞ্চল থেকে অবৈধ ভাবে জ্বালানি কাঠ নিয়ে আসা হয় এই ভাটায়। একদিনে ইঁভাটাটিতে সাড়ে তিনশ’ মন জ্বালানি কাঠ পোড়ানো হয়।
এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কেএম তারিকুল ইসলাম বলেছেন জেলায় একটিও বৈধ ইটভাটা নেই, ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 405 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen