শিরোনামঃ

বাংলাদেশের জয়, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার অভিনন্দন

সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। টসে হেরে বাংলাদেশের ইনিংসে শুরুতে চাপ, পরে ম্যাচে ফেরা, বড় স্কোর, বৃস্টির আক্রমণ, ম্যাচ বন্ধ, নতুন টার্গেট, পেসার রুবেলের হ্যাটট্রিক সবই হয়েছে প্রথম ম্যাচে। তবে শেষ হাসিটা হেসেছে মুশফিকরাই। ৪৩ রানের জয় তুলে মুশফিকরা সিরিজে  ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে। ২০১০ সালের সেই সিরিজের থেকে এখন পর্যন্ত মুশফিকরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা ৫ম জয়ে মুঠোবন্দি করেছে। বাংলাদেশের জয়ে খেলোয়ারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয়নেত্রী খালেদা জিয়া। _n
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ২০ ওভার যেতে না যেতেই বৃষ্টির আক্রমণ। ১০ মিনিটের বৃষ্টি খেলা বন্ধ রাখে এক ঘন্টার বেশি সময়। নিউজিল্যান্ডে বিপক্ষে টস হেরে মুশফিকরা সংগ্রহ করে ২৬৫ রান। আর জবাব দিতে নেমে নিউজিল্যান্ড বৃস্টির আগে করে ২০ ওভারে ৩ উইকেট ৮২ রান। নতুন টার্গেটে করতে হবে মোট ৩৩ ওভারে ২০৬ রান। হিসাব অনুযায়ী ১৩ ওভারে করতে হবে ১২৪ রান।

২৬৬ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ড দলীর ৯ রানেই ওপেনার রাদারফোর্ডকে হারায়। এরপর ডেভচিচকে হারায় দলের ৪৩ রানে। তৃতীয় উইকেট টেইলরকে দলীয় ৬০ রানে। সন্ধ্যার পর বেশ ভালোভাবেই চলছিল ম্যাচ। ২০ ওভারে ৮২ রানে দাঁড়িয়ে নিউজিল্যান্ড। দুই ব্যাটসম্যান এন্ডারসন ২০ রানে আর ইলিয়ট ২৮ রানে। ঠিক তখনই বৃষ্টির আক্রমণ। ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়।  কর্তনকৃত ওভারের ম্যাচ রেফারি ক্রিস বোর্ড ম্যাচের পরিধি কমিয়ে আনেন ৩৩ ওভারে। বৃষ্টি থেমে যাবার পর মাঠ  খেলার উপযোগি করতেই প্রায় এক ঘণ্টা পনের মিনিট সময় লেগেছে গ্রাউন্ডসম্যানদের। বৃষ্টি থামার পর ম্যাচ রেফারি দুই আম্পায়ারের সঙ্গে নিয়ে মাঠ পরিদর্শন করেন। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের নতুন টার্গেট দেয়া হয় নিউজিল্যান্ডকে। ৩৩ ওভারে মোট ২০৬ রান। আগেই ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ছিল স্কোর ৮২। হিসাব অনুযায়ী ম্যাককালামদের ১৩ ওভারে ১২৪ রান করতে হবে। ওভার প্রতি প্রায় ১০ রান।

এন্ডারসন আর ইলিয়ট তেড়ে ফুরে রিয়াদ-সোহাগকে চার-ছয় মারা শুরু করলে রান সংগ্রহ ওভারপ্রতি দশের বেশি হয়ে যায়। ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। পর পর তিন উইকেট শিকার করে হ্যাটট্রিক অর্জন করলেন আর দলকে ম্যাচে ফেরালেন পেসার রুবেল। রুবেল হলেন দেশের তৃতীয় বোলার ওডিআই ম্যাচে হ্যাটট্রিক অর্জনকারী। শেষ অবদি নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে সংগ্রহ করে ১৬২ রান। শেষদিকে ক্রিজে নামার জন্য ক্যান উইলিয়ামসন আঙ্গুলে ব্যথা পেয়ে আগেই হাসপাতালে চলে গিয়েছিলেন।

এর আগে টসে হেরে মুশফিকরা ব্যাট করতে বাধ্য হয়। আর অলআউট হবার আগে ২৬৫ রানের বিশাল স্কোর নিউজিল্যান্ডের সামনে চ্যালেঞ্জ হিসাবে দাঁড় করাতে মূল ভূমিকা পালন করলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও নাঈম ইসলাম। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ৯০ আর নাঈম ইসলাম করেন ৮৪ রান।

২৫ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ৫ রানে আর এনামুল ১৩ রানে সাঁজঘরে ফেরত যাবার পর মমিনুল হক রানের খাতা না খুলেই রান আউট হলে ড্রেসিং রুমে চাপটা আবারো বাড়িয়ে দেয়। সেই চাপ মুশফিক-নাইমের চতুর্থ উইকেট জুটি দেখেশুনে অবস্থা বুঝে সামাল দিলে স্কোরে জমা হয় ৪ উইকেটে ১৭৬ রান। ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ ভেঙ্গে যায় মুশফিক দ্বিতীয় সেঞ্চুরি মিস করলে। আর নাঈম তো নিজের প্রথম সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে অধৈর্যের কারণে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে দিলেন। ৫ উইকেটে ১৮১ থেকে ৪৯.৪ ওভারে ২৬৫ রান হবার পেছনে রিয়াদের ২৯, মাশরফির ১২ রান বড় ভূমিকা রাখে।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 257 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen