শিরোনামঃ

রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

পাহাড়ে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন দাবি ৩ সংগঠনের

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড়ে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসনের দাবি জোরদার করেছে ইউপিডিএফ সমর্থনপুষ্ট সংগঠনগুলো। শনিবার বিকালে রাঙামাটিতে তিন পাহাড়ি সংগঠনের যৌথ বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সরকারকে দাবিটি মেনে নেয়ার আহবান জানান নেতারা।
এ সময় তারা বলেন, পূর্ণ স্বায়ত্বশাসনই পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধানের স্থায়ী সমাধানের একমাত্র উপায়। তাই পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন ছাড়া পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আর পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে জুম্ম জনগণের আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে।
পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন দিবসে প্রচার মিছিল উপলক্ষে এ কর্মসূচি পালন করে ইউপিডিএফ সমর্থনপুষ্ট সংগঠন তিনটি। বিকাল সাড়ে ৩টায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের যৌথ উদ্যোগে সদর উপজেলার কুতুকছড়ি বাজার হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বড় মহাপুরম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে সমাবেশ করা হয়।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা শাখার আহবায়ক ধর্মসিং চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজলী ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিল বিকাশ চাকমা, জেলা শাখার সভাপতি কুনেন্টু চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দয়াসোনা চাকমা প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন আসেন্টু চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালের এদিন ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে জুম্ম জনগণের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসনের দাবি উত্থাপন করা হয়। সেই থেকে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে আসছে জুম্ম জনগণ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। অর্থ, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও ভারি শিল্প ব্যতীত সব ক্ষমতা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের নিকট হস্তান্তর করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক কাজলী ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত নারী ধর্ষণ, খুন, নির্যাতনসহ নিরীহ মানুষের ওপর নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কোনো সুষ্ঠু বিচার নেই। পাহাড়ি পাড়া-গ্রামে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে নিরীহ জনগণকে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে জুম্ম জনগণ। তখন সরকারকে চরম খেসারত দিতে হবে।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনিল বিকাশ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত হত্যাকান্ড ঘটছে। জুম্ম জনগণের স্বায়ত্বশান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন নস্যাত করে দিতে এসব দমনপীড়নের নীলনকশা বাস্তায়ন করছে সরকার। কিন্তু সরকারের এসব চক্রান্ত জুম্ম জনগণের আন্দোলনকে কখনও থামিয়ে দিতে পারবে না।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 271 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen