সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা এবং উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গত ৩ অক্টোবর পার্বত্য চট্রগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধনী) আইন ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাশ করার জন্য চুড়ান্ত করেছে। বাঙ্গালীদের কোন দাবী দাওয়ার সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন না রেখে এক তরফা বিল সংসদ পাস করলে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি হবে ও আগুন জ্বলবে। এর সরকারকে নিতে হবে। তিনি সংসদে বিলটি পাস না করার দাবী জানান। তিনি আরো বলেন-বিলটি পবিত্র সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক এবং পাবত্যাঞ্চলে পাহাড়ী বাঙ্গালীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবে যা সরকারে পক্ষে সামাল দেওয়া সহজ হবে না।
বিবৃতিতে তিনি বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজবীর কেন এত তাড়াহুড়া? কেন মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের ওসডি করে তাদের পাশ কাটিয়ে বিলটি চুড়ান্ত করেছেন? বিষয়টি সরকারের উচ্চ মহলে গভীরভাবে ভেবে দেখার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যে আইনে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বাঙ্গালী ও ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের স্বার্থকে বিকিয়ে দেওয়া হয়, যে আইনে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত ও অস্তিত্ব সংকটে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে, যে আইন পাশ হলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা অনিবার্য, যে আইন পাশ হলে সীমাহীন রক্তপাত ঘটবে, যে আইন পাশ হলে পার্বত্যাঞ্চল নিয়ন্ত্রণহীন ও অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে, যে আইন সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিবে, সে আইনকে পাশ করা দুরভিসন্ধিমূলক। সুতরাং এ আইন ও সংশোধনী পরিত্যাজ্য ও বাতিলযোগ্য।
বিবৃতিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমি আইন ২০০১ ও সংশোধনী ২০১৩ নিয়ে পার্বত্য বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সমেত, সূচিন্তিত, প্রজ্ঞাসম্পন্ন ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের দ্বারা আরোও উচ্চতর কমিটি গঠন করে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার দাবি জানান।