সিএইচটি টুডে ডট কম। প্রখ্যাত প্রবীণ সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর ইন্তেকালে রাঙামাটিতে শোক সভা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সর্বপ্রথম সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পন পরিবার। পত্রিকার সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক গিরিদর্পন পরিবারের সদস্যরাসহ রাঙামাটির সর্বপ্রথম অন লাইন দৈনিক সিএইচটি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক শামসুল আলম, জি টিভির রাঙামাটি প্রতিনিধি মিল্টন বাহাদুর, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ শাখার আলোকচিত্রী লিটন শীল, মোহনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি ফাতেমা জান্নাত মুমু প্রমুখ।
শোক সভা শুরুর আগে মরহুম সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর স্মরনে এক মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
শোক সভায় দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন গিয়াস কামাল চৌধুরী ছিলেন সাংবাদিকদের অভিভাবক। জাতীয় গণতান্ত্রিক ও পেশাজীবীদের অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ভয়েস অব আমেরিকার ঢাকা সংবাদদাতা হিসেবে তিনি বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে সমধিক পরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে একাধিক মেয়াদে তিনি ডিইউজে, বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুতে দেেেশর অপূরনীয় ক্ষতি হলো।
এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন ১৯৭৮ সনের ২৬ মার্চ থেকে অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রথম ও একমাত্র মুখপত্র সাপ্তাহিক বনভূমি প্রকাশনা শুরুর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের ইতিহাসে এক গৌরবউজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা হয়। ইতিহাসের এ সোনালী অধ্যায় সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর অবদান মুছে যাবার নয়।
এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন ১৯৭৮ সালের ২৬ মার্চ সাপ্তাহিক বনভূমির আত্মপ্রকাশের মধ্যে দিয়ে পর্বিত্য অঞ্চলে প্রথম সংবাদপত্রের জন্ম নেয়। সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরী এ পত্রিকার নামকরণ ও প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন। নাম বাছাইয়ের পর যথারীতি আনুসাঙ্গিক কাজকর্ম সম্পাদন করে ডিক্লারেশন পাওয়ার জন্য আইনগত জটিলতার কারণে পত্রিকা প্রকাশের বিলম্ব ঘটে।
এ সময় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৮১ ইং, ২১ ফেব্র“য়ারী ১৯৮২ ইং, দুটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশের পর ২৬ মার্চ ১৯৮৩ থেকে নিয়মিত প্রকাশনা শুরু হয়।