সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। দেশবাসীর চোখ আজ দুইনেত্রীর দিকে। আজ বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সন্ধ্যা ছয়টায় ফোন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। বিরোধীদলীয়নেত্রীর প্রেস সচিব মারুফ কামাল সোহেলও বিষয়টি মিডিয়া কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার দুপুর সোয়া একটা থেকে পৌনে দুইটা পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট লাল টেলিফোনে বার বার চেষ্টা করেও খালেদা জিয়ার ফোনে সংযোগ পাননি প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল জানান, শনিবার দুপুরে খালেদা জিয়া কোনো ফোন পাননি। এছাড়া লাল টেলিফোনে তিনি সাধারণত কথা বলেন না। এটা ঠিক আছে কিনা তাও জানা নেই। তবে সন্ধ্যা ছয়টায় খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে থাকবেন, সে সময় ফোন দেয়ার জন্য বিশেষ সহকারীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করবেন বলে কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে খালেদা জিয়া ১৮ দলের সমাবেশে শনিবারের মধ্যে আলোচনা শুরুর আলটিমেটাম দিয়েছেন। এ সময়ে আলোচনা শুরু না হলে রোববার ভোর থেকে টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে ১৮ দল।
এর আগে শুক্রবার গুলশানের একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী যেকোনা সময় বিরোধী দলীয় নেতাকে ফোন করতে পারেন আলোচনার
এদিকে, একটি সূত্রের দাবি, শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানের পদে ছাড় দিতে পারেন। এক্ষেত্রে তিনি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট অথবা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করতে পারেন।
গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সব দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কাছে তাদের প্রতিনিধিদের নাম আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন এবং এ আলোচনার আহ্বান জানিয়ে খালেদাকে সরাসরি ফোনও দেবেন।
দেশের দুইটি প্রধানদলেরর নেত্রীদ্বয়ের আলোচনা ফলপ্রুস হবে দেশ সংঘাতমুক্ত হবে শান্তিপুর্ন নির্বাচনের সবাই ছাড় দেয়ার মন মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাবা এমনটা প্রত্যাশা সবার।