সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। বিভ্রান্তিকর এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা সংলাপ চাই। কিন্তু সংলাপের নামে জনগণের কাছে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক।”
মঙ্গলবার সকালে ১৮ দলের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টা হরতালের শেষ দিন রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি মুখপাত্র বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিয়ে দিনক্ষণ ঠিক করা। আমরা সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা চাই বলে এই নয় যে, আমাদের মূল দাবি থেকে সরে এসেছি।
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাবকে ১৪ দলীয় সরকার দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সরকারের উদ্দেশে বলেন, “নিদর্লীয় সরকারের বিষয়ে আলোচনা করতে দ্রুত সময় নির্ধারণ করুন। কারণ বিএনপি নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়।”
সংলাপের ব্যাপারে বিরোধী দলের উদ্যোগে সরকার ইতিবাচক সাড়া দেয়নি অভিযোগ করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হলেও সরকারের পক্ষ থেকে সময়মতো জবাব দেয়নি। এতে প্রমাণিত হয় সংলাপে সরকারের স্বদিচ্ছার অভাব রয়েছে।”
সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংলাপ হতে হবে অর্থবহ। কেবল প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে অংশগ্রহণের জন্য নয়। সেখানে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে আলোচনা থাকতে হবে।”
হরতালে সারা দেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে- এমন দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন নেতারা হামলা চালিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিকে স্তব্ধ করে দিতে চাচ্ছে। কিন্তু তা সম্ভব নয়। দেশের জনগণ ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমে গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে শরিক হয়েছে।”
এসময় দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।