সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)। পাহাড়ের একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট পাবে না। যারা গৃহহারা হয়েছে ঘর নাই, তারা ঘর পাবে। কেউ বিনা চিকিৎসায় মরবে না। সকল ছেলে মেয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পাবে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওয়াতায় রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় বনযোগীছড়া, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নে তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীদের মাঝে ১০ টাকা মূল্যে চাল বিক্রির উদ্ভোধন কালে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানরা একথা বলেন।
তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল মৌলিখ অধিকার নিশ্চায়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তার মধ্যে হত দরিদ্রদের জন্য স্বল্প মূল্যে চাল সরবরাহ, ভিটা আছে ঘর নেই এমন পরিবারদের বাসগৃহ নির্মাণ, প্রান্তিক এলাকায় কমিনিউটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করণ, বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে স্কুল স্থাপন করছে সরকার।
মঙ্গলবার জুরাছড়ি বনযোগীছড়া ইউনিয়নের ধামাইপাড়া কেয়াং বাজারের ডিলার রাজেশ চাকমার দোকানে উদ্বোধন করা হয়। এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশিষ চাকমা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় হেডম্যান কার্ব্বারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে চলতি মাসের প্রথম সাপ্তাহে মৈদং ইউনিয়নের শীলছড়ি বাজার সংশ্লিষ্ট্য ডিলার অরুন চাকমার দোকানে ও দুমদুম্যা ইউনিয়নের বরকলক বাজারে সংশ্লিষ্ট্য ডিলার রনজিত চাকমার দোকানে উদ্বোধন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট্য ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বনযোগীছড়া ইউনিয়নে তালিকা ভুক্ত ১৩৫ জন, মৈদং ইউনিয়নে ১৩৫ জন ও দুমদুম্যা ইউনিয়নে ১৭৭ জন হত দরিদ্র নির্ধারিত কার্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রতি কেজি ১০ টাকা হারে ৩০ কেজি হারে ডিলারের নিকট থেকে চাল কিনতে পারবে।
উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, বছরের মার্চ ও এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর- প্রতি বছরের এই পাঁচ মাস দেশের গরিব মানুষের কষ্ট হয়। এ সময় বাজারে চালের দাম বাড়তির দিকে থাকে, তাই এই পাঁচমাস তাদেরকে প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এ কর্মসূচীর মাধ্যমে বছরে জুরাছড়ি উপজেলায় বনযোগীছড়া, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নে ৬৭ দশমিক ৫০ টন চাল বিতরণ করা হবে।