শিরোনামঃ

দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত এক বাসা নিয়ে

খাগড়াছড়িতে সাবেক ও বর্তমান দুই এমপি’র বাহাস

সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ২ অক্টোবর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূইয়া তাঁর ব্যক্তিগত ই-মেইল থেকে mp v mp news khagrachari 04.10.2014 --গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে একটি বিবৃতি প্রেরণ করেন।
সেই বিবৃতি থেকে জানা যায়, কালেক্টরিয়েট এলাকায় পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্মিত একটি বাড়ীতে বতর্মান সংসদ সদস্য উঠছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই এই অব্যবহৃত বাড়ীটি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য তৈরী করা হলেও অর্থ সাশ্রয়ের জন্য সেই কর্মকর্তা বাড়ীটিতে উঠেননি। পরিচর্যার অভাবে বাড়ীটি এরিমধ্যে একেবারেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
ওয়াদুদ ভূইয়া প্রেরিত বিবৃতিতে বাসাটি সংসদ সদস্যের নামে বরাদ্দের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীর জন্য নির্মিত ও বরাদ্দকৃত সরকারী বাসা খাগড়াছড়ির সরকারদলীয় এমপি কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরার ব্যবহারের জন্য সাজসজ্জা চলছে, যা সরকারি বিধি মোতাবেক অবৈধ। ঢাকায় এমপি হোস্টেল ও ন্যাম ভবনে বরাদ্দকৃত বাসা ব্যতিত কোনো সংসদ সদস্য নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরকারী কোনো বাসা বরাদ্দ পান না, পেতে পারেন না। সরকারী কর্মকর্তার জন্য বরাদ্দকৃত অথবা যেকোনো সরকারী বাসা কোনো সংসদ সদস্যের জন্য বরাদ্ধ বা ব্যবহার বৈধ নয়।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা জানান, অনেকদিন ধরেই বাড়ীটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এমপি মহোদয় ভাড়ার ভিত্তিতে এটি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই পরিষদের আইনী ক্ষমতা এবং স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখেই এটি ভাড়া দেয়া হচ্ছে।
সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, ওয়াদুদের অভিযোগগুলোর জবাবে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ওয়াদুদ ভূইয়া যে বিবৃতি গণমাধ্যমে দিয়েছেন, তা আমি সংগ্রহ করেছি। বিবৃতিতে তিনি আমাকে এমপি হিসেবে মেনে নিয়ে তার অভিযোগের বিষয়ে সরকারকে আহবান জানিয়ে বর্তমান সরকারকে স্বীকার করাই আমি তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি জেলা পরিষদের আলোচিত বাসা বরাদ্দের বিষয়ে জানান, পরিষদের বাসা বরাদ্দের জন্য আমি লিখিত আবেদন করলে পরিষদ নিয়ম মেনেই তা মঞ্জুর করেছে এবং পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত বাসায় উঠেননি এবং আর নেবেন না মর্মে আগেই লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করেই বলেন, ‘‘আমারতো কোটি টাকা নেই যে, ওয়াদুদ ভূইয়ার মত জেলা শহরের কলাবাগানে ‘বৈঠক’র মতো কোটি টাকার বিলাসবহুল বাড়ী করব’’!
গাড়ী ব্যবহারের প্রসঙ্গে তিনি জানান, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনায় যাতায়াতের স্বার্থে একজন সংসদ সদস্য হিসেবে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট নিয়ম মেনেই জনস্বার্থে ব্যবহার করছি। ওয়াদুদ ভূইয়া নিজে এমপি হবার পর দীর্ঘদিন জেলা পরিষদের কয়েকটি যানবাহন পারিবারিক কাজে নিয়োজিত রেখেছিলেন সম্পূর্ন অবৈধভাবেই।
তিনি ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালের বিএনপি-জামাত শাসনামলের দুঃসহ জীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন,বর্তমান সরকারের আমলে খাগড়াছড়ি জনগণ শান্তিতে রয়েছে। এখানকার সরকার সমর্থিত ঠিকাদারদের পাশাপাশি বিএনপি’র ঠিকাদাররাও সমানতালে ঠিকাদারী কাজ পাচ্ছে। ওয়াদুদ ভূইয়ার উচিত অতীতের মতো নোংরামি ভুলে জনগণের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের চেষ্টা করা।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 1,027 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen