বান্দরবান জেলা সদর থেকে নীলগিরির দুরত্ব প্রায় ৪৭ কিলোমিটার, এই সড়কে রয়েছে, চিম্বুক,শৈলপ্রপাত, জীবন নগর, মিলনছড়ি,বগালেক, ক্রেউক্রাডং,তাজিংডং সহ আরো অনেক বিশ্বজয়ী পর্যটন স্পট।উচু নিচু সর্পিল পাহাড়ি পথ বেয়ে দ্রুত গতিতে হর্ন ছাড়াই, গাড়ি চলার সময় দুরদুরান্ত থেকে আগত পর্যটকরা ও স্থানীয় জনসাধারনরা অনভিজ্ঞ চালকের কারনে চরম বিপর্যস্ত অবস্থায় সন্মুখীন হচ্ছে, জীবন বাজি রেখে পাড়ি জমাচ্ছে নীল পাহাড়ের পাদদেশে।
.
তথ্য সুত্রে জানা যায়, গাড়ির চালকদের বেআইনি ও বেপরোয়া গাড়ি চালনায়, গত ৩ মাসে চিম্বুক – নীলগিরি সড়কে ৩-৪ টি সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত হয়েছে, এর মধ্য মাহিন্দ্র গাড়ি,মোটর সাইকেল, মাইক্রোবাস, চান্দের গাড়ি উল্লেখযোগ্য।
গেল ২-৩ মাসে উক্ত সড়কে ঝরে যায় অকালে ৪ টি তাজা প্রান, আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক পর্যটক। দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধি পাওয়ায় উক্ত সড়ক কাল হয়ে দাড়িয়েছে স্থানীয় জনসাধারন ও পর্যটকদের।
.
সওজ অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় চিম্বুক -নীলগিরি সড়কে উচু নিচু বিপদজনক মোড়ে স্পীড- ব্রেকার ও স্ট্যান্ডিং গ্লাস এর ব্যবহার বাড়ানো হয়, এবং মোড়ে ঘুরার সময় যথাযথ ভাবে হর্ন বাজানো হয়,তবে সড়ক দুর্ঘটনায় কিছুটা রোধ হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
.
কারন পর্যটন এলাকা হিসেবে উক্ত সড়কে পরিবহন সার্ভিস বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সড়কের বিপদজনক বাঁক ও মোড় গুলোতে চাহিদামুলক স্পীড ব্রেকার ও স্ট্যান্ডিং গ্লাস না থাকায় বান্দরবান – রুমা উপজেলা অাওতাধীন চিম্বুক -নীলগিরি সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ধারনা করেন স্থানীয়রা। এতে সওজ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ ও ভুমিকা অতীব প্রয়োজন।
লেখক: সুজন মারমা সুজন, নিয়মিত পাঠক, সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান।