শিরোনামঃ

রাঙামাটিতে ইউপি নির্বাচন

এবার ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ জনসংহতি সমিতির

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের আঞ্চলিক দলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের পর এবার আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতি পাল্টা অভিযোগ করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এক আবেদনে তারা অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর অহেতুক হস্তক্ষেপ, অপপ্রচার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হয়রানি করছে। PCJSS
জনসংহতি সমিতির পক্ষে রাঙামাটি জেলা সভাপতি সুর্বন চাকমা এবং সাধারন সম্পাদক নীলোৎপল খীসা স্বাক্ষরিত ইসির কাছে পাঠানো আবেদনে বলা হয়, সারাদেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০১৬-এর অংশ হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলাধীন ইউনিয়নগুলোর নির্বাচনও ৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। আর তখন থেকেই রাঙামাটি জেলার ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নিরাপত্তা বাহিনী যোগসাজসে নির্বাচন নিয়ে অহেতুক হস্তক্ষেপ, অপপ্রচার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হয়রানি ইত্যাদি নির্র্বাচন পরিপন্থী কার্যক্রম শুরু করে। তারই অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করা ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলাধীন ইউপি নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধ এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অজুহাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গত ২৪ মার্চ ২০১৬ রাঙামাটি শহরে এক তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের আয়োজন করে। এর পরপরই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ রাঙামাটি জেলাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নে ‘সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে’ আওয়ামীলীগের অনেক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারার ষড়যন্ত্রমূলক ও ভিত্তিহীন অজুহাত তুলে। তারই প্রেক্ষিতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন (২৭ এপ্রিল) অতিক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৯ এপ্রিল ২০১৬ রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ৪৯টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
জেএসএস থেকে আরো দাবি করা হয়, আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের বাধা দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। জনসংহতি সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার হীন উদ্দেশ্যে আওয়ামীলীগ নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনী সহযোগিতায় এ ধরনের ষড়ষন্ত্রমূলক প্রচারণা চালাতে থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না করায় আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যায়ে জনসমর্থন হারিয়েছে বলে অনেকের অভিমত রয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীরা সেটা বুঝতে পেরে দলীয় নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস না করার কারণে দলীয় প্রতীক (নৌকা মার্কা) নিয়ে অনেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী ছিলেন না। সেসময় দলীয় প্রতীক না নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাঙ্গামাটি জেলাধীন অনেক ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যেমন- রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন বালুখালী ইউপিতে অমর কুমার চাকমা ও বন্দুকভাঙ্গা ইউপিকে পংকজ চাকমা; জুরাছড়ি উপজেলাধীন জুরাছড়ি ইউপিতে মিতা চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপিতে সুরেশ কান্তি চাকমা ও মৈদুং ইউপিতে লাল বিহারী চাকমা প্রমুখ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ দলীয় নৌকা প্রতীক না দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
নেতৃবৃন্দ আরো অভিযোগ করেন. রাঙামাটি জেলাধীন ইউপিগুলোর নির্বাচন স্থগিত করার সাথে সাথে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী বিভিন্ন জায়গায় তল্লাসী অভিযান জোরদার করে। নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ প্রার্থীদেরকে ভোট দিতে জনসাধারণকে নির্দেশ দিতে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলাধীন ইউনিয়ন পরিষদগুলোর নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসির কাছে আবেদন জানানো হয়।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 393 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen