শিরোনামঃ

আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুইনুদ্দীনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় রোবরাব

সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রধান দুই আসামি  আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুইনুদ্দীনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় রোবরাব ঘোষণা করা হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেছেন।
বিগত পাঁচ মাসে এ মামলার অভিযোগ আমলে নেয়া, অভিযাগ গঠন করা, সাক্ষ্যগ্রহণসহ যুক্তি উপস্থান সম্পন্ন হয়। এরপর মামলাটি রায়ের জন্য সিএভি (অপেক্ষমাণ) রেখে দেয় ট্রাইব্যুনাল।

গত মে মাসে এ মামলার কার্যমক্রম শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার পরিসমাপ্তি ঘটে।  asraf mauin

পলাতক এই দুইজনের পক্ষে যুক্তি উস্থাপন করেন রাষ্ট্রীয় খরচে নিয়োগ পাওয়া দুই আইনজীবী আব্দুস শুক্কুর খান ও সালমা হাই টুনি।  এর আগে প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান তিন দিন তার যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন করেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। পলাতক এ দুই অভিযুক্তের পক্ষে কোনো সাক্ষী না থাকায় ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে এ মামলায় প্রসিকিউশন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করে ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ করে।

চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত ২৪ জুন ১১টি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল-২ এ অভিযোগ গঠন হয়।

গত ২ মে দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল ট্রাইব্যুনাল। তাদের গ্রেফতার করতে না পারায় তাদের হাজির হতে দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও হাজির না হওয়ায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

১৫ জুলাই প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন শহীদ অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমেদের ভাগ্নি মাসুদা বানু রত্না। পরে আরো সাক্ষ্য দেন শহীদ মুনীর চৌধুরী, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন, অধ্যাপক সিরাজুল হক খান, সাংবাদিক সিরাজ ঊদ্দিন হোসেন, সৈয়দ নাজমুল হক, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, ডা. আব্দুল আলীম চৌধুরী, ডা. ফজলে রাব্বি, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর সন্তানরা, সাংবাদিক আ ন ম গোলাম মোস্তফার ছেলে ও ভাই, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার, চিকিৎসক মোহম্মদ মর্তুজার স্ত্রী’র ভাই ওমর হায়াৎ, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমেদের বোন ফরিদা বানু, রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে বেঁচে ফিরে আসা একমাত্র ব্যক্তি দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ফেনীর বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা শরীয়ত উল্লাহ বাঙালি এবং একাত্তরে আশরাফুজ্জামানের ভাড়া বাসার মালিকের ছেলে আলী সাজ্জাদ।

এছাড়া তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে দেয়া আরো চারজন সাক্ষীর জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা করে ট্রাইব্যুনাল। তারা হলেন- স্বাধীনতার পরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তকারী তৎকালীন এনএসআই কর্মকর্তা সামাদ তালুকদার, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়ার চৌধুরীর ছেলে তাসলিম হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর ছেলে মিশুক মুনীর ও ফেনীর বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ।

আশরাফুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বেজড়া ভাটরা (চিলেরপাড়) গ্রামে। চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বাড়ি ফেনীর দাগনভুঞার চানপুরে।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 228 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen