শাহ্ আলম। আমাদের দাবি, সকলের দাবি আমরা মানুষ। বলতে দ্বিধা নেই, আমরাই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব। কথাগুলো কেউ অস্বীকার করতে চাইবেনা কখনও, আশা করি। মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আমাদের কাছে পৃথিবীর অনেক কিছু চাওয়া, যা চির-কল্যাণকর সমাজের কাছে।
এজন্যই বিধাতা তার সর্বোত্তম সৃষ্টিরূপে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন আমাদের। আর, এই আমরাই যখন সব ভুলে লিপ্ত হই খারাপ কোন কাজে, খারাপ জেনেও অনবরত করে যাই সেই খারাপ কাজগুলো, তখন কোথায় থাকে আমাদের মনুষ্যত্বের দাবি?? এর উত্তর দেয়ার সামর্থ্য হয়ত আমাদের কারো নেই।
মূল কথায় আসি ……
বর্তমানে বাংলাদেশেসহ সারা বিশ্বে ফেইসবুক হচ্ছে একটি সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম এক মাধ্যম। ১দিনে ২৪ঘন্টার মধ্যে অনেকটা সময় আমরা অতিবাহিত করি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইজবুকে। একটু ইচ্ছা থাকলেই আমরা আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ সব ধারনাগুলো দিয়ে সুন্দর করতে পারি নিজের জীবন ও অন্য-আন্যানদের জীবন। সাহায্য করতে পারি একে অপরকে। জানি, এ খুবই সামান্য। কিন্তু এই সামান্যই একদিন অনেক বড় হয়ে হাজির হবে আমাদের সামনে। আফসোস ……. ভালো কোন কাজে অংশগ্রহন সহজেতো নেই-ই, বরং খারাপ কাজে আমাদের উৎসাহ বেড়েই চলছে। বিধাতা আমাদের এই সুন্দর দেহের মাঝে পবিত্র-অপবিত্র অনেক কিছুই রেখেছেন। যা আমাদের অতি-প্রয়োজনীয়। কিছু মানুষ, যারা পবিত্র সব অঙ্গগুলোর সর্বোত্তম প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার না করে, অপবিত্র অঙ্গ নিয়ে অপ্রয়োজনীয় বিশ্লেষণ করে বিসর্জন দেয় নিজের মনুষ্যত্বকে।
অপবিত্র সব আগ্রাসী প্রভাবে মানুষের হারিয়ে যায় পবিত্র অনেক কিছুই। এরই উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে দাঁড়া করানো যায় কিছু ফেইজবুকের পেইজ এডমিনদেরকে, যাদের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে হল ১৮+ ফেইজবুক পেইজ। মানুষের মন-মানসিকতার নিকৃষ্টতম ধ্বংসত্বক ব্যবহার লক্ষ করা যায় এখানে। লক্ষ্য করলে দেখা যায় কিছু ইউজারও (ফেইজবুক ব্যবহারকারী) আছে, যারা তাদের পোষ্টে লাইক/কমেন্ট/শেয়ার করে উৎসাহিত করে ঐসব নিকৃষ্ট-মনা মানুষদের। নোংরা দুর্গন্ধের মতো লিখিত-ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে খারাপ চিন্তা ভাবনা নিয়ে কিছু মানুষের ভিতরে। আর ধ্বংস করে দিচ্ছে মানুষের সুচিন্তা/মুক্ত চিন্তার মনোভাবকে। যা একটি মানুষের মন মানসিকতার ভিতরে চাপ সৃষ্টি করে এবং নোংরা দুর্গন্ধের মন মানসিকতার আবরণ তৈরী করে। পতিতালয়ের রমণীদের/পতিতালয়ে গমনকারী মানুষেরও সামান্যতম একটা লজ্জাবোধ থাকে। যে কারণে তারা তাদের কার্য-সম্পাদন করে অতি গোপনে। অপরদিকে যারা এরই সমপর্যায়ের কোন কাজ উন্মুক্ত-ভাবে করে থাকে, তাদেরকে কি নামে সম্বোধন করবেন আপনি ?????? এটা আমার প্রশ্ন?
জানি উত্তর জানা নেই কারও… এদের ক্ষেত্রে বেহায়াপনার সীমানা নির্ধারণ করা তো দূরের কথা, কল্পনা করাও খুব কঠিন। ধিক্কার জানাই তাদের, যারা বিধাতার সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত কে পদদলিত করছে নোংরা ভাবে।
একবার ভাবুনতো …...
কি এমন মহামূল্যবান রতœা আছে?? এসবের সার্থকতা কোথায় ???? কি লাভ এসব বেহায়াপনায়????
সময় আছে…শুধরে নিন নিজেকে, পবিত্র রাখুন আপনার জীবন। আসুন…আজই আমরা ফেইজবুক বা ফেইজবুক পেইজ আনলাইক (টহষরশব) করে দেই ঐসব ফেইজবুক পেইজ গুলো (১৮+)। যেসব পেইজ মানুষের চিন্তা ধারাগুলো নোংরামীর পথে নিয়ে যায়। আসুন খারাপ কিছু পরিত্যাগ করে একটা ভালো কাজ করি এবং অপরকে করার পরামর্শ দেই। দেখবেন, উৎসাহ না পেয়ে একদিন দেখবেন ধ্বংস হয়ে যাবে ঐসব ফেইজবুক পেইজ (১৮+) এডমিনরা। ধ্বংস হয়ে যাবে মানুষের নোংরা মানসিকতা ও চিন্তাধারা।
আসুন একটা প্রতিজ্ঞা করি ….………
মানুষের জীবন নষ্ট-কারি ঐসব ফেইজবুক পেইজ থেকে সরিয়ে নেবো নিজেকে এবং ফিরিয়ে আনবো প্রিয় সব বন্ধু-বান্ধবীদের।
যাতে নতুন প্রজন্ম নোংরা মন-মানসিকতার প্রত্যয়কে পরিত্যাগ করে, বাংলাদেশকে একটি খাঁটি সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
লেখক: শাহ আলম, রাঙ্গামাটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
বি:দ্র: লেখাটি লেখকের একান্ত ব্যাক্তিগত।