সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আমরা সামনে যেতে চাই আর আমাদের বিরোধীদলীয় নেত্রী পেছনে ফিরে যেতে চান। উনারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পছন্দ করেন না।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, “আমি সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিলাম, বিএনপি নেত্রীর তা পছন্দ হলো না। তিনি ফিরে গেলেন অনেক পেছনে। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে। এটা ২০১৩ সাল, আমরা চাই সামনে এগিয়ে যেতে, জনগণ আর পেছনে ফিরতে চায় না। সংবিধান অনুযায়ীই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, “এখন বিএনপি নেত্রী ১৯৯৬ সালে ফিরে যেতে চান। অথচ নির্বাচনের পর সেই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের বাড়িতে তিনি ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের পাঠিয়েছিলেন হামলা করার জন্য। আমরা তার নিরাপত্তা দিয়েছিলাম।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা উন্নয়নে বিশ্বাস করি, নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার চেয়ে বেশি কাজ করেছি। আর বিএনপি ক্ষমতায় এলেই দুর্নীতি করে। বিএনপি নেত্রীর ছেলে দুর্নীতি করে বিদেশে ধরা খেয়েছেন। তাদের কারণে আমাদের লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায়।”
“যারা এতিমের টাকা মেরে খান তারা দেশের মানুষকে কী দেবেন” প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর।
বিএনপি সরকারের সঙ্গে তার সরকারের তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় এসে কৃষকের পেটে লাথি মেরেছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে। তারা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আর আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে ভাবে। আওয়ামী লীগের আমলে দেশের সুদিন ফিরে এসেছে।”
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপির আমলে একটি মোবাইলফোনের দাম ছিল এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর এখন এক হাজার টাকায় মোবাইলফোন পাওয়া যায়।”
হাসিনা বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল। সেই বিচার আমরা শুরু করেছি। আমাদের বিএনপি নেত্রীর মনে এখন খুব দুঃখ। কারণ তিনি যে নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন তারা এখন বিচারের মুখোমুখি।”
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, “আমি বিরোধী দলীয় নেতাকে সংলাপের আহ্বান জানালাম, আর তিনি গরু খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শাপলা চত্বরে হেফাজতকে বসালেন, ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন।”