পাহাড়ের জীবন ধারা – সিএইচটি টুডে http://www.oldsite.chttoday.com news site Mon, 02 Apr 2018 11:40:30 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=4.9.25 নানা আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সমূহ পালন করবে “আর্ন্তজাতিক আদিবাসী” দিবস http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a7%9f%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%83-%e0%a6%97%e0%a7%8b/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a7%9f%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%83-%e0%a6%97%e0%a7%8b/#respond Mon, 08 Aug 2016 13:50:23 +0000 http://www.chttoday.com/?p=27048 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড় এবং সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সমুহ কাল মঙ্গলবার... বিস্তারিত.... »

The post নানা আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সমূহ পালন করবে “আর্ন্তজাতিক আদিবাসী” দিবস appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড় এবং সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সমুহ কাল মঙ্গলবার ৯আগষ্ট নানা আয়োজনে পালন করবে আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে র‌্যালী আলোচনা সভা। সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীতে পাহাড়ীদের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও পাহাড়ীরা আদিবাসী হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।DSCF2384-
ভুমি, শিক্ষা এবং জীবনের অধিকার এই প্রতিপাদ্যক সামনে রেখে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সমূহ পালন করবে আদিবাসী দিবস। বিভিন্ন দেশে যুগ যুগ ধরে বসবাসরাত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগুলোকে প্রয়োজনীয় স্বীকৃতি ও মুল্যায়ন করার লক্ষ্য ১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারন অধিবেশনে ব্যাপক আলোচনা হয়। ২০০৪ সালে ২২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারন অধিবেশনে ২০০৫ সাল হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়কালকে আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষনা করে। সেই থেকে পাহাড়ে আদিবাসীরা ৯ আগষ্টকে আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে পালন করে। পাহাড়ীদের দাবীর প্রেক্ষিতে আগের মেয়াদে বর্তমান সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীতে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এবার দিবসটি পালনের পুর্বে সরকার পার্বত্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের আইনের সংশোধনী খসড়া মন্ত্রীসভায় অনুমোদন দেয়। দিবসটি উপলক্ষে ৩ র্পাবত্য জেলায় পাহাড়ী সংগঠনগুলো নানা কর্মসুচী হাতে নিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় আলাদাভাবে কর্মসুচী পালন করছে বিভিন্ন সংগঠন।

দিবসটি উপলক্ষে চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেছেন, যেভাবে তারা পরিচিত হতে চায় সেভাবে সংবিধানে আসেনি, বিভিন্ন শব্দে উপজাতীয় বা ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী নামে এসেছে। আমি বলব শব্দগুলো যথাযথ না, তবে স্পিরিডটা ঠিক আছে। আদিবাসী শব্দটি দিলেও যে দেশের জন্য হুমকি হবে এর সাথে আমি একমত নই। সংবিধানে সেই কাঙ্খিত স্বীকৃতি না আসা পর্যন্ত অনেক বিষয় বর্তমান সংবিধানের আলোকেও করা যায়। আমাদের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কত, ভুমির মালিকানা কি, তাদের শিক্ষার হার কত, তাদের খাদ্য নিরাপত্তার অবস্থা কি, কোন জনগোষ্ঠীর কি প্রয়োজন, কে পিছিয়ে আছে কে এগিয়ে আছে এসব বিষয়ে যদি সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে তাহলেও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সমূহ অনেকটা এগিয়ে আসতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য কিছুটা হলেও জেলা পরিষদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান পদে কিছুটা পাহাড়ী পাচ্ছি কিন্তু সমতলের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সমুহ এর কিছুই পাচ্ছে না। তারা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত সরকারের উচিত তাদের জন্য আলাদা উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহন করা।
তিনি সমতলের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জন্য আলাদা ভুমি কমিশন গঠনের দাবি জানান।

রাঙামাটির সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার বলেছেন, সারাবিশ্বে আদিবাসীদেরকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও সরকার আমাদেরকে আদিবাসী হিসেবে গ্রহন করতে পারেনি। যেখানে সরকারের উদ্যেগে দিবসটি পালন করার কথা কিন্তু দিবসটি পালন করা হচ্ছে না। এখানে আদিবাসী শব্দটি নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়ায় যে পাহাড়ীরা আগে এসেছে নাকি বাঙালীরা আগে এসেছে আসলে আদিবাসী শব্দটি সেখান থেকে আসেনি। আসলে আদিবাসী বলতে আগে আসা নয়, যারা সুবিধা বঞ্চিত, অধিকার বঞ্চিত, যারা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তাদের আদিবাসী বলে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের মধ্যে বরফ গলতে শুরু করেছে যেভাবে সরকার ভুমি কমিশন আইন সংশোধন করার উদ্যেগ নিয়েছে তেমনি করে সরকার আদিবাসী শব্দটা স্বীকার করে উদার মনে পরিচয় দিবেন। তিনি সরকারের কাছে জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ আইন কার্যকরসহ শান্তি চুক্তি পুনাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি জানান।
দিবসটি উপলক্ষে এছাড়া আদিবাসী ফোরাম সহ অন্যান্য সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী ঘোষনা করে। এর মধ্যে রয়েছে- ৭ আগস্ট দিনব্যাপী সিরডাপ মিলনায়তনে আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের অনুষ্ঠান, ৮ আগস্ট বিকালে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন টিএসসিতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়নের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ৯ আগস্ট সকাল ১০টায় আদিবাসী দিবসের দিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের মূল অনুষ্ঠান- সমাবেশ, র‌্যালী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সুলতানা কামাল উদ্বোধক এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাশেদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া ১০ আগস্ট এএলআরডি ও ১০টির অধিক সংগঠন মিলিতভাবে আদিবাসীদের ভূমি অধিকার নিয়ে সেমিনার আয়োজন করবে সিরডাপ মিলনায়তনে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানেও পালন করা হবে দিবসটি।

এদিকে “আদিবাসী” শব্দ ব্যবহার এবং স্থান ব্যবহারে সরকার থেকে সংশ্লিষ্টদের সর্তক হওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।

Share This:

The post নানা আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সমূহ পালন করবে “আর্ন্তজাতিক আদিবাসী” দিবস appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a7%9f%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%83-%e0%a6%97%e0%a7%8b/feed/ 0
কাল চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়ের বিবাহ অনুষ্ঠান http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%b7-%e0%a6%b0%e0%a6%be/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%b7-%e0%a6%b0%e0%a6%be/#respond Thu, 03 Jul 2014 17:39:04 +0000 http://www.chttoday.com/?p=7211 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। কাল শুক্রবার চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায় ও... বিস্তারিত.... »

The post কাল চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়ের বিবাহ অনুষ্ঠান appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। কাল শুক্রবার চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায় ও য়েন য়েন এর সাথে রাঙামাটির রাজবাড়ীতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ বিবাহ Raza---অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চাকমা রাজ পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি শহরের ত্রিদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত কয়েক বছর পর চাকমা রাজবাড়ীর স্থানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিবাহ অনুষ্ঠান আয়েজন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্নের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ অনুষ্ঠানের অপেক্ষা। শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানিকভাবে চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় ও য়েন য়েন-এর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সামাজিক রীতির মধ্য দিয়ে এই এ বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। এ অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের প্রায় চার হাজার ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রিত অতিথি থাকবেন।
শুক্রবার বিকালে কনে য়েন য়েন তার বাবা মহেশখালীর বাসিন্দা উমং রী এবং মা বান্দরবানের বাসিন্দা দপু ম্যা খাইনসহ কনের পক্ষের লোকজন রাঙামাটিতে পৌঁছার কথা রয়েছে। এর পর সন্ধ্যার দিকে চাকমা রাজ দরবারে আনুষ্ঠানিকভাবে সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হবে। যদিও চাকমা রাজার এটি দ্বিতীয় বিবাহ অনুষ্ঠান হলেও নতুন প্রজন্মের কাছে রাজার বিয়ে অনুষ্ঠান দেখার অগ্রহের কমতি নেই। পার্বত্যবাসীসহ সবাই এখন চাকমা রাজার বিবাহ অনুষ্ঠান দেখার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় এডিলেডে বাংলাদেশের রাখাইন সম্প্রদায়ের মেয়ে য়েন য়েনের সাথে শুভ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ফেসবুক ষ্ট্যাটাসে বিবাহ বন্ধনের অসংখ্য যুগল ছবিও পোষ্ট করেছেন। প্রয়াত রানী তাতু রায় মারা যাওয়ার প্রায় এক যুগ পর দ্বিতীয়বারের মত শুভ বিবাহ পরিনয়ে আবদ্ধ হলেন চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়। বিবাহ বন্ধনের খবর ও ছবি চাকমা রাজা তার ফেসবুক ষ্ট্যাটাস দেয়ার পর অনেকে নতুন এই যুগলকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
প্রায় ৬ মাসেরও অধিক সময় তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন। চাকমা রাজার পক্ষে রাজমাতা আরতি রায় অতিথিদের ছেলের বিয়েতে নিমন্ত্রন পত্র পাঠিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এক ছেলে রাজ কুমার ত্রিভূন আর্য্য দেব রায় এবং এক মেয়ে রাজ কুমারী আয়েত্রী আরাধনা রায়কে রেখে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে রানী তাতু রায় ১৯৯৮ সালে প্রয়াত হন। দীর্ঘ এক যুগের অধিক সময় ধরে সঙ্গীনীহীন থাকার পর এ বছর রাজা দ্বিতীয়বারের মত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন।
এই শুভ পরিনয়ে চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় ও তার সহ ধর্মীনি য়েন য়েনকে সিএইচটি টুডে ডট কম পরিবারের শুভেচ্ছা।

Share This:

The post কাল চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়ের বিবাহ অনুষ্ঠান appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%b7-%e0%a6%b0%e0%a6%be/feed/ 0
পাহাড়ের ম্রো জনগোষ্ঠী http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a7%80/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a7%80/#comments Sun, 02 Mar 2014 16:26:48 +0000 http://www.chttoday.com/?p=4739 ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি। ভারত মায়ানমারের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের এক দশমাংশ ভূমি পার্বত্য... বিস্তারিত.... »

The post পাহাড়ের ম্রো জনগোষ্ঠী appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি। ভারত মায়ানমারের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের এক দশমাংশ ভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম। এককালে অধিক তুলা DSC06757উৎপাদন হত বলে বৃহত্তর এই পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিচিতি ছিল কার্পাস মহল নামে। ১৮৬০ সালে সর্ব প্রথম পৃথক জেলায় রূপান্তরিত হয় এটি। অতঃপর ১৯৮৩ সালে বান্দরবান এবং পরে খাগড়াছড়িকে জেলায় উন্নীত করে রাঙামাটিসহ তিনটি জেলায় বিভক্ত করা হয় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামকে। পাহাড়ি অঞ্চল এই পার্বত্য জেলা সমূহে বসবাসরত আদিবাসীদের নৃতাত্ত্বিক ইতিহাস অতি সুপ্রাচিনকালের। ইতিহাসের মূল উপাত্ত খুঁজে পাওয়া না গেলেও খ্রিষ্টিয় ৫ম শতাব্দীর দিক থেকে আদিবাসীদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সেই আদিকাল থেকে যুগ যুগ ধরে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে আসছে ১০ ভাষাভাষি ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি। বৈচিত্র এই জনগোষ্ঠি সমূহের জীবন ও সংস্কৃতি যেমন চিরাচরিত ঐতিহ্যে লালিত তেমনি বর্ণিল ও নান্দনিক। তাদের বর্ণিল সামাজিক ও সংস্কৃতি জীবন ধারা খুবই সুন্দর ও দর্শনীয়। এ সমস্ত সামাজিক ও সংস্কৃতির জীবন ধারা জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই তিনটি সূত্রে চির গাথা।
এ অঞ্চলে বসবাসরত ১০ ভাষাভাষি ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি হল চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা বা টিপরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, চাক, খুমী, পাংখোয়া, লুসাই ও খিয়াং। প্রত্যেকটি জাতিরই নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতার দিক দিয়ে ক্রমানুসারে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাই প্রধান। এসংখ্যায় দেখুন ম্রো জনগোষ্ঠীর জীবন ধারা।
ম্রো জনগোষ্ঠি
‘ম্রো’ শব্দের অর্থ হচ্ছে মানুষ। অর্থাৎ ম্রোদের দাবি তারা মানুষ জাতি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার সর্বত্র ম্রোদের বসবাস রয়েছে। এককালে তারা আরাকানের অধিবাসী ছিল। পার্বত্য চট্টগ্রামে এদের আগমন কয়েকশ’ বছর আগে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ভর্য্যাতলী মৌজায় কিছু সংখ্যক ম্রো বসবাস করে। ১৯৯১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে ম্রো জনগোষ্ঠির জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২২ হাজার। বর্তমানে প্রায় ২৮ হাজারের মতো বলে জানা গেছে। স্বজাতি ছাড়া অন্য সম্প্রদায়ের কাছে এরা মুরং নামে পরিচিত। আরাকানিদের ইতিহাসে ম্রো সম্প্রদায়কে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ও অভিজাত জনগোষ্ঠি হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। একসময় আরাকানের কোলডান নদীর উপত্যকায় খুমিদের সাথে ম্রোদের প্রচন্ড সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে পরাজিত হয়ে ম্রোরা পার্বত্য চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। পরে অবশ্য খিয়াংদের অত্যাচারে টিকতে না পেরে খুমিরা ম্রোদের পদাংক অনুসরন করে।
ম্রো সমাজ জড়বাদী। তারা প্রকৃতির অন্তরালে বিভিন্ন শক্তিকে পূজা করে। তাদের সৃষ্টিকর্তার নাম তুরাই বা তারাই। তবে তুরাই ছাড়াও ওরেং ও সুতিয়াং নামে আরো দু’জন দেবতা রয়েছেন। বছরের বিভিন্ন সময় শুয়োর, মোরগÑমুরগি, কুকুর, কবুতর ইত্যাদি বলি দিয়ে দেবতাদের পূজা করে ম্রো সমাজ। সংসারের যাবতীয় কাজে সফলতা এবং ব্যক্তি জীবনে সর্বময় মঙ্গল আনয়নের উদ্দেশ্যে এসব পূজাÑ পার্বনের আয়োজন করা হয়। ম্রোদের কোন ধর্মগ্রন্থ নেই। ধর্মগ্রন্থ না থাকার ব্যাপারে একটি চমৎকার কাহিনী রয়েছে। একবার সৃষ্টিকর্তা তুরাই সবাইকে ডাকলেন ধর্মীয় রীতিথÑনীতি সম্বলিত ধর্মগ্রন্থ গ্রহন করার জন্য। কিন্তু ধর্মগ্রন্থ গ্রহনে সব জাতির লোক গেলেও ম্রোদের কেউ গেল না। Murungu
এরপরও সৃষ্টিকর্তা তুরাই অনেক্ষন অপেক্ষা করলেন। অতঃপর একটি ষাঁড়ের মারফত ধর্মগ্রন্থ পাঠালেন ম্রো সম্প্রদায়ের প্রধানের কাছে পোঁছাতে। সেই ধর্মগ্রন্থটি লেখা ছিল কলার পাতায়। আসার পথে রাস্তায় খুব খিদে পেয়ে ষাঁড়টি ধর্মগ্রন্থটি খেয়ে ফেলে। কাজেই ম্রোদের কাছে আর কোন ধর্মগ্রন্থ পৌঁছেনি। এদিকে ম্রোরা অন্য সব জাতির সঙ্গে নিজেদের পার্থক্য রক্ষা করে একদিন তুরাইয়ের দরবারে গেল এর কারণ জানতে। সৃষি।টকর্তা তুরাই ঘটনার বিস্তারিত খুলে বললেন। আদেশ দিলেন শাস্তি স্বরুপ ষাঁড়কে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারতে। সেই থেকে ম্রোরা ‘নস্যাৎপা’ (ম্রোদের বিশেষ সামাজিক উৎসব) অনুষ্ঠানে উল্লসিত ভাবে ষাঁড় বধ করে থাকে। সাধারণতঃ জুম চাষের ফসল তোলার সময় এ উৎসবের আয়োজন করে ম্রো সমাজ।
ম্রো সমাজে নির্দিষ্ট কোন ধর্মযাজকও নেই। পূজাÑপার্বন থেকে শুরু করে বিয়ে পড়ানো পর্যন্ত যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতার কাজ নিজেরাই সম্পাদন করে তারা। ম্রোদের বিয়ে পড়ানো হয় খুব একটা সংক্ষিপ্ত নিয়মে। বিয়ের দিন একটি ওয়ামা বা মোরগ দা দিয়ে চেপে মারা হয়। এই মোরগের গরা দিয়ে যখন রক্তে পিনকি বের হয়ে আসে তখন পরিবারের এবজন পুরুষ সেই রক্তে ডান হাতের মধ্যমা দিয়ে বর ও কনের কপালে তিলক এঁকে দেয়। এভাবে তাদের বিবাহ অনুষ্ঠান সেরে ফেলা হয়।
ম্রো সমাজের মেয়েরা সংসারের যাবতীয় কাজ করে। জুমচাষ ও বনÑজঙ্গল থেকে কাঠ আনতে মেয়েরা পুরুষদের সহায়তা করে থাকে। পুরুষদের চেয়ে মেয়েরা অধিক কর্মঠ। আদিকাল থেকে তারা জুম চষের ওপর নির্ভরশীল। জুমের ফসলে তাদের সারা বছর চলে। একমাত্র লবণ ছাড়া কোন জিনিসপত্র তাদের বাইরে থেকে কিনতে হয়না। খাওয়Ñপড়া সম্বন্ধে তাদের তেমন কোন চিন্তা নেই বলে তারা বেশি সময় আনন্দÑফুর্তিতে মেতে থাকে। মেয়েÑপুরুষ উভয়েই পরিশ্রমী বলে এদের সাস্থ্য খুবই ভালো। অসুখ-বিসুখে তারা নানা গাছÑগাছরার রস ও শিকরসহ বনৌষধি দ্বারা নিরাময় লাভ করে। যাদুÑমন্ত্রেও তাদের বিষক্ষাস রয়েছে। ম্রোদের পোষাকÑপরিচ্ছদ খুবই সাধারণ। পুরুষরা পরে নেংটি আর মেয়েরা পরে ওয়াংলাই নামের এক ধরনের বিশেষ পরিধানের কাপড়। ওয়াংলাই ১০ ১২ ইঞ্চি চওড়া হয়। মাঘ মাসের হাঁড় কাঁপানো শীতেও তারা খালি গায়ে থাকতে পারে। পোষাকÑপরিচ্ছদ ছাড়াও মেয়েÑপুরুষ উভয়ে বিচিত্র ধরনের মালাÑগয়না পড়ে। রুপোর অলংকার ও পুঁতির মালা এদের খুবই প্রিয়। ম্রোদের শিখ্ষিতের হার কম। তারা আদিম পরিবেশে থাকতে বেশি ভালোবাসে। বর্তমানে কিছু কিছু ম্রো শিক্ষা লাভ করছে। শিক্ষিতরা আধুনিক সমাজের পোষাক-পরিচ্ছেদ ব্যবহার এবং উন্নত সংস্কৃতির চর্চা করছে।
ভাত ও মদ ম্রোদের প্রধান খাদ্য। মদ তারা নিজেরাই তৈরি করে। এছাড়াও কুকুর, শুয়োর, ছাগল, মোরগÑমুরগির মাংস এদের উপাদেয় খাদ্য। ম্রোদের কারো মৃত্যু হলে সাত দিন মৃতদেহ ঘরে রাখা হয়। তাদের সমাজে মৃত্যুতে কোন কান্নাকাটি নেই। দাহ করার আগ পর্যন্ত সাতদিন ব্যাপী নৃত্যÑগীত চলে। তারা এই রীতিকে বলে চংরাং। সাতদিন পর মৃতদেহ নদীর ঘাটে পোড়ানো হয়।

Share This:

The post পাহাড়ের ম্রো জনগোষ্ঠী appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a7%80/feed/ 1
অবশেষে চাকমা রাজা যুগলবন্দী হলেন http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be-%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a6%a8/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be-%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a6%a8/#respond Sat, 14 Dec 2013 04:42:45 +0000 http://www.chttoday.com/?p=2606 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় অবশেষে যুগলবন্দী হলেন। চাকমা প্রয়াত রানী... বিস্তারিত.... »

The post অবশেষে চাকমা রাজা যুগলবন্দী হলেন appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় অবশেষে যুগলবন্দী হলেন। চাকমা প্রয়াত রানী তাতু রায়ের মৃত্যুর প্রায় ১৫ বছর পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়। চাকমা রাজার ফেইসবুক ষ্ট্যাটাসে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়ায় এডিলেডে বাংলাদেশের রাখাইন সম্প্রদায়ের মেয়ে ইয়ান ইয়ানের সাথে শুভ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।Raja-1

ফেসবুক ষ্ট্যাটাসে বিবাহ বন্ধনের অসংখ্য যুগল ছবিও পোষ্ট করেছেন। প্রয়াত রানী তাতু রায় মারা যাওয়ার প্রায় এক যুগ পর দ্বিতীয়বারের মত শুভ বিবাহ পরিনয়ে আবদ্ধ হলেন চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়। বিবাহ বন্ধনের খবর ও ছবি চাকমা রাজা তার ফেসবুক ষ্ট্যাটাস দেয়াার পর অনেকে নতুন এই যুগলকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে রাঙামাটির চাকমা রাজ পরিবারের এক কর্মকর্তার কাছে ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে জানান, উভয় পরে সম্মতিক্রমে অস্ট্রেলিয়ায় চাকমা রাজা বাহাদুর ও নববধূ ইয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। পরবর্তীতে রাঙামাটিতে বৃহত্তর পরিসরে বিবাহের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।Raza-2
তিনি আরও জানান, নববধূ ইয়ান পিএইচডি ডিগ্রির জন্য বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশুনা করছেন।
উল্লেখ্য, এক ছেলে রাজ কুমার ত্রিভূন আর্য্য দেব রায় এবং এক মেয়ে রাজ কুমারী আরধনা গায়েত্রী রায়কে রেখে রানী তাতু রায় ১৯৯৮ সনে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত মৃত্যু বরন করেন। এরপর দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় পর রাজা দেবাশীষ রায় বিবাহবদ্ধে আবদ্ধ হলেন।

সিএইচটি টুডে ডট কম পরিবারের পক্ষ থেকে রাজা দেবাশীষ রায় ও সহধর্মিনীকে কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

Share This:

The post অবশেষে চাকমা রাজা যুগলবন্দী হলেন appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be-%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a6%a8/feed/ 0
পার্বত্য চট্টগ্রামের বম জনগোষ্ঠী http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%ae/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%ae/#respond Fri, 06 Dec 2013 18:09:25 +0000 http://www.chttoday.com/?p=2260 ভারত মায়ানমারের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের এক দশমাংশ ভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম। এককালে অধিক তুলা উৎপাদন হত বলে বৃহত্তর এই পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিচিতি ছিল কার্পাস মহল নামে। ১৮৬০ সালে সর্ব প্রথম পৃথক জেলায় রূপান্তরিত হয় এটি।

The post পার্বত্য চট্টগ্রামের বম জনগোষ্ঠী appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি। ভারত মায়ানমারের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের এক দশমাংশ ভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম। এককালে অধিক তুলা উৎপাদন হত বলে বৃহত্তর এই পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিচিতি ছিল কার্পাস মহল নামে। ১৮৬০ সালে সর্ব প্রথম পৃথক জেলায় রূপান্তরিত হয় এটি। DSCF5505অতঃপর ১৯৮৩ সালে বান্দরবান এবং পরে খাগড়াছড়িকে জেলায় উন্নীত করে রাঙামাটিসহ তিনটি জেলায় বিভক্ত করা হয় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামকে। পাহাড়ি অঞ্চল এই পার্বত্য জেলা সমূহে বসবাসরত আদিবাসীদের নৃতাত্ত্বিক ইতিহাস অতি সুপ্রাচিনকালের। ইতিহাসের মূল উপাত্ত খুঁজে পাওয়া না গেলেও খ্রিষ্টিয় ৫ম শতাব্দীর দিক থেকে আদিবাসীদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সেই আদিকাল থেকে যুগ যুগ ধরে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে আসছে ১০ ভাষাভাষি ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি। বৈচিত্র এই জনগোষ্ঠি সমূহের জীবন ও সংস্কৃতি যেমন চিরাচরিত ঐতিহ্যে লালিত তেমনি বর্ণিল ও নান্দনিক। তাদের বর্ণিল সামাজিক ও সংস্কৃতি জীবন ধারা খুবই সুন্দর ও দর্শনীয়। এ সমস্ত সামাজিক ও সংস্কৃতির জীবন ধারা জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই তিনটি সূত্রে চির গাথা।

এ অঞ্চলে বসবাসরত ১০ ভাষাভাষি ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি হল চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা বা টিপরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, চাক, খুমী, পাংখোয়া, লুসাই ও খিয়াং। প্রত্যেকটি জাতিরই নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতার দিক দিয়ে ক্রমানুসারে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাই প্রধান। এ সংখ্যায় দেখুন বম জনগোষ্ঠীর জীবনধারা।

বম জনগোষ্ঠি
বাংলাদেশে বমদের শানক্লা, লসিং ও ডইট্রাং নামে এই তিনটি গোত্র বসবাস করে। ১৯৯১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে এদের জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাত হাজার। বর্তমানে তা আট হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য তথ্যে জানা গেছে।
পার্বত্য বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় বমদের অধিক সংখ্যায় বসবাস রয়েছে। বান্দরবান সদর উপজেলাতেও কিছু সংখ্যক বম পরিবার বসবাস করছে। বমদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। তবে ভাষায় লিখিত কোন পুস্তকাদির সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্ধান মেলেনি উল্লেখযোগ্য সাহিত্য কর্মেরও। বম জনগোষ্ঠি এককালে প্রকৃতি পূজারী ছিল। বর্তমানে তারা খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছে। খৃষ্টান চার্চ ধর্ম যাজকদের প্রভাবের কারণে তাদের সামাজিক রীতি নীতির পরিবর্তন হয়েছে। তবে মদ্যপান, শুকরের মাংস ভক্ষণ এবং বৈশাখীসহ বিভিন্ন উৎসবের প্রচলন এখনো বম সমাজে রয়েছে। অধিকাংশ খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করলেও কিছু সংখ্যক বম বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিও রয়েছে বলে জানা গেছে। যার প্রমাণ স্বরুপ রুমার প্রত্যন্ত বম অধ্যুষিত অঞ্চলে এখনো বৌদ্ধ মন্দিরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে।
বম একটি সংযুক্ত জাতি। পূর্বাঞ্চলীয় শুনল্লা ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় পাংহাই গোত্র সংযুক্ত হয়ে বম উপজাতির সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। তবে এ সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য বা পামাণ্যচিত্র পাওয়া যায়নি। বমদের আদি নিবাস ছিল বার্মার (মিয়ানমার) ইরাবর্তী ও চীনদুইন নদীর মধ্যবর্তী এলাকায়। তবে কারও কারও মতে চীনের চিনলুং পর্বতমালায় তাদের আদি বাসস্থান ছিল বলে জানা যায়। পরবর্তিতে তারা সেখান থেকে বার্মায় চলে এসেছিল। চিনলু শব্দের অর্থ হল অসংখ্য পাথুরে পর্বত। বাংলাদেশে বমদের আবাস স্থলগুলোতে প্রচুর পাথর দেখা যায়। বার্মা বা মিয়ানমারে অবস্থানরত বম জনগোষ্ঠি ‘লাইমা’ ও ‘চিন’ নামে পরিচিত। এরাও গোষ্ঠিবদ্ধ হয়ে বসবাস করে।
মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে বমদের ধারণা হলÑ প্রাচিনকালে তাদের পূর্বপুরুষগণ পৃথিবীর একটি গর্ত থেকে বের হয়ে সে তারা একজন বড় সর্দার খুঁজে পায়। সেই সর্দারের নাম ‘থানড্রোপা’। তিনিই প্রথম বন্য গলায়কে গৃহপালিত পশুতে পরিণত করেন। থানড্রোপা এতই ক্ষমতাশালী ছিলেন যে, তিনি স্বয়ং ঈশ্বর কন্যাকে বিয়ে করেছেন। এজন্য ‘থানড্রোপা’ তার শ্বশুর ঈশ্বরকে একটি বিখ্যাত বন্দুক উপহার প্রদান করেন। এখনও সেই বন্দুকের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। বজ্রের গর্জনই সেই বন্দুকের আওয়াজ। অতীতে বমরা ঈশ্বরকে ‘খাজিং’ বলত। তারা ‘কর্ণবুল’ নামে এক ভুতের পূজা করত। একটি মোরগ হত্যা করে কর্ণবুলের পূজা করা হত। কর্ণবুলকে মোরগ উৎসর্গ করা হবে কিনা তা নির্ধারণ করতে বেশ সময়ের প্রয়োজন হয়। অবশেষে যখন উৎসর্গ করার বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য কব্জিতে একটি তার বেঁধে রাখা হত।DSCF5559
বর্তমানে খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণের পর বম জনগোষ্ঠির জীবনাচারে যথেষ্ট পরিবর্তন হয়েছে। এ প্রভাব তাদের পেশার ওপরও পড়েছে। ব্যাপক জুম চাষের বদলে তারা অন্যন্য পেশায় আত্মনিয়োগ করেছে। রুমা উপজেলায় বসবাসকারি বম জনগোষ্ঠির লোকজন প্রচুর কমলা, আনারস, কলা, কাঁঠাল ইত্যাদি লাভজনক ও অর্থকরী ফসল ফলায়। নদী ও ছড়াগুলোতে প্রচুর মাছও তারা শিকার করে। পুকুরগুলোতে মাছের চাষ করে। বনজ সম্পদ আহরণের সাথেও অনেকে জড়িত। বমদের কিছু কিছু ক্ষুদ্রায়তন কুটির ও হস্তশিল্প গড়ে ওঠেছে।
বমদের পরিবারের সর্বকনিষ্ট পুত্র উত্তরাধিকারী হিসেবে সম্পত্তির বৃহৎ অংশ পেয়ে াকে। বম সমাজে বয়স্ক লোকের মৃত্যু হলে তার মৃতদহ স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে মুখমন্ডল রং করা হয়। তারপর ভীমরাজ পাখির পালক মাথার চুলে গুঁজিয়ে দিয়ে মৃতদেহটি ঘরের প্রবেশদারের মুখোমূখি বসিয়ে ঘরের পার্শ্ববর্তী জায়গায় কবর খুঁড়ে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। কবরটি পূর্ব পশ্চিম লম্বা করে খোঁড়া হয়। কবরের তলদেশের পার্শ্বে গর্ত খুঁড়ে সেখানে মৃতদেহটি সোজা করে কাপড় জড়িয়ে পূর্বদিকে মাথা করে রাখা হয়।

Share This:

The post পার্বত্য চট্টগ্রামের বম জনগোষ্ঠী appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%ae/feed/ 0
নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী সংখ্যায় চতুর্থ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%a8%e0%a7%83-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d-2/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%a8%e0%a7%83-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d-2/#respond Fri, 29 Nov 2013 18:15:17 +0000 http://www.chttoday.com/?p=1954 ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি। ভারত মায়ানমারের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের এক দশমাংশ ভূমি পার্বত্য... বিস্তারিত.... »

The post নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী সংখ্যায় চতুর্থ appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি। ভারত মায়ানমারের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের এক দশমাংশ ভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম। এককালে অধিক তুলা উৎপাদন হত বলে বৃহত্তর এই পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিচিতি ছিল কার্পাস মহল নামে। ১৮৬০ সালে সর্ব প্রথম পৃথক জেলায় রূপান্তরিত হয় এটি। অতঃপর ১৯৮৩ সালে বান্দরবান এবং পরে খাগড়াছড়িকে জেলায় উন্নীত করে রাঙামাটিসহ তিনটি জেলায় বিভক্ত করা হয় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামকে।DSCF2384

পাহাড়ি অঞ্চল এই পার্বত্য জেলা সমূহে বসবাসরত আদিবাসীদের নৃতাত্ত্বিক ইতিহাস অতি সুপ্রাচিনকালের। ইতিহাসের মূল উপাত্ত খুঁজে পাওয়া না গেলেও খ্রিষ্টিয় ৫ম শতাব্দীর দিক থেকে আদিবাসীদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সেই আদিকাল থেকে যুগ যুগ ধরে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে আসছে ১০ ভাষাভাষি ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি। বৈচিত্র এই জনগোষ্ঠি সমূহের জীবন ও সংস্কৃতি যেমন চিরাচরিত ঐতিহ্যে লালিত তেমনি বর্ণিল ও নান্দনিক। তাদের বর্ণিল সামাজিক ও সংস্কৃতি জীবন ধারা খুবই সুন্দর ও দর্শনীয়। এ সমস্ত সামাজিক ও সংস্কৃতির জীবন ধারা জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই তিনটি সূত্রে চির গাথা।
এ অঞ্চলে বসবাসরত ১০ ভাষাভাষি ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি হল চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা বা টিপরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, চাক, খুমী, পাংখোয়া, লুসাই ও খিয়াং। প্রত্যেকটি জাতিরই নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতার দিক দিয়ে ক্রমানুসারে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাই প্রধান। আজ দেখুন তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর জীবনধারা
তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠি
ভাষা ও সংস্কৃতিগত সামঞ্জস্যের কারণে তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠিকে চাকমাদের একটি শাখা বলে ধারনা করা হলেও তাদের বেশ কিছু বিষয়ে স্বকীয়তা ও আলাদা বৈশিষ্ট থাকায় এ আদিবাসী সম্প্রদায় একটি পৃক জনগোষ্ঠি হিসেবে চিহ্নত। এছাড়া চাকমা জাতির মধ্যে যে ৪৬টি গোজা বা গোত্র রয়েছে তঞ্চঙ্গ্যাদের ১২টি গোজা সেখানে অন্তর্ভূক্ত নয়। ঐতিহ্য, পোষাকÑপরিচ্ছদ, অলংকার ও আবাস গৃহের ধরনেও চাকমাদের থেকে তঞ্চঙ্গ্যাদের আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তঞ্চঙ্গ্যারা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠি সমূহের মধ্যে চতুর্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠি। পার্বত্য তিন জেলায় বর্তমানে এদের সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার বলে জানা গেছে। তঞ্চঙ্গ্যাদের বেশির ভাগ বান্দরবান জেলার সদর, রুমা, রোয়াংছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম উপজেলা এবং রাঙামাটি জেলার কাউখালী, রাজস্থলী, কাপ্তাই, সদর, বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ি উপজেলায় বসবাস রয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার জেলার রামু, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় তঞ্চঙ্গ্যাদের বসবাস রয়েছে। বাংলাদেশের বাইরে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে এবং ভারতের ও অন্যান্য রাজ্যে তাদের আবাস রয়েছে।
তঞ্চঙ্গ্যারা দৈংনাক ও তৈন টংগ্যা নামে পরিচিত। বাংলাদেশে তৈন টংগ্যা বা তঞ্চঙ্গ্যা এবং মিয়ানমারের উত্তরাংশে ও আরাকানে দৈংনাক নামে তাদের বসবাস। বর্তমানে দৈংনাকদের একাংশ আরাকানের উত্তর পশ্চিম দিকের মাতামুহুরীর উপনদী তৈনছড়ির উপকুলে বসতি স্থাপন গড়ে তুলেছে। নৃতাত্ত্বিকদের বিশ্লেষণ মতে, তঞ্চঙ্গ্যারা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মঙ্গোলীয় নৃ ধারাভূক্ত জনগোষ্ঠি বলে জানা গেছে। এদের ভাষা আর্য ভাষা সম্ভুত বাংলার আদিরুপের সমতুল্য। পালি, প্রকৃত ও সংস্কৃত শব্দে তঞ্চঙ্গ্যা ভাষা পরিপূর্ণ। তবে চাকমা ভাষার সঙ্গে তঞ্চঙ্গ্যা ভাষার মিল রয়েছে সমধিক। সম্প্রতিকালে তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় বাংলা ভাষার সংমিশ্রন ঘটেছে।
তঞ্চঙ্গ্যারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বি হলেও তাদের সমাজে সনাতন প্রথা অনুযায়ী গাঙ্ পূজা, মিত্তিনী পূজা, ক্যা পূজা, বুর পারা ইত্যাদির কাল্পনিক দেব দেবীর পূজা পার্বণও প্রচলিত রয়েছে। এসব পূজা অর্চনা যারা সম্পাদন করেন তাদেরকে বলা হয় ওসা। বুদ্ধ পূজা, সংঘ দান, সূত্র শ্রবণ, অষ্ট পরিষ্কার দান, প্রবারনা উৎসব, কঠিন চীবর দান, বুদ্ধ পূর্ণিমা, চক্রবুহ্য মেলা, জাদি পূজা প্রভৃতি ধর্মীয় অনুষ্ঠান তঞ্চঙ্গ্যারা পালন করে থাকে। এছাড়া চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু উদযাপিত হয় তিন দিনব্যাপী।
তঞ্চঙ্গ্যাদের নিজস্ব পোষাক ও অলঙ্কার রয়েছে। বিশেষ করে মহিলারা বৈচিত্র ও বর্ণিল পোষাক পরিধান করে। তারা নিবাংশে সাতরঙা পিনুইন, গায়ে ফুলহাতা ব্লাউজ বা কবোই, বক্ষ বন্ধনী হিসেবে রং বেরঙের ফুল খাদি এবং মাথায় কারুকাজ করা চুলের কাঁটা ও চেইন সজ্জিত খোঁপার বেষ্টনী দিয়ে খবং ব্যবহার করে। অলংকা হিসেবে কানে রাজ্জুর ও ঝংগা, কব্জিতে বাখোর, কুচিখারু, গলায় চন্দ্রহার, হাঁচুলি ও সিঁকিছড়া পড়ে। এসব অলংকার রুপা দিয়ে করা হয়। পুরুষরা ধুতি ও লম্বা হাতা জামা পড়ে। তঞ্চঙ্গ্যাদের বাদ্য যন্ত্রের মধ্যে খেংখ্যং, বাঁশি ও চুচুক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। গীতও নাচে তারা বেশ পটু।DSC02143
তঞ্চঙ্গ্যা সমাজে মামাতো, পিসতুতো, মাসীতুতো ভাই বোনদের মধ্যে বিবহ সিদ্ধ হয়। বড় ভাইয়ের শ্যালিকা, বড় বোনের ননদ, বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর বিধবা এবং তালাক প্রাপ্ত মেয়েদের বিয়ে করা চলে। তবে চাচাতো ভাইÑবোনদের মধ্যে বিবাহ নিষেধ রয়েছে। কারো ঘরে নব জাতকের জন্ম হলে সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তঞ্চঙ্গ্যাদের উত্তরাধিকার প্রথা চাকমা সমাজের মতো। পিতার মৃত্যুর পর পুত্র সন্তানেরা সমান অংশে সম্পত্তির মালিকানা লাভ করে। কন্যা সন্তানেরা পৈত্রিক সম্পত্তির মালিকানা দাবি করতে পারেনা। তবে পুত্র সন্তান না থাকলে কন্যারা পিতার সম্পত্তির দাবিদার হতে পারে।
তঞ্চঙ্গ্যাদের কারো মৃত্যু হলে মৃত ব্যাক্তির মুখে একটি রৌপ্য মুদ্রা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এ টাকা ভব নদী পারাপারের জন্য দিতে হয় বলে তাদের বিশ্বাস। মৃত দেহকে শ্মশানে নিয়ে পোড়ানো হয়। দাহ ক্রিয়ার সাত দিনের মাথায় সাপ্তাহিক ক্রিয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
তঞ্চঙ্গ্যারা সাধারণতঃ উঁচু মাচাং ঘরে বাস করে। জেইত ঘর, ভাতঘর, পিজোর ও টংঘর সমন্বয়ে তঞ্চঙ্গ্যাদের বাড়ি ঘর নির্মাণ করা হয়। তঞ্চঙ্গ্যারা মূলতঃ কৃষি চাষের ওপর নির্ভরশীল। কৃষি কাজে তারা খুবই দক্ষ। তারা উঁচু নিচু জমিতে ধান চাষ ছাড়াও বিলেতি ধনিয়া, শাক সব্জি, বাহারি ফলের বাগান ও বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকে। পাশাপাশি আদিকাল থেকে পাহাড়ে জুম চাষও করে আসছে তঞ্চঙ্গ্যারা।

আগামী সংখ্যায় দেখুন বম জনগোষ্ঠীর জীবনধারা

Share This:

The post নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী সংখ্যায় চতুর্থ appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%a8%e0%a7%83-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d-2/feed/ 0
নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী তৃতীয় http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%a8%e0%a7%83-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%a8%e0%a7%83-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d/#respond Fri, 22 Nov 2013 17:39:53 +0000 http://www.chttoday.com/?p=1660 ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি। ভারত মায়ানমারের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের এক দশমাংশ ভূমি পার্বত্য... বিস্তারিত.... »

The post নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী তৃতীয় appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি। ভারত মায়ানমারের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের এক দশমাংশ ভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম। এককালে অধিক তুলা উৎপাদন হত বলে বৃহত্তর এই পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিচিতি ছিল কার্পাস মহল নামে। ১৮৬০ সালে সর্ব প্রথম পৃথক জেলায় রূপান্তরিত হয় এটি। অতঃপর ১৯৮৩ সালে বান্দরবান এবং পরে খাগড়াছড়িকে জেলায় উন্নীত করে রাঙামাটিসহ তিনটি জেলায় বিভক্ত করা হয় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামকে। পাহাড়ি অঞ্চল এই পার্বত্য জেলা সমূহে বসবাসরত আদিবাসীদের নৃতাত্ত্বিক ইতিহাস অতি সুপ্রাচিনকালের। ইতিহাসের মূল উপাত্ত খুঁজে পাওয়া না গেলেও খ্রিষ্টিয় ৫ম শতাব্দীর দিক থেকে আদিবাসীদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।P1130470 সেই আদিকাল থেকে যুগ যুগ ধরে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে আসছে ১০ ভাষাভাষি ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি। বৈচিত্র এই জনগোষ্ঠি সমূহের জীবন ও সংস্কৃতি যেমন চিরাচরিত ঐতিহ্যে লালিত তেমনি বর্ণিল ও নান্দনিক। তাদের বর্ণিল সামাজিক ও সংস্কৃতি জীবন ধারা খুবই সুন্দর ও দর্শনীয়। এ সমস্ত সামাজিক ও সংস্কৃতির জীবন ধারা জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই তিনটি সূত্রে চির গাথা।
এ অঞ্চলে বসবাসরত ১০ ভাষাভাষি ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি হল চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা বা টিপরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, চাক, খুমী, পাংখোয়া, লুসাই ও খিয়াং। প্রত্যেকটি জাতিরই নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতার দিক দিয়ে ক্রমানুসারে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাই প্রধান। আজ দেখুন ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর জীবনধারা
ত্রিপুরা বা টিপরা জনগোষ্ঠি
‘তোয় প্রা’ শব্দ থেকে উৎপত্তি হয়েছে টিপরা বা ত্রিপুরা জাতি গোষ্ঠির নাম করন। তোয় অর্থ নদী বা জল। আর ‘প্রা’ অর্থ নদীর তীরবর্তী অঞ্চল। অর্থাৎ নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে যারা বসবাস করত তাদেরকে বলা হতো ‘তোয় প্রা’। এই ‘তোয় প্রা’ শব্দটি কালক্রমে টিপরায় পরিবর্তিত হয়েছে। ত্রিপুরাদের লোকমুখে প্রচলিত উপকথা থেকে জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার চেঙ্গি নদকে বলা হতো সিয়াই তোয় কুতুং। এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায় সিয়াই চেঙ্গি নদ, তোয় জল আর কুতুং অর্থ পাগলা। অর্থাৎ পাগলা জলের সিয়াই বা চেঙ্গি নদ। তাহলে ওই উপকথা মতে জানা যাক চেঙ্গি কেন পাগলা নদ হয়ে আছে।
চেঙ্গি নদ বা সিয়াইয়ের মায়ের নাম কাঁইচা। এই কাঁইচা ছিলেন পাহাড়ি রাজকন্যা। তবে চিল একটি মাত্র ছেলে। ছেলের নাম সিয়াই। সিয়াই ছেলেবেলা থেকেই উদাসীন এবং অবোধ। মায়ের অবাধ্য। সে শুধু বনে বনে ঘুরে বেড়াত। দিন দিন বয়স বাড়লেও বুদ্ধি বাড়লনা সিয়াইয়ের। আর ভালো হওয়ার কোন লক্ষনও দেখা দিলনা। সে হলো শুধু বখাটে আর ভবঘুরে। মা কাঁইচা প্রমাদ গুনলেন ছেলেকে মানুষ করার জন্য হাজারো চেষ্টা করলেন। কিন্তু কোন মতেই মানুষ করতে পারলেননা। মায়ের কোন কথাই গ্রাহ্য করলনা সিয়াই।P1130452
একদিন ভীষন রেগে মা সিয়াইকে অকথ্য গালমন্দ করলেন। সিয়াই এতে মার সাথে রাগÑধাক করে দেশ ত্যাগ করল। এভাবে বনে জঙ্গলে ঘুরে অনেকদিন কাটল তার। অবশেষে সে নোয়াখালি জেলার সীমান্ত অঞ্চলের এক গহীন অরণ্যে এসে হাজির হলো সে। সেখানে দেখা হলো অপূর্ব সুন্দরী এক রাজকন্যার সাথে। তার নাম তোয়মা। তোয়মা শুধু রুপে নয় গুণেও অতুলনীয়। তার রুপে গহীন জঙ্গল আলোকিত হয়ে থাকত। তোয়মার রুপে মুগ্ধ হল সিয়াই। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে জন্ম নিল ভালোবাসার। সিয়াই মনস্থির করল তোয়মাকে বিয়ে করবে। তাই একদিন এক অন্তরঙ্গ মুহুর্তে সিয়াই তোয়মাকে বুকে জড়িয়ে বলল, তোয়মা, তোয়মাথ আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না।’
কিন্তু তোয়মা বলতেই রাজকন্যা ছিটকে সরে গেল দশ হাত দূরে। ভীষণ রাগ হল সিয়াইয়ের ওপর। কী প্রয়োজন ছিল তার এভাবে সম্বোধন করে ডাকার ? তার কারণ, ত্রিপুরা ভাষায় তোয়মা অর্থ জল মা। আর এই জল মা ই হলেন মা গঙ্গা। তাহলে মায়ের সঙ্গে বিয়ে করা কি সম্ভব ?
ত্রিপুরাদের মধ্যে মেয়েদের নাম ধরে সম্ভোধন করতে নেই। বিশেষ করে স্বামীদের পক্ষে খুবই অগ্রগণ্য। তোয়মার প্রেমের আঘাতে ভীষণ দুঃখ পেল সিয়াই। এত নিজের জীবনকে নিরর্থক মনে হল তার। এভাবে দুঃখ আর যন্ত্রণা নিয়ে নিজ দেশে ফিরে এলো সে। এদিকে পুত্র শোকে ইত্যবসরে মা কাঁইচাও মারা গেছেন। মৃত্যুর পর তিনি হয়ে আছেন কর্ণফুলী নদী। এই অবস্থায় সিয়াই আর কি করবে ? সে এখন বুঝতে পেরেছে সারা জীবন মায়ের আদেশ অমান্য করায় আজ তার এমন পরিণতি ঘটেছে। কেননা, মায়ের অভিশাপ কী কখনো মোচন করা যায় ? এ দুঃখ আর যন্ত্রণায় কেঁদে কেঁদে সে অনন্তকাল ধরে অপরের উপকারের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে চেঙ্গি নদ হয়ে গেল। আর সেই তোয়মাই বর্তমান ফেনী নদী। ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির মতে সিয়াইয়ের এখনো রাগী স্বভাব কাটেনি। সে এখনও মাঝে মাঝে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তাই চেঙ্গি নদের দুই ক’ল প্লাবিত হয়ে বন্যা নামে। এজন্যই ত্রিপুরা ভাষায় চেঙ্গি নদকে সিয়াই তোয় কুতুং বলা হয়।
বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলার সর্বত্রই বিচ্ছিন্নভাবে ত্রিপুরা আদিবাসীদের বসবাস রয়েছে। তবে খাগড়াছড়ির রামগড়েই অধিক সংখ্যক হারে তাদের বসবাস রয়েছে। ত্রিপুরা জনগোষ্ঠিরা হিন্দু ধর্মাবলম্বী, কেউ কেউ বৌদ্ধ ধর্ম পালন করেন। তবে তারা ধর্মে হিন্দু হলেও তাদের সম্পূর্ণ আলাদাভাবে নিজস্ব ভাষা, বর্ণমালা, সমাজ ও সংস্কৃতি রয়েছে। ভারতবর্ষে তাদের ভাষাকে বলা হয় কক্ব রক। ভারতীয় উপমহাদেশে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠি অত্যন্ত প্রাচিনতম জাতি। নৃতাত্ত্বিকদের বিচারে ত্রিপুরারাও মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভুত। ইতিহাসবিদদের মতে, এই জনগোষ্ঠির পূর্ব পুরুষরা প্রায় ৫ হাজার বছর আগে মঙ্গোলিয়া থেকে মধ্য এশিয়ার তিব্বত ও সাইবেরিয়া হয়ে ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চলে আগমন করেছিল। অতীতে উপমহাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ন ভূমি তে ভাগে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির একটি শক্তিশালী জাতি হিসেবে সুখ্যাতি ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত মিলে ত্রিপুরাদের জনসংখ্যা প্রায় ১৯ লক্ষ বলে জানা গেছে। বাংলাদেশে তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ফরিদপুর ও বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে এদের বসবাস রয়েছে। রাজবংশী, বর্মন, গাঁরো, হাজং ও মনিপুরিরাও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির অন্তর্ভূক্ত। বাংলাদেশে সব মিলিয়ে এদের জনসংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ। পার্বত্য তিন জেলায় ত্রিপুরাদের বর্তমান জনসংখ্যা লক্ষাধিক। ১৯৯১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী তা ছিল ৬২ হাজার। DSC07060
ত্রিপুরারা অনার্য। এদের গড়ন মাঝারি ধরনের। গায়ের রং উজ্জ্বল, নাক বোঁচা, টানা টানা চোখ ও খাড়া চুলের অধিকারি। ত্রিপুরারা মোট ৩৬টি গোত্রে বিভক্ত। প্রত্যেকটি গোত্রের পৃথক পৃতক কথ্যরীতি, পোষাক পরিচ্ছদ, অলংকার ও আচার অনুষ্ঠান লক্ষ করা যায়। সামাজিক ক্ষেত্রে ত্রিপুরা জাতি পিতৃতান্ত্রিক। পিতাই পরিবারের প্রধান কর্তা। পিতার অবর্তমানে তার জৈষ্ঠ পুত্র কর্তা হিসেবে বিবেচিত হন। পরিবারের পুত্র সন্তানেরা পিতার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর পর সমস্ত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির ভোগ দখলের উত্তরাধিকারি হয়। ত্রিপুরা সমাজে সর্ব গোত্রের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক সিদ্ধ। রক্ত সম্পর্কীয় তিন পুরুষের মধ্যে তাদের বিবাহ বন্ধন নিষিব্ধ।ত্রিপুরারা সনাতন ধর্মের লোক হলেও বৈদিক বর্ণিত সকল দেব দেবির ত্রিপুরা সমাজে পূজা হয়না। এ সমাজে মাত্র ১৪ জন দেব দেবির উদ্দেশ্যে পূজা পার্বন হয়। ত্রিপুরারা স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে এবং তান্ত্রিকাচারে দর্মীয় পূজা পার্বন সম্পাদন করে থাকেন। যিনি পূজা করেন তাঁকে চোন্ডাই বা অচাই নামে অভিহিত করা হয়। ত্রিপুরাগণ শৈব বা শিবের পূজারী। শিব বা মহাদেবের স্ত্রী, সন্তানথ সন্ততি, অনুচর অনুচারীদের পূজা করে তারা। হিন্দু দেব দেবীদের নামের সাথে ত্রিপুরাদের দেব দেবীদের নামের সামঞ্জস্যের কারণে ত্রিপুরারা হিন্দু ধর্ম দ্বারা প্রবাবিত হয়। ত্রিপুরারা অত্যন্ত আড়ম্বরের সাথে লক্ষীপূজা করে থাকে।
ত্রিপুরাদের প্রধান সামাজিক উৎসব হল বুইসুক বা বৈসুক বা বিষু। উল্লেখ্য যে, ত্রিপুরাব্দ প্রবর্তিত হয়েছিল বিষু সংক্রান্তিতে। বাংলা বর্ষের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের প্রথম দিনে এই বৈসুক পালন করা হয়। চৈত্র মাসের শেষ দু’দিনের প্রথম দিনকে বলা হয় হারি বুইসুক। দ্বিতীয় দিনকে বলা হয় বুইসুকমা এবং নববর্ষের প্রথম দিনকে বলা হয় বিসিকাতাল। এ সময় ফুল দিয়ে ঘর সাজানো, নতুন কাপড় পরিধান, খাবার দাবার ও পানীয় দিয়ে আপ্যায়ন, গরাইয়া নৃত্য পরিবেশন ও পূজা অর্চনার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
ত্রিপুরারা সন্তান জন্মের পর এবং নামকরণের জন্য নানা আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। তাদের পরিবারে কারো মৃত্যু ঘটলে একটি বিশেষ তালে ঢোল বাজানো হয়। এ শব্দ শুনে লোকজন বুঝতে পারে কারো মৃত্যৃ হয়েছে। মৃতদেহের পায়ের কাছে একটি মোরগের বাচ্চা জবাই করা হয়। তারপর মৃতদেহটি বান করিয়ে ভাঁশের তৈরি শবাধারে করে শ্মশানে নিয়ে দাহ করা হয়। বিবাহের ক্ষেত্রে সাধারণতঃ পিতা মাতা ও অভিভাবকরা পাত্র পাত্রী নির্বাচন করেন। বর পক্ষই কনে পক্ষকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কনে পক্ষ পনের টাকার বিভিন্ন্ পোষাক পরিচ্ছেদ ও অলংকার দাবি করতে পারেন। নির্দিষ্ট দিনে পূজা অর্চনা সেরে বর পক্ষ কনে বাড়িতে যায়। ত্রিপুরারা নৃত্য, গীত ও বাদনে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। তাদের জীবন জীবিকা, আচার আচারনে গীতি নৃত্য ও বাদন অবিচ্ছেদ্য। ধর্মীয় অনুষ্ঠান, আচার, পূজা পার্বনেও নাচ, গান ওবাদন অতি অবশ্য কর্তব্য।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ত্রিপুরাদের সংখ্যাগরিষ্ট অংশের জীবিকার উৎস হল জুম চাষ, পশু পালন ও হাল চাষের মাধ্যমে জমি চাষাবাদ। বর্তমানে ত্রিপুরাদের বহু শিক্ষিত লোক চাকরি ও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত। জুম ও কৃষি কাজের পর্যাপ্ত জমি না থাকায় ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির মধ্যে দারিদ্রের হার বেশি।

আগামী শনিবার দেখুন তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠির জীবনধারা

Share This:

The post নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী তৃতীয় appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%a8%e0%a7%83-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d/feed/ 0
দেশে মারমা সম্প্রদায়ের অবস্থান দ্বিতীয় http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85/#respond Sat, 16 Nov 2013 19:03:41 +0000 http://www.chttoday.com/?p=1429 ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি। ভারত মায়ানমারের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের এক দশমাংশ ভূমি পার্বত্য... বিস্তারিত.... »

The post দেশে মারমা সম্প্রদায়ের অবস্থান দ্বিতীয় appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি। ভারত মায়ানমারের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের এক দশমাংশ ভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম। এককালে অধিক তুলা উৎপাদন হত বলে বৃহত্তর এই পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিচিতি ছিল কার্পাস মহল নামে। ১৮৬০ সালে সর্ব প্রথম পৃথক জেলায় রূপান্তরিত হয় এটি। অতঃপর ১৯৮৩ সালে বান্দরবান এবং পরে খাগড়াছড়িকে জেলায় উন্নীত করে রাঙামাটিসহ তিনটি জেলায় বিভক্ত করা হয় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামকে। bizu-Rangamati Pic- 03পাহাড়ি অঞ্চল এই পার্বত্য জেলা সমূহে বসবাসরত আদিবাসীদের নৃতাত্ত্বিক ইতিহাস অতি সুপ্রাচিনকালের। ইতিহাসের মূল উপাত্ত খুঁজে পাওয়া না গেলেও খ্রিষ্টিয় ৫ম শতাব্দীর দিক থেকে আদিবাসীদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সেই আদিকাল থেকে যুগ যুগ ধরে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে আসছে ১০ ভাষাভাষি ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি। বৈচিত্র এই জনগোষ্ঠি সমূহের জীবন ও সংস্কৃতি যেমন চিরাচরিত ঐতিহ্যে লালিত তেমনি বর্ণিল ও নান্দনিক। তাদের বর্ণিল সামাজিক ও সংস্কৃতি জীবন ধারা খুবই সুন্দর ও দর্শনীয়। এ সমস্ত সামাজিক ও সংস্কৃতির জীবন ধারা জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই তিনটি সূত্রে চির গাথা।
এ অঞ্চলে বসবাসরত ১০ ভাষাভাষি ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি হল চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা বা টিপরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, চাক, খুমী, পাংখোয়া, লুসাই ও খিয়াং। প্রত্যেকটি জাতিরই নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতার দিক দিয়ে ক্রমানুসারে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাই প্রধান। এ সপ্তাহে দেখুন মারমা সম্প্রদায়ের জীবনধারা।
মারমা জনগোষ্ঠি
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠী সমূহের মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠতার দিক দিয়ে মারমাদের অবস্থান দ্বিতীয়। তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মারমাদের বসবাস ওয়েছে। এককালে রাজধানী ঢাকাতেও তাদের অধিক বসবাস ছিল বলে ইতিহাস থেকে জানা যায়। যার প্রমাণ ঢাকার মগবাজার। একসময় সেখানে মারমাদের বসবাস ও ব্যবসাÑবাণিজ্যে আধিপত্য ছিল বলে মগবাজারের নামকরণ হয়। বর্তমানে বরিশাল, পটুয়াখালি ও কক্সবাজারের মারমা ও রাখাাইন সম্প্রদায়ের বসবাস যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য হারে রয়েছে। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে মারমাদেও সবচেয়ে বেশি বসবাস ওয়েছে বান্দরবানে। অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতেও মারমারা বসবাস করেন। মারমারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত। তাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন ধারা অতি সুপ্রাচিন, বৈচিত্রপূর্ণ এবং আকর্ষনীয়। মারমাদের নিজস্ব ভাষা, বর্ণমালা, সংস্কৃতি, সমাজ ও সামাজিক বিচার ব্যবস্থা ওয়েছে। ১৯৯১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত মারমাদের জনসংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৩৪ জন। বর্তমানে প্রায় পৌনে ২ লাখ বলে ধারণা করা হচ্ছে। A-18
মারমা সমাজ নিজেদের মগ বলে পরিচয় দিতে অস্বীকার করে। তাদের মতে মগ বলে কোন জাতি নেই। এটা অন্য জাতির খেতাব । মগ বলতে বুঝায় আরকানি জলদস্যুদের। মারমাদের গায়ের রং ফর্সা এবং পায়ের গোড়ালি বড়। বার্মিজদের সাথে তাদের চেহারার মিল রয়েছে। মারমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বি। গৌতম বুদ্ধের অনুশাসনই তাদের ধর্মের মূল মন্ত্র। এয়াড়া প্রকুতি পূজারিতেও মারমারা বিশ্বাসী। মারমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান, বুদ্ধ পূর্ণিমা, পানি খেলা ও থিনজিয়না অন্যতম।
মারমাদের মধ্যেও গোত্র বিভাগ ওয়েছে। গোত্রগুলো সাধারনত পূর্ব পুরুষদেরও বাস স্থানের নামে প্রচলিত। একই গোত্রের মধ্যে তাদের সমাজে বিয়ে হয়না। প্রাচীন কাল থেকেই মারমারা পাহাড়ের গায়ে জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বর্তমানে মারমাদের শিক্ষিতের হার অনেক। তাদের অনেকেই উচ্চ শিক্ষা লাভ করে দেশÑবিদেশে চাকরি করছে। মারামা ব্যবসাÑবাণিজ্যে জড়িত। পুরুষের চেয়ে মেয়েরা বেশি কর্মঠ। চাষ বাস ছাড়াও সংসারের প্রায় কাজ মেয়েদের উপর ন্যস্ত। তাদের সমাজে পুরুষরা অনেকটাই অপ্রধান। তবে মারমা সম্প্রদায় পিতৃ প্রধান সমাজের মানুষ। মেয়েরা চাষ বাস ছাড়াও কাপড় বুনন ও চুরুট তৈরিতে বেশ পটু। নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়েও এরা কাপড় এবং চুরুট বাইরে রফতানি করতে পারে। তবে মেয়েÑপুরুষ উভয়ই পরিষ্কারÑপরিচ্ছন্নতা ভালোবাসে। তবে মেয়েরাই বেশি সাজগোজ পছন্দ করে। মেয়েরা চুলের খোপায় নানা রকমের ফুল ব্যবহার করে।

 

এছাড়া মেয়ে পুরুষ উভয়ে লুঙ্গি ব্যবহার করে। মেয়েদের পরনের লুঙ্গিগুলো থামিই বলে। মেয়েরা ফুল হাতা ব্লাউজ গায়ে দেয়। এগুলোকে তারা এনিজ্যি বলে। মেয়েরা বিচিত্র ধরনের পুতির মালা বা কড়ির মালাও ব্যবহার করে। পুরুষরা মাথায় পাগড়ি হিসেবে গৌং বৌং ব্যবহার করে। মারামারা অত্যন্ত পরোপকারি এবং অতিথি পরায়ন। তারা পথিকদেও জন্য রাস্তার পাশে ছোট্ট মাচাং ঘরে খাবার পানি ভর্তি কলসি রেখে দেয়। মারমা ভাষায় একে রিফুংজাং এবং বাংলা ভাষায় জল টঙ্গি বলা হয়। তাদের ঘরে নবজাতকের জন্ম হলে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে তারা আনন্দ ফুর্তি করে। তারা মৃতদেহ আগুনে পোড়ায়। মৃত্যুর পর বন্দুক ছোঁড়া ও ঢাক ঢোল পিটানো অতি অবশ্য কর্তব্য। কেননা তাদের বিশ্বাস বন্দুকের গুলি ও ঢাক ঢোলের শব্দে অপদেবতারা পালিয়ে যায়। এতে মৃতের আত্মাও শান্তি পায়।A-16

আগামী শনিবার দেখুন ত্রিপুরা বা টিপরা জনগোষ্ঠির জীবনধারা

Share This:

The post দেশে মারমা সম্প্রদায়ের অবস্থান দ্বিতীয় appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85/feed/ 0
দেশে নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা সম্প্রদায়ের অবস্থান প্রথম http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8-%e0%a6%93-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%83/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8-%e0%a6%93-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%83/#respond Thu, 31 Oct 2013 18:23:30 +0000 http://www.chttoday.com/?p=720 ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি। ভারত মায়ানমারের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের এক দশমাংশ ভূমি পার্বত্য... বিস্তারিত.... »

The post দেশে নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা সম্প্রদায়ের অবস্থান প্রথম appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি। ভারত মায়ানমারের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের এক দশমাংশ ভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম। এককালে অধিক তুলা উৎপাদন হত বলে বৃহত্তর এই পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিচিতি ছিল কার্পাস মহল নামে। ১৮৬০ সালে সর্ব প্রথম পৃথক জেলায় রূপান্তরিত হয় এটি। অতঃপর ১৯৮৩ সালে বান্দরবান এবং পরে খাগড়াছড়িকে জেলায় উন্নীত করে রাঙামাটিসহ তিনটি জেলায় বিভক্ত করা হয় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামকে। পাহাড়ি অঞ্চল এই পার্বত্য জেলা সমূহে বসবাসরত আদিবাসীদের নৃতাত্ত্বিক ইতিহাস অতি সুপ্রাচিনকালের। ইতিহাসের মূল উপাত্ত খুঁজে পাওয়া না গেলেও খ্রিষ্টিয় ৫ম শতাব্দীর দিক থেকে আদিবাসীদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সেই আদিকাল থেকে যুগ যুগ ধরে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে আসছে ১০ ভাষাভাষি ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি। বৈচিত্র এই জনগোষ্ঠি সমূহের জীবন ও সংস্কৃতি যেমন চিরাচরিত ঐতিহ্যে লালিত তেমনি বর্ণিল ও নান্দনিক। তাদের বর্ণিল সামাজিক ও সংস্কৃতি জীবন ধারা খুবই সুন্দর ও দর্শনীয়। এ সমস্ত সামাজিক ও সংস্কৃতির জীবন ধারা জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই তিনটি সূত্রে চির গাথা।Chakma-1
এ অঞ্চলে বসবাসরত ১০ ভাষাভাষি ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি হলÑচাকমা, মারমা, ত্রিপুরা বা টিপরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, চাক, খুমী, পাংখোয়া, লুসাই ও খিয়াং। প্রত্যেকটি জাতিরই নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতার দিক দিয়ে ক্রমানুসারে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাই প্রধান।

চাকমা জনগোষ্ঠী
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসীদের মধ্যে চাকমারাই প্রধান সংখ্যাগরিষ্ট জাতি। নৃÑবিজ্ঞানিদের মতে এ এলাকার অন্যান্য আদি জাতিগোষ্ঠির মত চাকমারাও মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠিভূক্ত। বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ছাড়াও কক্সবাজারের টেকনাফ উপকুলে চাকমাদের বসবাস রয়েছে। এছাড়া ভারতের মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা,মিজোরাম, অরুনাচল এবং মায়ানমারের কিছু কিছু জায়গায় বহু সংখ্যক চাকমার বসবাস রয়েছে।
চাকমা জাতির আদি উৎপত্তিকাল, আবাস স্থল সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস কিংবা প্রামাণ্য চিত্র পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে আগমন ও বসতি স্থাপনের ইতিহাসের কাহিনী অতি সুপ্রাচীন কালের বলা যায়। কেননা তার ইতিহাস উল্লেখ করে দেখা গেছে ষোড়শ শতাব্দির মধ্য ভাগে একজন বিখ্যাত পর্তুগীজ ইতিহাসবিদ কর্তৃক বঙ্গোপসাগরের উপকুলবর্তী দেশগুলো নিয়ে আঁকা মানচিত্রে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব তীরবর্তী দুইটি নদীর মধ্যভাগে ‘চাকোমাস’ নামের একটি রাজ্যের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। ধারণা করা যায়
কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীর থেকে মাতামুহুরি নদীর উল্টর তীর পর্যন্ত এই চাকোমাস রাজ্যটির অবস্থান ছিল। এর যথেষ্ট প্রমাণ মিলে কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ৬ মাইল পূর্বে এবং রামু বাজার থেকে দু’মাইল পশ্চিমে এখনও চাকমাকুল নামের একটি ইউনিয়ন বিদ্যমান রয়েছে। আর এ থেকে ধারণা করা হয় চাকমারাও এই সময় রামু পর্যন্ত বসতি স্থাপন করেছিল। ওই সময় চাকমা রাজ্যের রাজধানী হিসেবে তৈন বা আলেখ্যং ডং ছিল বলে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত থেকে জানা গেছে। বর্তমান বান্দরবানের আলিকদমকে সে সময় বলা হতো আলেখ্যং ডং। বান্দরবান জেলায় তৈন নামের একটি মৌজা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া কালের বিবর্তনে এবং ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় চাকমা রাজতন্ত্রের উত্থানÑপতন, যুদ্ধÑসংঘাত, নানা চড়াইÑউৎরাইয়ের কাহিনী থেকেও চাকমাদের আবাস স্থল ও বিভিন্ন রাজধানী স্থাপনের কথা জানা যায়। বার্মা ও মোগলদের সাথে যুদ্ধ সংঘাত এবং সম্পর্কেও কারণেও চাকমাদের রাজধানী ও আবাস স্থল শঙ্খনদীর তীরবর্তী হাঙ্গরকুলসহ চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া হয়ে উল্টরÑপূর্ব দিকের পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী এবং উত্তরাঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়।
চাকমাদের নিজস্ব ভাষা, বর্ণমালা, সমাজ, সংস্কৃতি, পোশাকÑআশাক ও সামাজিক বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। অবশ্য কালক্রমে বর্তমানে সব কিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে। বিশেষ করে চাকমাদের আদিভাষার নানা সংমিশ্রন ঘটানোর ফলে এর পরিবর্তন যথেষ্ট লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। চাকমা ভাষায় প্রচুর বাংলা শব্দ ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক শব্দের মিল ওয়েছে। এয়াড়া ইংরেজি, আরাকানি, বর্মি ও তিব্বতি শব্দেরও প্রচলন ওয়েছে। চাকমাদের নিজস্ব বর্ণমালায় তান্ত্রিক শাস্ত্র, পালা গান, কাব্য ও ধর্মীয় গ্রন্থেও পান্ডুলিপি লেখা রয়েছে।
বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে চাকমা ভাষা ও বর্ণমালায় পাঠ্য শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। Chakma-2
চাকমারা প্রাচীনকাল থেকে অত্যন্ত সুÑশৃঙ্খল ও সমাজবদ্ধ জাতি। চাকমা সমাজে নিজস্ব সামাজিক বিচার ব্যবস্থাও প্রচলন ওয়েছে। ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রচলিত সামাজিক বিচার ব্যবস্থার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। রাজা, হেডম্যান ও কারবারিরা(গ্রাম প্রধান) সামাজিক বিচারকার্য সম্পাদন কওে থাকেন। চাকমারা মোট ৪৬টি গোত্র ও গোজায় বিভক্ত। গোত্র বা গোজা প্রধানের দৈহিক গঠন, স্বভাবÑচারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অভ্যাস কিংবা তার বসতি অঞ্চল ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে এসব গোত্রÑগোজার নাম দেয়া হয়েছে। চাকমাদের জ্ঞাতি সম্পর্ক আধুনিক সমাজের মত। চাকমারা পিতৃ বা পুরুষ প্রধান। ১৯৯১ সালের আদম শুমারি অনুসারে তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত চাকমাদের লোকসংখ্যা ২,৩৯,৪১৭ জন হলেও বর্তমানে তিন লক্ষাধিক বলে জানা গেছে।
চাকমাদের আদিম পেশা পাহাড়ের ঢালে জুমচাষ। জুমে ধান, মরিচ, ভূট্টা, তিল, যব, ধনিয়াসহ বাহারি শস্যেও চাষাবাদ হয়। কার্তিকÑঅগ্রহায়ণ মাসে পাহাড়ের জঙ্গল পরিষ্কার কওে ফাল্গুনÑচৈত্র মাসে তা আগুনে পুড়িয়ে জুমের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়। এরপর বৈশাখÑজৈষ্ঠ্য মাসে বীজ বুনে ভাদ্রÑধাশ্বিন মাসে ফসল ঘরে তোলা হয়। অুীতে সম্পূর্ণ জুমচাষের ওপর নির্ভরশীল হলেও ঊনিশ শতকের দিকে ব্রিটিশ শাসকদের পৃষ্টপোষকতায় চাকমা ও অন্যান্য আদিবাসীরা হাল দিয়ে জমি চাষ ও ফসল উৎপাদনে অভ্যস্ত হয়। বর্তমানে চাকমারা শিক্ষায়Ñদীক্ষায় অত্যন্ত অগ্রসর জাতিÑগোষ্ঠি হিসেবে দেশÑবিদেশে সম্যক পরিচিতি লাভ করেছে। চাকমাদের বহু সংখ্যক লোক দেশেÑবিদেশে চাকরি, ব্যবসাÑবাণিজ্যসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছে।
চাকমারা পাহাড়ের গাঁওÑগ্রামে মাটি থেকে ৪Ñ৫ হাত উঁচু করে গাছ ও বাঁশ দিয়ে এবং শন ও বাঁশের পাতায় চালা দিয়ে বাড়িÑঘর নির্মান করে। বর্তমানে কালের পরিক্রমায় আধুনিক নির্মান শৈলী অনুসরনে বাড়িÑঘর নির্মান করছে চাকমারা। চাকমাদেও বাড়িতে সামনে একটি উঁচু মাচা নির্মান করা হয়। একে ইজর বলে। ইজরে ধান, তুলা, কাপড় ইত্যাদি রোদে শুকানো হয় এবং পানির কলসি ও অন্যান্য পাত্র রাখা হয়। চাকমাদের নিজস্ব ভাষাÑসংস্কৃতির গান, নাচ ও খেলাধুলা রয়েছে। চাকমাদের বাঁশ নৃত্য অত্যন্ত আকর্ষনীয় ও উপভোগ্য । চাকমাদের প্রেমের গানকে উভগীত বলা হয়। তরুনÑতরুনীরা উভগীতের মাধ্যমে প্রেমের ভাষা বিনিময় করে থাকে। ঘিলা খারা, নাদেং খারা, পত্তি খারা চাকমাদের প্রিয় খেলাধুলা। তাদের সমাজে নিজস্ব সংস্কৃতির জাতীয় পোষাকÑপরিচ্ছদ বিদ্যমান রয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের পরিদেয় পোশাকাদি কোমর তাঁতে বুনে ব্যবহার করা হয়। Picture 023
চাকমারা আদি বৌদ্ধ ধর্মালম্বি জাতি। তবে বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি অনেকেই প্রকৃতি পূজারি রয়েছে। তারা প্রকৃতি, ভূত প্রেত, দেবতা এসব বিশ্বাস করে।এসব পূজারিরা রইয়ে, আনমানা, গাংপূজা, জুমমারা ইত্যাদি পূজা করে থাকে। অবশ্য আধুনিক চাকমা সমাজে এখন এসব ভাববাদি মনোভাব ক্রমান্বয়ে দূরিভূত হয়ে যাচ্ছে। ক্রমাগত সৎকর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে দুঃখমুক্তি লাভ করা সম্ভব বলে তারা এখন বিশ্বাস করে। চাকমাদের বিশ্বাস মতে এক সময় সমগ্র পৃথিবী জলমগ্ন ছিল। বিশাল এই জলরাশির উপর দিয়ে পদচারণা করতেন গোজেন বা সৃষ্টিকর্তা। তিনিই আলো, অন্ধকার ও স্থল ভাগ সৃষ্টি কওেছেন। এভাবে সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতি। আর এই প্রকৃতিকে নারী রুপ দেয়ায় সৃষ্টি হয়েছে সমগ্র বিশ্বব্রমান্ড। চাকমাদের বিশ্বাস মতে ফসলের দেবি হলেন মা লক্ষি এবং গৃহ দেবতা হলেন রইয়ে।
চাকমাদের প্রধান সামাজিক উৎসব হলো বিজু। আর প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দানোৎসব। বাংলা বর্ষের শেষ দুদিন এবং নববর্ষের প্রথম দিন বিজু উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে। তিন দিনের বিজু উৎসবের প্রম দিন ফুল বিজু, দ্বিতীয় দিন মূল বিজু এবং তৃতীয় দিন গোজ্যাপোজ্যা দিন হিসেবে পালিত হয়। বিজু উৎসব ও কঠিন চীবর দান ছাড়াও নূয়ই ভাত, হাজার বাত্তি জ্বালানো, ফানুস উত্তোলন, সংঘ দান, সূত্র শ্রবনসহ ইত্যাদি ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব পালন করে চাকমারা। চাকমা সমাজে জন্ম, মৃত্যু ও বিবাহ উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করা হয়। নবজাতকের জন্মের পর এক মাসের মধ্যে কজই পানি উৎসব পালন করা হয়। মৃত্যু হলে মৃতদেহ শ্মশানে পোড়ানো হয়। তবে সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে এবং শিশুদের মৃতদেহ মাটিতে কবর দেয়া হয়। চাকমা সমাজে মামাতো বোন, মাসিতো বোন, ফুফুতো বোন দূরাত্মীয়ের ভাইÑবোনের সম্পর্কের মধ্যে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় চুমুলাং অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রংরাা বিয়ের কার্য সম্পাদন করেন। চুমুলাং পরানোর সময় ছেলের পক্ষে সওদাগর ও মেয়ের পক্ষে পরমেশ্বরী দেবÑদেবীকে সাক্ষী রেখে ওঝা ‘জদন পানি আগেনি নেই’ বলে উপস্থিত নারীÑপরুষের হুকুম চান। এসময় উপস্থিত লোকজন আগে…(আছে…আছে) বলে রাংকে বিয়ে পরানোর স্বীকৃতি দেয়।
চাকমা ভাষায় রচিত গেংখুলি পালা গান, বার মাসের পালা গান, ধর্মীয় গীতিকা, কাব্য, প্রবাদ বাক্য, ছড়া, ধাঁ ধাঁ ইত্যাদি গ্রন্থে চমৎকার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় মেলে। এছাড়া চাকমাদের তান্ত্রিক শাস্ত্র খুবই সমৃদ্ধ। চাকমা সমাজে তন্ত্রÑমন্ত্র এবং তাবিজ কবজের ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। বয়ন শিল্পেও চাকমা রমণীদের খ্যাতি সমৃদ্ধ।

 

আগামী  ১৭ নভেম্বর দেখুন মারমা জনগোষ্ঠীর জীবনধারা।

Share This:

The post দেশে নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা সম্প্রদায়ের অবস্থান প্রথম appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8-%e0%a6%93-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%83/feed/ 0