পাহাড়ের রাজনীতি – সিএইচটি টুডে http://www.oldsite.chttoday.com news site Mon, 02 Apr 2018 11:40:30 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=4.9.25 অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চাদাবাজির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে সন্তু লারমার প্রতি আহবান http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a7%88%e0%a6%a7-%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%93-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a7%88%e0%a6%a7-%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%93-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be/#respond Sun, 28 Jan 2018 15:39:57 +0000 http://www.chttoday.com/?p=42819 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, প্রধান মন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন,... বিস্তারিত.... »

The post অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চাদাবাজির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে সন্তু লারমার প্রতি আহবান appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, প্রধান মন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করছি এবং করবো। কিন্তু শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ একটি স্বাভাবিক অবস্থা। কাজেই আগে দরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীল অবস্থা। আমরা জনসাধারণের পক্ষথেকে সন্তু বাবুকে অনুরোধ করবো, আসুন আপনিও শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন চান, আমরাও চাই। চুক্তি আমরা একত্রে করেছি, আমরা উভয়ে একত্রে বাস্তবায়ন করবো। কিন্তু আপনিও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সোচ্চার হোন, সক্রিয় হোন। আপনিও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নিন। আর যদি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংস্থা কখনো কাউকে গ্রেফতার করে চাঁদাবাজির অভিযোগে, অবৈধ অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরার অভিযোগে তাহলে, আপনি সন্তু বাবু দয়া করে বলবেন না যে, তারা আপনার মাুনষ। চাঁদাবাজদের কোন জাত, ধর্ম, বর্ণ নাই। অস্ত্রধারীদের কোন রকম নীতি নাই। এই নীতিহীন, আদর্শহীন মানুষদের নিয়ে, আমরা কেউ কখনো ভাল কাজ করতে পারবো না।

পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস চাঁদাবাজি,অপহরণ, খুন, গুম এবং হুমকি ধামকি বন্ধসহ সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে রোববার সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে, অনুষ্ঠিত নিউ মার্কেট এলাকায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগামে শান্তি ও স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে, দীপংকর তালুকদার পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমাকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহবান জানান।

Share This:

The post অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চাদাবাজির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে সন্তু লারমার প্রতি আহবান appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a7%88%e0%a6%a7-%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%93-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be/feed/ 0
রাঙামাটি বিএনপির দুগ্রুপে সকাল বিকাল কর্মসুচী পালন http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%a8%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%aa/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%a8%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%aa/#respond Fri, 19 Jan 2018 14:21:42 +0000 http://www.chttoday.com/?p=42523 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী বিএনপির দুগ্রুপে... বিস্তারিত.... »

The post রাঙামাটি বিএনপির দুগ্রুপে সকাল বিকাল কর্মসুচী পালন appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী বিএনপির দুগ্রুপে আলাদা আলাদাভাবে পালন করেছে। এক পক্ষ সকালে অন্য পক্ষ বিকালে পালন করে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মদিন উপলক্ষে সকালে দলীয় কার্যালয়ে রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাজী শাহ আলম। এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপির উপজাতীয় বিষয়ক সহ-সম্পাদক লেঃ কর্নেল (অবঃ) মনিষ দেওয়ান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দীপন তালুকদার দীপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পনিরসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জিয়াউর রহমান সময়ের প্রয়োজনেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। তার গড়া সেই রাজনৈতিক দল তার সহধর্মিণী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজ দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত।
অসাধারণ দেশপ্রেমিক, ও সহজ-সরল ব্যক্তিত্বের প্রতীক জিয়াউর রহমানের অবদান অসামান্য। জিয়াউর রহমানের সৈনিক ও রাজনৈতিক জীবনের সততা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রম প্রতিটি মানুষ শ্রদ্ধাভরে এখনো স্মরণ করে।

বক্তারা আরো বলেন, তার স্বল্পকালীন শাসনকার্য পরিচালনার তিনি যে গভীর দেশপ্রেম, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন তা আজো কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। এমনকি তার রাজনৈতিক বিরোধীরাও মৃত্যুর পর তার সততা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেনি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ কারণেই এই দেশের সব জনগণের অন্তরে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।

বিকালে শহরের আবাসিক হোটেল জর্জ এ জিয়া পরিষদের উদ্যোগে কেককাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জিয়া পরিষদ জেলা সভাপতি মানস মুকুল চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক জেলা যুগ্ন জজ ও সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট দীপেন দেওয়ান।

জিয়াউর রহমানের জন্ম বার্ষিকীতে বক্তব্য রাখেন,বিএনপির উপদেষ্টা প্রবীণ বিএনপির নেতা জহির আহম্মদ সওদাগর,বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোঃ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টো,সহ-সভাপতি মোঃ রফিক উদ্দিন,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রনেল দেওয়ান,জেলা যুব দলের সহ-সভাপতি মো.কামাল হোসেন,রাঙামাটি কলেজ শাখার ছাত্রনেতা আল-আমিনসহ আরো অনেকে। জিয়ার জন্ম দিন পালনে জেলা বিএনপি, যুবদল,ছাত্রদল ও অংগ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দীপেন দেওয়ান বলেন, অবৈধ ভাবে বিগত ৫জানুয়ারি আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় এসেছে ঠিক একাদশ নির্বাচনেরও একই কায়দায় ক্ষমতায় আসার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে। আওয়ামীলীগের এই নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে দেবে না এ দেশের সচেতন জনগণ। তিনি নেতাকর্মী দের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন থেকে সবাই সজাগ থাকতে হবে। আগামী একাদশ নির্বাচনে যেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অংশ গ্রহন করতে না পারে সে জন্য দেশ নেত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। এখানে বিএনপিকে নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই এই ষড়যন্ত্রকারিীদের রুখে দাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, জেলা বিএনপি আওয়ামীলীগ দ্ধারা পরিচালিত হচ্ছে এমন অভিযোগ বিএনপি ও সাধারণ মানুষের। রাঙামাটির বিএনপিকে ধ্বংস করতে জেলা বিএনপি আওয়ামীলীগের সাথে গোপন আতাত করছে।

বক্তারা বলেন,জেলা বিএনপি কোন রাস্তায় হাটছেন তারা নিজেরা ও সঠিক ভাবে বলতে পারছে না। রাঙামাটিতে দীপেন দেওয়ানের নেতৃত্বে আগেও এ জেলায় বিএনপি শক্তিশালী ছিল। বর্তমানেও শক্তি শালী ও সুসংগঠিত হয়ে তার সঠিক নেতৃত্বে পাহাড়ে বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে। দীপেন দেওয়ানের বিকল্প নেই বললেই চলে। রাঙামাটির নেতাকর্মীরা আগামীতে এডভোকেট দীপেন দেওয়ানকে এ আসন থেকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়।

Share This:

The post রাঙামাটি বিএনপির দুগ্রুপে সকাল বিকাল কর্মসুচী পালন appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%a8%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%aa/feed/ 0
অস্ত্রের ভাষা পরিহার না করলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে : হানিফ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%95/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%95/#respond Mon, 15 Jan 2018 09:43:47 +0000 http://www.chttoday.com/?p=42414 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ... বিস্তারিত.... »

The post অস্ত্রের ভাষা পরিহার না করলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে : হানিফ appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পরে ১৯৯৭সালে ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন যার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বয়ে এনেছিলেন। পাহাড়ী-বাঙালী ভাই ভাই আমরা সবাই একসাথে পাহড়ে কাজ করে যাবে। এটাই সবার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছি।
কিন্তু আমি অবাক হয়ে গেলাম শুনে। যারা এখনো তাদের দাবির নামে অস্ত্র হাতে নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমরা পরিষ্কার ভাবে বলে দিতে চাই, অস্ত্র কোনদিন শান্তির ভাষা হতে পারে না। অস্ত্রের ভাষা কখনো দাবি আদায়ের ভাষা হতে পারে না। আপনাদের কোনা সমস্যা কিংবা দাবি থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরজা সব সময় খোলা। সব সমস্যা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন। অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলে আপনারা সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচিত হবেন।
আমরা জঙ্গিবাদের শিখর উপরে ফেলেছি, আমরা রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি বানাতে দিতে পারি না।
এখনো যারা ভুল পথে হাটছেন তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ অস্ত্রের ভাষা ছেড়ে দিয়ে আলোচনায় বসুন। আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের সমাধানের পথ খুজুন। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানের পথ খুজে পাওয়া যাবে। অস্ত্রের ভাষা দিয়ে সমাধানের পথ খুজে পাওয়া যাবে না।
পৃথিবীর কোথাও কেউ অস্ত্র দিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করতে পারে নাই। বাংলাদেশের পারবে না। আমরা অনুরোধ করবো যারা এখনো ভুল পথে চলছেন তারা সঠিক পথে চলে আসুন।
তিনি আজ দুপুরে রাঙামাটি ক্ষুদ্র ইনষ্টিটিউটে জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নাই, বর্তমান সরকার দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকর। বর্তমান সরকারের আমলে যে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব। ইতিমধ্যে তা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা আপনাদের বলতে চাই নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যান। এরপরও যদি আমাদের নেতা কর্মীদের উপরে যদি কোনো বিচ্ছিন্নভাবে সমস্যা হয়, তার মোকাবেলা কিভাবে করতে হয় তা আমরা জানি। এই দেশে অন্যায় করে কেউ পার পাবে এটা হবে না। দেশের নাগরিকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, এনামুল হক শামীম, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়াসহ জেলা উপজেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাফুজুল হায়দার রোটন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মাহবুবুল আলম হানিফ আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ী এবছরের ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন হবে, ২০১৪সনে নির্বাচনের আগে আদালত জামাতকে নিষিদ্ধ করায় বিএনপি পাকিস্তানের নির্দেশ ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। কারন জামাত বিএনপি এরা পাকিস্তানের সৃষ্টি ও পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত।
বর্ধিত সভায় আওয়ামীলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়–য়া বলেন, শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে বাকি ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে। পার্বত্য এলাকা বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ, এখানে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস আওয়ামীলীগ সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ^াসী বলে চুক্তি করেছে। আমাদের শক্তি হচ্ছে, শান্তি, সম্প্রীতি সৌহার্দ্য ও ঐক্য। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে উন্নয়নের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করতে হবে।
আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, রাঙামাটি আওয়ামীলীগকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, যে আওয়ামীলীগ নৌকার সাথে আছে বঙ্গবন্ধুর সাথে আছে, শেখ হাসিনার সাথে আছে সেই আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সাথে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি সকল সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আগামী নির্বাচনে রাঙামাটিতে নৌকাকে বিজয়ী করতে নেতা কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার অভিযোগ করেন, অবৈধ অস্ত্রধারীদের হুমকির মুখে অনেক নেতৃবৃন্দ বর্ধিত সভায় যোগ দিতে রাঙামাটি আসতে পারেনি।
আলোচনা সভার পুর্বে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন নেতৃবৃন্দ, পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন তারা।

Share This:

The post অস্ত্রের ভাষা পরিহার না করলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে : হানিফ appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%95/feed/ 0
আওয়ামীলীগের পোষ্টারে জেএসএসের নিন্দা, পোষ্টার প্রত্যাহারের আহবান http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%8f/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%8f/#respond Sun, 07 Jan 2018 09:57:19 +0000 http://www.chttoday.com/?p=42174 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সম্প্রতি রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ কর্তৃক প্রচারিত... বিস্তারিত.... »

The post আওয়ামীলীগের পোষ্টারে জেএসএসের নিন্দা, পোষ্টার প্রত্যাহারের আহবান appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সম্প্রতি রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ কর্তৃক প্রচারিত ও প্রকাশিত “জেএসএস সন্ত্রাসীদের এ কেমন নৃশংসতা!!” শিরোনামে পএকটি পোস্টার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত পোস্টারে গত ৫ ডিসেম্বর বিলাইছড়িতে ‘রাসেল মারমাকে পাশবিক ও নিষ্ঠুর নির্যাতন’ ও জুরাছড়িতে ‘অরবিন্দু চাকমাকে খুন’ এবং ৬ ডিসেম্বর ‘ঝর্ণা চাকমাকে পাশবিক হামলার’ ঘটনায় জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা প্রেরিত এক বিবৃতিতে বলেন, পোষ্টারে ছাপানো ঘটনাগুলোর সাথে জেএসএস জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট, তিনি জনমতকে বিভ্রান্ত ও জনসংহতি সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক পোস্টার প্রচার ও প্রকাশের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বস্তুত রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার নির্লজ্জ অপব্যবহার, চরম দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন, টে-ারবাজি-চাঁদাবাজি, দলীয় কোন্দল, দলাদলি ও হানাহানি, জঘন্য দলীয়করণ ইত্যাদির ফলে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃত্বের উপর রাঙামাটি জেলা তথা পার্বত্যবাসী যারপরনাই ক্ষুব্ধ ও অতিষ্ঠ। সর্বোপরি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের পর দীর্ঘ ১২ বছর ব্যাপী বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার পরও চুক্তি বাস্তবায়নে নির্লজ্জ গড়িমসি এবং রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী ভূমিকার ফলে অনেক আগে থেকেই পার্বত্যবাসী জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃত্বকে পরিত্যাজ্য করেছে। জেলা আওয়ামীলীগের এই ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতে ও জনমতকে বিভ্রান্ত করতেই সম্প্রতি আওয়ামীলীগ কর্মীদের উপর কে বা কারা হামলা করেছে কিংবা কি কারণে হামলা করা হয়েছে তার কোন যথাযথ তদন্ত এবং তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই এসব ঘটনা ঘটতে না ঘটতেই রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে আসছে। এসব ঘটনাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বকে হয়রানি ও নাজেহাল করা, সর্বোপরি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার হীনউদ্দেশ্যে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ জনসংহতি সমিতির সদস্য ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে চলেছে এবং জেলা আওয়ামীলীগের যোগসাজশে পুলিশ অন্তত ২৫ জন নিরীহ গ্রামবাসী ও জনসংহতি সমিতির সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে; আরো ২৬ জনকে সাময়িক আটক করে নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে সর্বশেষ এ ধরনের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ এনে পোস্টার ছাপিয়ে অপপ্রচারে অবতীর্ণ হয়েছে, যা রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃত্বের রাজনৈতিক অবিমৃষ্যকারিতা ও সাংগঠনিক দেউলিয়াপনারই বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি পার্বত্য চট্টগ্রামের আপামর জুম্ম জনগণ তথা স্থায়ী অধিবাসীদের অধিকারকামী একটি রাজনৈতিক দল এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে লিপ্ত রয়েছে। রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের ভুলে গেলে চলবে না যে, পূর্বে জনসংহতি সমিতিকে উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে ‘অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’ হিসেবে অপবাদ দিয়ে কেউ তাদের ষড়যন্ত্রমূলক নীল-নক্সা সফল করতে পারেনি। বরঞ্চ জনসংহতি সমিতি বরাবরই পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে প্রতিনিধিত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তাই এ ধরনের অবিমৃষ্যকারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য এবং রাজনৈতিক হীনউদ্দেশ্যে প্রকাশিত এই ষড়যন্ত্রমূলক পোস্টার প্রত্যাহার করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগকে আহ্বান জানাচ্ছে।

Share This:

The post আওয়ামীলীগের পোষ্টারে জেএসএসের নিন্দা, পোষ্টার প্রত্যাহারের আহবান appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%8f/feed/ 0
“হত্যা আর পদত্যাগের ভয় দেখিয়ে আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহৃ করা যাবে না” http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a7%9f-%e0%a6%a6%e0%a7%87/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a7%9f-%e0%a6%a6%e0%a7%87/#respond Sat, 09 Dec 2017 14:29:04 +0000 http://www.chttoday.com/?p=41255 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর... বিস্তারিত.... »

The post “হত্যা আর পদত্যাগের ভয় দেখিয়ে আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহৃ করা যাবে না” appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে জুরাছড়ি উপজেলার ১০/১২জন উপজাতীয় নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগের সংগঠন থেকে পদত্যাগের সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোনো পদত্যাগ পত্র জেলা আওয়ামী লীগ এর বরাবর আসেনি। পরস্পর শোনা যাচ্ছে যে, জেএসএস (সন্তু গ্রুপ) আওয়ামী লীগের উপজাতীয় বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের জোর পূর্বক পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করছে।

এ ধরণের চাপের মুখে যদি কোনো নেতা-কর্মীকে পদত্যাগের জন্য বাধ্য করে, তাহলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ এর কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। শত অপচেষ্টা করলেও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ সব বিষয় রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করে আসছে। হত্যার ভয় আর পদত্যাগে বাধ্য করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। কেননা আওয়ামী লীগ ভেসে আসা কোনো দল নয়, আওয়ামী লীগ বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী তৃণমূলের সংগঠন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ত্রবাজিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।

আজ সন্ধ্যায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মূল নীতি অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনাকে ধারণ করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় যাবৎ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত অত্রাঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা করে আসছে। অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, বিগত কয়েক বৎসর ধরে পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, স্থানীয় আঞ্চলিক দল জেএসএস আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিশেষ করে পাহাড়ী জনগোষ্ঠী যারা আওয়ামী লীগ সংগঠনের সাথে জড়িত, তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। যেন আওয়ামী লীগ সংগঠন না করে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের মত ঘটনাও একাধিক বার ঘটেছে। ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু অনীল তনচঙ্গ্যাকে অপহরণের পর হত্যা করে, রাজস্থলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু মংকিউ মার্মাকে নীজ বাড়ীতে গুলি করে হত্যা করে।

গত ২ ডিসেম্বর ২০১৭ খ্রি: তারিখ শান্তি চুক্তির ২০তম বর্ষপূর্তি উদযাপনের প্রাক্ষালে জেএসএস সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র রোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) প্রকাশ্যে তিন পার্বত্য জেলায় আগুন জ্বালানোর হুমকি দিলে গত ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ খ্রি: তারিখ রাঙ্গামাটি জেলাধীন জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি বাবু অরবিন্দু চাকমাকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। একই দিন বিলাইছড়ি উপজেলার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু রাশেল মার্মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। যিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

উপরে উল্লেখিত ঘটনাসমূহের প্রতিবাদে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ খ্রি: তারিখ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিলে প্রতিবাদ সমাবেশে রাঙামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণাখীসা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা রাখলে ঐদিনই রাতে ঝর্ণাখীসার বাড়ীতে ৫০/৬০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হানাদিয়ে ঝর্ণাখীসা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের লক্ষ্যে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। তিনিও চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম রয়েছেন।

এরপরও তারা ক্ষান্ত হয়নি। বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগ এর উপজাতি নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে দল থেকে পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে। জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু অরবিন্দু চাকমাকে হত্যার পর জেএসএস সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগ এর স্থানীয় উপজাতীয় নেতা-কর্মীদের দল থেকে পদ ত্যাগের জন্য অস্ত্রের মুখে বাধ্য করছে।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে চলমান খুন, গুম, অপহরণ ও অস্ত্রের মূখে বেপরোয়া চাঁদাবাজিসহ এধরনের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি চলতেই থাকবে। এ পরিস্থিতি থেকে তিন পার্বত্য জেলার জনগণকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অচিরেই অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কার্যকর পদক্ষেপ করে দেশের অন্যান্য সমতল জেলার ন্যায় যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

Share This:

The post “হত্যা আর পদত্যাগের ভয় দেখিয়ে আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহৃ করা যাবে না” appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a7%9f-%e0%a6%a6%e0%a7%87/feed/ 0
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারলে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে : দীপংকর তালুকদার http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a7%88%e0%a6%a7-%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%aa/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a7%88%e0%a6%a7-%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%aa/#respond Fri, 01 Dec 2017 21:14:12 +0000 http://www.chttoday.com/?p=40954 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য... বিস্তারিত.... »

The post অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারলে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে : দীপংকর তালুকদার appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করছে না এমন অভিযোগ করলে আমাদের প্রতি অবিচার করা হবে, আমরা চুক্তি বাস্তবায়নে যতটা আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে এসেছি, আমাদের বন্ধুরা ততটা নেতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করছে। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন একটা চলমান প্রক্রিয়া, এটা দর্জির কাপড় সেলাই করার মত নয় যে কাপড় বানানোর ওয়ার্ডার দিলাম আর তিনদিন পরে এসে নিয়ে গেলাম। আমাদের দরকার আস্থা,স্থিতিশীল পরিস্থিতি কিন্তু আমরা দেখছি শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে নামে পার্বত্য এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, অবৈধ অস্ত্রের ঝনাঝনানি, চাদাবাজির কারনে মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, চলাচলের স্বাধীনতা নাই, ব্যবসা বাণিজ্যে করতে পারছে না. মানুষ কথা বলতে পারছে না তারা অবৈধ অস্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। অস্থিতিশীল পরিবেশ যদি বিরাজ করতে থাকে তাহলে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা কঠিন। সে জন্য আমরা বলেছি আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র সম্পুর্ণ উদ্ধার করতে হবে, স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে হবে তাহলে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে।

পার্বত্য শান্তি চুক্তির দুই দশক পুর্তি উপলক্ষে রাঙামাটিস্থ তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, আমরা কি কখনো বলেছি আমরা শতভাগ চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি, এটি চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের পরে ইংল্যান্ডের সাথে নর্দান আয়ার ল্যান্ডের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল, সেখানে পরিবেশ ছিল ভিন্ন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা এবং সেনা প্রধান চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং সবাই ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল। এই পরিবেশের কারনে তারা খুব আশাবাদী ছিল যে চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারবে এবং ২০০০ সনের মধ্যে চুক্তি পুনাঙ্গ বাস্তবায়নের রোডম্যাপ ঘোষণা করে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো তারা রোডম্যাপ অনুযায়ী চুক্তির ৪০ শতাংশের বেশী বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আমি একথা বলছি একারনে যারা রোডম্যাপ ঘোষণার কথা বলছেন তাদের, রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই যে চুক্তি পুনাঙ্গ বাস্তবায়িত হয় না তার বড় প্রমাণ নর্দান আয়ার ল্যান্ড।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, গত ২০ বছরে চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারি নাই এটা আমাদের জন্য যন্ত্রণার, সময় অনেকটা পেরিয়ে গেছে। আমরা কখনো বলি নাই চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করেছি। আমরা কখনো বলি নাই ভুমি সমস্যার সমাধান হয়েছে , চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও পক্ষান্তরে আমরা দেখেছি অন্যপক্ষের নেতিবাচক মনোভাব বেশী কাজ করছে। সব সময় নেতিবাচক মনোভাব না দেখিয়ে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসলে চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। আমি সেদিন ইন্টারনেট ঘেটে দেখেছি শান্তি চুক্তির ৬৫ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছি।
আমরা দেখেছি আমাদের বন্ধুগন সব সময় চুক্তি বিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়েছে, আমরা আন্তরিক ছিলাম বলে বিএনপির আমলেও শেষ পর্যন্ত আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম সংলাপ কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থেকেছি, কিন্তু বিএনপি আমাদের সময় সংলাপ কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হয়নি। বরং শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেণী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে, বাঙালীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে চলে যেতে হবে এমন অভিযোগ তোলে হরতাল, লংমার্চ করেছিল। আমরা দেখলাম ২০০১ সালে নির্বাচনে আমাদের বন্ধুরা চুক্তি বিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়েছে। বিএনপি জামাত জোট তো সরকারে ছিল তারা বলেছিল ক্ষমতায় আসলে চুক্তি বাতিল করবে কিন্তু তারা চুক্তি বাতিলও করেনি, আবার এক চুল পরিমানও বাস্তবায়ন করেনি, যা করেছে আওয়ামীলীগ করেছে। চুক্তি করেছি আমরা বাস্তবায়ন আমরাই করব।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, আমাদেরকে নেতিবাচক মনোভাব পরিহারের পাশাপাশি ইতিবাচক মনোভাব এগিয়ে আসতে হবে, উদ্ধার করতে অবৈধ অস্ত্র তাহলে চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে যাবে। চুক্তি বাস্তবায়ন অনেকাংশে হয়েছে বলে পার্বত্য মন্ত্রনালয় হয়েছে, আঞ্চলিক পরিষদ, টাস্কফোর্স হয়েছে, জেলা পরিষদ আইন সংশোধন হয়েছে, ভুমি কমিশন আইন হয়েছে। সন্তু লারমা বলছেন তার হাতে কোন ক্ষমতা নেই যদি নাই-ই থাকে তাহলে তিনি এনজিওগুলোর সাথে কিভাবে সমন্বয় করছেন, উপজেলায় পর্যায়ে ইউএনওদের সাথে খবরদারি করছেন, এছাড়া আঞ্চলিক পরিষদ তো পুরোটাই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কাজগুলো দেখা শোনা করছে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার যখন কোন উন্নয়ন কাজ হাতে নেয়, তখন-ই তারা বিরোধীতা করে। যেখানে দেশের বিভিন্ন স্থানে মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের জন্য আন্দোলন করে সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কারণে রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^দ্যিালয় স্থাপনের কাজ হাতে নেয় এবং ক্লাশ শুরু করে আগামী ২বছর পর এখান থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বের হবে অথচ সেখানেও তাদের বাধা। যদি কোন সমস্যা থাকে সেটি আলোচনা করে সমাধান করা যেতে পারে, কিন্তু বিরোধীতার কারণে বিরোধীতা তারা করেই চলেছেন। তবে যে সব প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে সেগুলোর কাজ খুব দ্রুত শুরু করা হবে।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি অনুযায়ী অনেক অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে । কিন্তু সন্তু লারমা সব ক্যাম্প প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন, আমরা একদিকে দেখছি সন্তু লারমা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলছেন আবার অন্যদিকে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে গুন কীর্তন করছেন, আমরা কোনটাকে বিশ^াস করব।
দীপংকর তালুকদার আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তির বিষয়ে বলেন, এরা চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। আমার উদ্বেগ উৎকন্ঠা ও আতংকের মধ্যে আছি কারণ এরা একে অপরকে মুখোশ বাহিনী বলছে। মুখোশ পরে এরা কখন অপকর্ম করবে, কাকে মেরে ফেলে মুখোশবাহিনী করেছে বলে চালিয়ে দেয় এটা নিয়ে আমরা শংকিত। রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে, কারো মতের সাথে মতের অমিল থাকতে পারে কিন্তু রাজনীতি হবে গনতান্ত্রিক উপায়ে। কিন্তু আঞ্চলিক দলগুলোর বিভক্তির মাধ্যমে যদি অবৈধ অস্ত্রের ঝনাঝনানি বেড়ে যায় তাহলে পাহাড় আবার অশান্ত হওয়ার আশংকা থেকেই যায়।

Share This:

The post অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারলে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে : দীপংকর তালুকদার appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a7%88%e0%a6%a7-%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%aa/feed/ 0
অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা সন্তু লারমার http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a6%be/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a6%be/#respond Wed, 29 Nov 2017 14:10:42 +0000 http://www.chttoday.com/?p=40864 সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিরি উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দুই দশকপূর্তি... বিস্তারিত.... »

The post অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা সন্তু লারমার appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিরি উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দুই দশকপূর্তি উপলক্ষ্যে রাজধানীর সুন্দরবন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে করেন জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট কলামিষ্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, মানবাধিকার কর্মী নুমান আহমেদ খান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের অর্থ সম্পাদক এন্ড্রু সলোমার প্রমুখ।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দুই দশক পূর্ণ হতে চললেও চুক্তির মৌলিক বিষয়সমূহের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ বিষয়ই অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়ে গেছে। অথচ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের মাধ্যমে চুক্তির প্রতিটি ধারা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করা হবে বলে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিল। কিন্ত দুঃখের বিষয় হলেও সত্য বিগত ৯ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন থাকা সত্ত্বেও বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার চুক্তির মৌলিক বিষয়সমূহ বাস্তবায়নে কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত গোয়েন্দা বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ক্ষমতাসীন দলের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী ভূমিকা পালন করে চলেছে। চুক্তিতে সকল প্রকার অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহারের বিধান থাকলেও এখনো চার শতাধিক ক্যাম্প পার্বত্যাঞ্চলে বিদ্যমান রয়েছে। সেনাশাসন চলমান হেতু পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাধে যত্রতত্র সেনা অভিযান, তল্লাসী, ধরপাকড়, মারপিট, দমন-পীড়ন এবং বাক স্বাধীনতা ও সভা সমাবেশের উপর হস্তক্ষেপ ইত্যাদি চলছে। এছাড়াও তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা, পুলিশ, ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, বন ও পরিবেশ, পর্যটন, মাধ্যমিক শিক্ষা, উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়গুলো এখনো তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্থান্তর করা হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন কার্যকর করা হয়নি। ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি, সেটেলার বাঙালিদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনক পুনর্বাসন, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্বাস্তদের স্ব-স্ব জায়গা-জমি প্রত্যর্পণ পূর্বক যথাযথ পুনর্বাসন করা হয়নি।

সন্তু লারমা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নের স্বার্থে চুক্তি-পরিপন্থী ও জুম্ম স্বার্থ বিরোধী যে কোন ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে জুম্ম জনগণ আজ দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি ২০১৬ সালে ঘোষিত দশদফা কর্মসূচির ভিত্তিতে অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাওয়া; পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী সকল কার্যক্রম প্রতিরোধ করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা  এই তিনদফা আন্দোলনের ঘোষণা দেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য দেশের গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিও আহ্বান জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নির্দিষ্ট নীতি ও আদর্শ রয়েছে। সে নীতি ও আদর্শকে ধারণ করে জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছে। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্যসহ জুম্মদেরকে চাঁদাবাজি, অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী, বিচ্ছিন্নতাবাদী ইত্যাদি সাজানো অভিযোগে অভিযুক্ত করে মিথ্যা মামলা দায়ের, ধরপাকড়, জেলে প্রেরণ, ক্যাম্পে আটক ও নির্যাতন, ঘরবাড়ি তল্লাসী ইত্যাদি নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী চক্র যারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল রাখতে চায় তারাই জনসংহতি সমিতির নামে কুৎসা রটায়। তাই উড়ো কথায় কান না দিয়ে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে দেশের আপামর জনগণকে এগিয়ে আসার জন্যও আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ও অত্যন্ত নাজুক। জুম্ম জনগণ নিরাপত্তাহীন ও অনিশ্চিত এক চরম বাস্তবতার মুখোমুখী হয়ে কঠিন জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছে । বস্তত পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান সমস্যা রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। তিনি বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় জুম্ম জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাদের আর পেছনে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। ফলশ্রুতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে বলেও তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

Share This:

The post অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা সন্তু লারমার appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a6%be/feed/ 0
চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে : সজীব চাকমা http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a7%e0%a7%80-%e0%a6%93-%e0%a6%9c%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a7%e0%a7%80-%e0%a6%93-%e0%a6%9c%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac/#respond Sun, 19 Nov 2017 03:52:16 +0000 http://www.chttoday.com/?p=40558 বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারই ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির... বিস্তারিত.... »

The post চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে : সজীব চাকমা appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারই ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ স্বাক্ষর করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে রাজনৈতিক ও জাতীয় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে এবং এই সমস্যাকে রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের লক্ষ্যেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। স্মর্তব্য যে, এরশাদের সামরিক সরকার ও খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত বিএনপি সরকারের সাথেও জনসংহতি সমিতির দীর্ঘ সংলাপ হয় এবং অনেক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। যদিও এই দুই সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত আলোচনা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারেনি।
পার্বত্যবাসীর আশা ছিল, চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। সংঘাত-সংঘর্ষের পরিবর্তে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। এই অঞ্চলের জাতিগত বিলুপ্তির দিকে ধাবমান জুম্ম জাতিসমূহ তাদের জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার নিশ্চয়তা পাবে এবং ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। জাতিগত ও প্রকৃতিগতভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ এই অঞ্চলটি চুক্তির আলোকে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জল হবে এবং দেশের জন্য এক অনন্য ভাবমূর্তি সৃষ্টি করবে। এখানে আর সাম্প্রদায়িক পরিবেশ থাকবে না। সত্যিকার অর্থে এখানে উন্নয়নের যাত্রা শুরু হবে।
কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরের পর আজ ২০ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে, এখনও পর্যন্ত চুক্তিটি, বিশেষ করে চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়সমূহ এখনও পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। আরও উদ্বেগের বিষয় হল, এমনকি চুক্তি স্বাক্ষরকারী আওয়ামীলীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকলেও চুক্তিটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নে সরকারের কোন আন্তরিক উদ্যোগ দেখা যায় না। উদাহরণস্বরূপ, পার্বত্য সমস্যার অন্যতম প্রধান সমস্যা ভূমি সমস্যার একটি ভূমি বিরোধও নিষ্পত্তি হয়নি; একজন অভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্বাস্তুও পুনর্বাসন করা হয়নি; দীর্ঘ ২০ বছরেও আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচন বিধিমালা ও ভোটার তালিকা বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি ও নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা যায়নি; সকল অস্থায়ী ক্যাম্প পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী নিবাসে ফেরত নেয়া এবং এই লক্ষে সময়-সীমা নির্ধারণ করার বিধান থাকলেও এখনো তিন শতাধিক অস্থায়ী ক্যাম্প ও ‘অপারেশন উত্তরণ’ প্রত্যাহার করা হয়নি; জেলা পরিষদে এখনও সকল বিষয় হস্তান্তর করা হয়নি, যেগুলো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অনেক বিষয় চুক্তি অনুযায়ী যথাযথভাবে হস্তান্তর ও কার্যকর করা হয়নি। বস্তুত, বলা যায় সরকার বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রেখেছে।
শুধু তাই নয়, সরকার উল্টো চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী নানা পরিকল্পনা ও কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় প্রতিনিয়ত জুম্ম জনগণসহ স্থায়ী বাসিন্দাদের অধিকার খর্ব হচ্ছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি জটিলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে, তেমনি অপরদিকে উন্নয়নের নামে চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী নানা উদ্যোগ ও কার্যক্রমের ফলে জুম্মদের জাতীয় অস্তিত্ব ও জন্মভূমির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের ফলে এ যাবৎ শত শত একর জুম্মদের জুমভূমি ও আবাসভূমি বেদখল করা হয়েছে, এখনও দখলের প্রক্রিয়া রয়েছে। বিশেষ করে বান্দরবানের নীলগিরি (কাপ্রু ¤্রাে পাড়া), জীবন নগর (সেপ্রু পাড়া), চন্দ্র পাহাড়, ডিম পাহাড় (ক্রাউডং), নীলাচল ও রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের ফলে মোট ২৬টি গ্রামের অন্তত ৬৯৭টি ¤্রাে, মারমা, ত্রিপুরা ও তঞ্চঙ্গ্যা পরিবার উচ্ছেদ ও ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে তথ্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্যোগে ক্যাম্প সম্প্রসারণ, নতুন ক্যাম্প স্থাপনের নামে প্রতিনিয়ত জুম্মদের ভূমি বেদখল করা হচ্ছে বা বেদখলের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নের কার্যক্রমকে একপাশে সরিয়ে রেখে উন্নয়নের নামে জুম্মদের জায়গা-জমি থেকে উচ্ছেদ ও বহিরাগত পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে জুম্মদের সংখ্যালঘু করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকার, সরকারের স্থানীয় কায়েমী স্বার্থবাদী ও সামরিক-বেসামরিক আমলাদের যোগসাজসে একতরফাভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ স্থাপন, রাজস্থলী-বিলাইছড়ি-জুরাছড়ি-বরকল-ঠেগামুখ সংযোগ নির্মাণ, রাঙ্গামাটি জেলার কাচালং ও সীতাপাহাড় ভূ-গঠনে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বস্তুত চুক্তিকে পাশ কাটিয়ে, পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানকে পাশ কাটিয়ে উন্নয়নের নামে এধরনের একতরফা উদ্যোগ পার্বত্য সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এবং পার্বত্যবাসীদের জন্য কোন সুফল বয়ে আনবে না।
জাতীয় পর্যায়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দেখাশোনা করার কথা পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু দু:খজনক যে, সেই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় যে হিসেবে পার্বত্যাঞ্চলের জনগণের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভূমিকা পালন করার কথা, সে হিসেবে ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় না। বরঞ্চ প্রায় ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী ভূমিকা গ্রহণ করতে দেখা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নের পথে অন্যতম প্রতিবন্ধক হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছে ক্ষমতাসীন দলের পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় কায়েমী স্বার্থবাদীরা। তারা মুখে চুক্তি বাস্তবায়নের কথা বললেও কাজেকর্মে কার্যকর কোন ভূমিকা দেখা যায় না। তাই জনসংহতি সমিতি যখনই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে, বিশ্লেষণ করে দেখিয়ে দেয় এবং চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানায়, তখনি তারা সরকারের নীতি-নির্ধারকদের চেয়ে অতিউৎসাহী হয়ে ‘চুক্তির অধিকাংশ বিষয় বা চুক্তির ৯৮% ভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে’, ‘সব হবে, ধীরে ধীরে হবে, হচ্ছে’, ‘চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে জনসংহতি সমিতি ও সন্তু লারমা মিথ্যাচার করছেন’ বলে প্রতারণা ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করে থাকে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি এমনি এমনি আসেনি, হঠাৎ আকাশ থেকে পড়েনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে একটি জাতীয় ও রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে স্বীকার করে সামরিক ও নির্বাচিত তিন-তিনটি সরকারের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে মোট ২৬ বার বৈঠক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তবেই বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। আর এই চুক্তির ফলে দীর্ঘ দুই দশকের অধিক সময় ধরে চলা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও জনসংহতি সমিতির মধ্যকার সশস্ত্র সংঘাতের অবসান হয়েছে এবং জনসংহতি সমিতি সরকারের নিকট অস্ত্র জমা দিয়ে জুম্ম জনগণের স্বায়ত্তশাসন আদায়ের সশস্ত্র সংগ্রামের পথ পরিহার করে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথে প্রত্যাবর্তন করে। পাহাড়ি-বাঙালি বহু মানুষের জীবন, জনসংহতি সমিতির অনেক সদস্যের বহু রক্তপাত, অসংখ্য জুম্ম মা-বোনের ইজ্জত, অগণিত জুম্ম নর-নারীর বহুমুখী ও ব্যাপক ভিত্তিক ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে এই চুক্তি অর্জিত হয়েছে। কাজেই পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রায়নের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বিকল্প থাকতে পারে না।
যে লক্ষ্য ও আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, চুক্তিটি বাস্তবায়িত না হওয়ায় সে লক্ষ্য আজ ব্যর্থ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে এবং আশা-আকাক্সক্ষা ধুলিসাৎ হতে চলেছে। বিশেষ করে চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের কার্যকর ভূমিকার অনুপস্থিতির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘ বঞ্চিত ও নিপীড়নের শিকার আদিবাসী জুম্ম ও বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর মধ্যে গভীর হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করে চলেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রামে আর যাই হোক শান্তি, সংহতি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। সমস্যাটি সমাধানের বিপরীতে বরং অধিকতর জটিল আকারই ধারণ করবে। ফলে সামগ্রিক স্বার্থেই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়ন জরুরী।

লেখক: সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি

Share This:

The post চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে : সজীব চাকমা appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a7%e0%a7%80-%e0%a6%93-%e0%a6%9c%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac/feed/ 0
শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ২০ দফা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করছে টাস্কফোর্স http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%80-%e0%a7%a8%e0%a7%a6/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%80-%e0%a7%a8%e0%a7%a6/#respond Thu, 16 Nov 2017 17:58:51 +0000 http://www.chttoday.com/?p=40497 সিএইচটি টুডে ডট কম। পার্বত্য চট্টগ্রামে যখন অস্থিরতা এবং যুদ্ধাবস্থা ছিল তখন প্রাণ বাঁচাতে অনেক... বিস্তারিত.... »

The post শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ২০ দফা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করছে টাস্কফোর্স appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম। পার্বত্য চট্টগ্রামে যখন অস্থিরতা এবং যুদ্ধাবস্থা ছিল তখন প্রাণ বাঁচাতে অনেক পাহাড়ী  ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়, পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর সরকার সে সব শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চুক্তি মোতাবেক “ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুর্নবাসন এবং আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন টাস্কফোর্স” গঠন করে। শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ২০ দফা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করছে সংস্থাটি এমনটা জানালেন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

তিনি আরো জানান, পার্বত্য শান্তি চুক্তির (ঘ) ১ ধারা মোতাবেক ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থানরত উপজাতীয় ১২,২২২টি পরিবারের ৬৪ হাজার ৬১২জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং তাদের ২০ দফা প্যাকেজ অনুযায়ী পুর্নবাসন করা হয়েছে, তবে কিছু পরিবার নিয়ে সমস্যা রয়েছে এসব যাচাই বাছাই চলছে। ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের মধ্যে খাগড়াছড়িতে ১২,১৬৯ পরিবার এবং রাঙামাটিতে ৫৩ পরিবারকে পুর্নবাসন করা হয়েছে।

সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুর্নবাসন এবং আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন টাস্কফোর্স
কার্যালয়ে সিএইচটি টুডে ডট কম এর সাথে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন।

টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমরা কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারি না, কেবল সুপারিশ করতে পারি। ২০ দফা প্যাকেজের মধ্যে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের গৃহ নির্মাণের জন্য নগদ ১৫ হাজার টাকা, চাল, ডাল, তেল এবং তেল রেশন হিসেবে দেয়া হচ্ছে, ঋণের টাকা মওকুফ, মামলা প্রত্যাহার, মালিকাধীন জমি প্রত্যপর্নসহ চাকুরি দেয়া হয়েছে।
যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা জানান, চুক্তি অনুযায়ী শরনার্থীদের প্রায় ২৮টি জায়গাতে পুনর্বাসন করা হয়েছে, কিছু মামলাজনিত কারনে বাকি আছে। এসব আমরা সরকারকে জানিয়েছি মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হলে আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিছু শরনার্থী প্যাকেজের মধ্যে নাই। কারণ তারা চুক্তির আগে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত এসেছে এরকম সংখ্যা ৩শতাধিক। তারা আসার পরে সরকার থেকে কিছু সুযোগ সুবিধা পেয়েছে। এখন তাদেরও দাবি হচ্ছে এই চুক্তির মাধ্যমে যেন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। তাদের এই দাবি আমরা সরকারকে জানিয়েছি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান বলেন, পাহাড়ে পুর্নবাসিত বাঙালী রয়েছে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীসহ উদ্ধাস্ত রয়েছে সরকার বছরে বছরে তাদের পেছনে হাজার হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশষ্যে বরাদ্ধ দিচ্ছে এসব কতদিন চলবে। এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত, মানুষকে অলস না বানিয়ে তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা দরকার। যারা ক্ষতিগ্রস্ত না
পাকিস্তানি বার্মাইয়া লোক তারাও এখানে বসে আছে। তাদের পুনর্বাসনে সরকারের পরিকল্পনা করা উচিত।

শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের আন্তরিকতার কারনে ১৯৯৭ সনের ২রা ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, চুক্তির বেশীর ভাগই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভুমি কমিশন পুরোদমে কাজ শুরু করলে এবং ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি হলে চুক্তির সফলতা আসবে। শান্তি চুক্তির ফলে পার্বত্য এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে। চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে মত পার্থক্য থাকতে পারে তবে চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করতে হবে।

পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবির বিষয়ে টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান বলেন, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীরা জনগনের শত্রু, অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে সন্ত্রাসী চাদাবাজি করা হয় আমিও চাই সরকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করুক।

খাগড়াছড়ি আওয়ামীলীগের গ্রুপিং সর্ম্পকে যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আমি ২০০৪-২০১৩ইং পর্যন্ত জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলাম। তখন কোন গ্রুপিং ছিলো না। এখন কেনো গ্রুপিং শোনা যায়, এর কারণটা নির্ণয় করা দরকার। এটা কেন্দ্র থেকে দেখা দরকার। যদি গ্রুপিং থাকে তাহলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। দ্বন্দ্বের শুরুতে যদি কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করত তাহলে এতদিনে এগুলো নিষ্পত্তি হয়ে যেত। আমার মনে হয় কেন্দ্র চাইলে এগুলো কোন ব্যাপার না। দুই গ্রুপের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু সমাধানের পথে কেউ না হেটে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে এটা সরকার ও দলের জন্য বিব্রতকর।

আগামী নির্বাচনে কে মনোনয়ন পাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে অনেকেই মনোনয়ন চাইতে পারে। তবে দল যাকে দিবে তাকেই সমর্থন করবো আমরা, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

প্রসঙ্গত: ১৯৯৮ সনের ২০ জানুয়ারী ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুর্নবাসন এবং আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন টাস্কফোর্স গঠিত হয়। এর প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন কল্প রঞ্জন চাকমা এমপি, পরে দীপংকর তালুকদার এমপি ও সমীরণ দেওয়ান দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে সরকার প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ২০০৯ সনের ২৭ আগষ্ট টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেন, তিনি অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করছেন।

Share This:

The post শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ২০ দফা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করছে টাস্কফোর্স appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%80-%e0%a7%a8%e0%a7%a6/feed/ 0
আওয়ামীলীগ নয়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আঞ্চলিক দলগুলোর সাথে http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%a8%e0%a7%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%aa/ http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%a8%e0%a7%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%aa/#respond Thu, 16 Nov 2017 17:55:32 +0000 http://www.chttoday.com/?p=40491 ওয়াদুদ ভুইয়া সাবেক সংসদ সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির... বিস্তারিত.... »

The post আওয়ামীলীগ নয়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আঞ্চলিক দলগুলোর সাথে appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

ওয়াদুদ ভুইয়া সাবেক সংসদ সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি। পাহাড়ের বাঙ্গালীদের মধ্যে নেতৃত্বের যে সংকট চলছে তার শুন্যতা পুরনের চেষ্টা করছেন। তার এলাকার পাশাপাশি তিনি রাঙামাটি জেলার বাঙ্গালীদের একটি অংশের কাছে বেশ জনপ্রিয় নেতা। ওয়াদুদ ভুইয়া ১৯৬৫ সনের ৫ জানুয়ারী তিনি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৮০ সনে রামগড় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। তার উচ্চতর লেখা পড়া শেষ করেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শোনার সময় ১৯৯৮৬-৮৭সনে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক ছিলেন। ১৯৮৯ সনে খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনে তিনি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওয়াদুদ ভুইয়া ষষ্ঠ, সপ্তম, ৮ম নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন এবং দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জেলে থাকার কারনে ২০০৯ সনের নবম সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারেননি। সর্বশেষ ২০১৪ সনের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন না করার কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নেননি। গতবার বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তিনি পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩ বছর জেলে থাকার পর ২০০৯ সনের মে মাসে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর ২/৩ এলাকায় গেলেও প্রশাসনের বাঁধার কারনে এলাকায় থাকতে পারেননি। তবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নানাভাবে সর্ম্পক গড়ে তোলে দলকে সুসংগঠিত করেছেন। বর্তমানে তিনি বেশীর ভাগ সময় এলাকায় অবস্থান করছেন এবং আগামী নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জোট থেকে খাগড়াছড়ি আসনে অংশ গ্রহন করবেন।
ওয়াদুদ ভুইয়া পাহাড়ের জনপ্রিয় অনলাইন দৈনিক সিএইচটি টুডে ডট কমের ৪ বছর পেরিয়ে ৫ বছর পর্দাপন উপলক্ষে একান্ত সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন আগামীতে নির্বাচিত হলে পাহাড়ী বাঙ্গালী সবাইকে সাথে নিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন। তিনি জানান, পাহাড়ে আঞ্চলিক দলগুলো যেভাবে মাথাছাড়া দিয়ে উঠছে, তাতে তিন পার্বত্য জেলায় আগামী সংসদ নির্বাচন আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র মধ্যে নয়, আঞ্চলিক দলগুলোর সাথেই করতে হবে। তিনি অবিলম্বে পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার দাবি জানান। সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেছেন সিএইচটি টুডে ডট কম এর সম্পাদক ফজলুর রহমান রাজন। নিচে তার সাক্ষাতকারটি হুবহু তোলে ধরা হলো।

প্রশ্ন: কেমন আছেন?
ওয়াদুদ ভুইয়া : ভালো আছি।

প্রশ্ন: আপনার ছাত্রজীবন ও রাজনৈতিক জীবন সর্ম্পকে যদি কিছু বলেন, রাজনীতিতে কিভাবে জড়ালেন?
ওয়াদুদ ভুইয়া: আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আমার দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে উনি ফেণীর জিয়াউর রহমানের সাথে আমার প্রথম দেখাটা হয়, ফেণীর শুভপুর ব্রিজের কাছে। তিনি সেখানে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধের স্মৃতিগুলো দেখতে এসেছিলেন। আমি সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলাম। স্বাধীনতা যুদ্ধে তখন আমরা যার নাম শুনেছিলাম তিনি জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান শুভপুর ব্রিজের কাছে আসার পর তখন আমি উনার কাছে ছোট শিশু হিসেবে বেশ আদর পেয়েছি, তখন থেকে উনার প্রতি আমার একটা আকর্ষণ ছিল। এখান থেকেই প্রথম সূচনা। পরে আমি যখন ১৯৮০সালে এসএসসি পরীক্ষা দেই তখন তিনি রামগড় এসেছিলেন একটা সমাবেশে, সেই সমাবেশে রাঙামাটির তৎকালীন ডিসি আলী হায়দার সভাপতিত্ব করেন। এই সভায় প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। আমি সেই সভা উপস্থাপনা করি। তখন আমি এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি, কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু সেই দিনের সভায় আমি রামগড়ে যেহেতু কলেজ ছিলো না, তাই আমি সভায় কলেজ নির্মানের দাবি জানালাম। তারই প্রেক্ষিতে তৎকালীন জেলা প্রশাসককে ৩ মাসের মধ্যে কলেজ নির্মানের নির্দেশ দেন জিয়াউর রহমান। সে সময় তিনি বলেন, আগামী বছরই আমি কলেজ চালু দেখতে চাই ও উদ্বোধনও করতে চাই। ফলে রামগড় সরকারি কলেজ মর্নিং শিফট চালু হয়েছিল। তাই আমি চট্টগ্রাম ভর্তি না হয়ে আমার বাড়ীর পাশে যে রামগড় কলেজ নির্মাণ হলো সেখানে ভর্তি হলাম। আর সেই থেকে জিয়াউর রহমানের আদর্শ উপর ভিত্তি করে, তার আদর্শকে ভালোবেসে রাজনীতিতে জড়ালাম এবং কলেজে পুরাদমে রাজনীতি শুরু করলাম।

কলেজে পড়ালেখা কালে আমি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম। তারপর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হলাম, পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। সেখানে রাজনীতিতে ছাত্রদলের সদস্য থেকে শুরু করে আহ্বায়কও হলাম। পরে আমি আমার নিজ বাড়ী খাগড়াছড়িতে এসে রাজনীতি শুরু করলাম।

দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে বের হয়ে নেতা কর্মী বেষ্টিত বিএনপি নেতা ওয়াদুদ ভুইয়া

প্রশ্ন: আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রস্তুতি কেমন,বিজয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী? নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলো ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে কিনা?

ওয়াদুদ ভুইয়া: নির্বাচনে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে তখন আমরা নির্বাচন করবো এবং সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আমরা শতভাগ বিজয় অর্জন করব। আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। কারণ পাহাড়ের রাজনীতিতে তারা মূল দল হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে ফেলেছে ইতিমধ্যে। এর জন্য আমি সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করব। তাদের কারণেই পাহাড়ের সশস্ত্র গ্রুপগুলো আত্নপ্রকাশ করে মাথাছাড়া দিয়ে উঠছে। জাতীয় দলগুলোর অনৈক্যের সুযোগ নিচ্ছে আঞ্চলিক দলগুলো।

প্রশ্ন: সরকার বলছে, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী তাদের অধীনে হবে সেক্ষেত্রে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হওয়ার ব্যাপারে আপনারা কতটুকু আশাবাদী?

ওয়াদুদ ভুইয়া: বর্তমান সরকার ২০১৪সালেরর ৫ই জানুয়ারীর মত আবার নির্বাচন তারা করতে চাচ্ছে। আমরা আগের সেই নির্বাচন করব না, মানবো না এবং শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনে যাব না। বর্তমান সরকারের অধীনে আমরা এইবার কোন নির্বাচন করতে দিব না। দেশে বিদেশে জাতীয়, আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন সরকারকে করতে হবে। যদি তারা ৫ই জানুয়ারীর মত নির্বাচন করতে চায় তাহলে দেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে সেই নির্বাচন প্রতিহত করবো।

প্রশ্ন: ১০ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে , দলের নেতা কর্মীরা কেমন উজ্জীবিত? শোনা যায়, খাগড়াছড়ি বিএনপিতে গ্রুপিং আছে বিষয়টি কতটুকু সত্য?

 

ওয়াদুদ ভুইয়া: ১০বছর ধরে বিএনপি শুধু ক্ষমতার বাইরে নয়, তার পাশাপাশি মামলা হামলায় জর্জরিত। এরপরও বিশেষ করে আমার এলাকার নেতাকর্মীরা ভীষণ রকমের উজ্জ্বীবিত ও চাঙ্গা এবং আমার এলাকায় নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত গতিতে নির্বাচন করবে।

খাগড়াছতিতে বিএনপিতে কোন গ্রুপিং নাই। তবে নির্বাচনে অনেকে মনোনয়ন চাইতে পারে। আমি এটিকে গ্রুপিং মনে করি না, এটি একটি প্রতিযোগিতা। মনোনয়ন চাওয়াটা কোন গ্রুপিং না। নির্বাচনে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন চাইতে পারে। তাই এটিকে অনেকে গ্রুপিং মনে করছে, কিন্তু আমি এটাকে গ্রুপিং মনে করি না।

প্রশ্ন: ওয়ান এলেভেনের সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন, এখনো অনেকগুলো মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন, এক সময় ঢাকা থাকলেও বর্তমানে বেশিরভাগ সময় খাগড়াছড়িতে থাকছেন, এতে দলের নেতা কর্মীরা কতটুকু প্রাণ ফিরে পেয়েছে? দলীয় কর্মসুচীগুলোতে কেমন অংশ গ্রহণ করছে, আপনার নামে অনেকগুলো রাজনৈতিক মামলা রয়েছে, নির্বাচনের সময় মামলাগুলোতে জামিনে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন বলে কি মনে হয়?

ওয়াদুদ ভুইয়া: আমি আমার সব মামলায় জামিনে আছি। এই মামলাগুলো আমার নির্বাচনে কিংবা আমার কার্যক্রমে কোন ধরনের প্রভাব ফেলবে না। সরকারদলীয় লোকেরা আমাকে অনেক দিন এলাকায় থাকতে দেয়নি । তখনও আমার নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা ছিল, এখনো আছে। এখন আমি আমার নিজ এলাকায় রয়েছি তাই নেতা কর্মীরা আমি মনে করি আগের চেয়ে অনেক উজ্জ্বীবিত ও উৎসাহিত। কেন্দ্র ঘোষিত সকল জাতীয় ও স্থানীয় সকল কর্মসূচি একমাত্র খাগড়াছড়িতে ঠিকমত আমাদের নেতা কর্মীরা পালন করে, আমার জেলায় একটা কর্মসূচিও বাতিল হয়নি। আমরা সরকারের সব বাঁধা উপেক্ষা করে সকল কর্মসূচি পালন করছি।

প্রশ্ন: পার্বত্য শান্তি চুক্তি নিয়ে আপনাদের বর্তমান অবস্থান কি?
ওয়াদুদ ভুইয়া: শান্তি চুক্তি নিয়ে বিএনপির অবস্থান আগে যেমন ছিল এখনো তেমনি আছে। আমরা দলের অন্যান্য কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকায় শান্তি চুক্তি নিয়ে আপাতত কিছু ভাবছি না। তাহলে পাহাড়ীরা বিএনপিকে কিভাবে গ্রহন করবে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি পাহাড়ীদের বেশীর ভাগ এই চুক্তিকে মানে না, আমরাও মানি না। তাই আমি মনে করি, বিএনপির সাথে পাহাড়ীদের রাজনীতিতে কোন সমস্যা হবে না।

আমরা এই শান্তি চুক্তি মানি না কারণ এই চুক্তি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। এই চুক্তি জাতিতে জাতিতে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভেদ সৃষ্টি করেছে, বৈষ্যম সৃষ্টি করেছে। এই চুক্তিতে সকল সম্প্রদায়ের অধিকার সংরক্ষিত হয়নি। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব অনেকটা হুমকির মুখে তাই আমরা এটার বিরোধীতা করেছি।
যেমন এই চুক্তি বলা হয়েছে, কোন ভূমি অধিগ্রহন করতে হলে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়াম্যানের অনুমতিক্রমে করতে হবে। কিন্তু আমি মনে করি যে, রাষ্ট্রের স্বার্থে রাষ্ট্র যে কোন জায়গা নিতে পারবে কিন্তু এখানে আঞ্চলিক পরিষদের অনুমতি লাগবে কেন? আমাদের দেশের সরকার বিদেশের সাথে বিভিন্ন সম্পদ নিয়ে চুক্তি করতে পারবে কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলের কোন খনিজ সম্পদ নিয়ে সরকার চুক্তি করতে পারবে না। আঞ্চলিক পরিষদের অনুমোদন নিয়ে করতে হবে। এতে প্রমাণিত হয় যে, পার্বত্য অঞ্চলের উপর সরকারের কোন অধিকার নেই। তাহলে সরকারের যদি অস্তি¡ত্ব না থাকে তাহলে এটি তো সরাসরি সংবিধানের পরিপন্থি হয়ে গেল এবং সেই কারণে আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম। হাইকোট আঞ্চলিক পরিষদকে বাতিল করেছে এবং এই মামলাটিকে তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। বর্তমানে তা চলমান বয়েছে। আপিলে যদি আমরা জয়লাভ করি তাহলে শান্তি চুক্তি আর থাকবে না।

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে আঞ্চলিক দল জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে ইউপি নির্বাচনে পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করেছে, এটি জাতীয় রাজনীতির জন্য কোন অশনি সংকেত কিনা? নাকি জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা?

ওয়াদুদ ভুইয়া: এটি সরকারসহ জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা। সরকারের ব্যর্থতার কারণেই পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে। তা না হলে তাদের দিনে দুপুরে তারা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে কিভাবে বিচরণ করে, নির্বাচনের সময় অবৈধ অস্ত্র ধরে ভোটারদের বাধ্য করে তাদের প্রার্থীকে ভোট দিতে, এছাড়া প্রকোশ্যে অস্ত্রের মুখে চাঁদাবাজি করা এসবের জন্য সরকারই দায়ী, সরকার যদি এদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় না দিত তাহলে এরা এসব কিছু পারত না। সশস্ত্র গ্রুপগুলো সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয়ে আছে বলেই আজকে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নয়, আমাদের প্রতিযোগিতা হবে আঞ্চলিক দলগুলোর সাথে। তাই আমি মনে করি পাহাড়ে জাতীয় নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলোর প্রভাব পড়বে আর এজন্য দায়ী থাকবে জাতীয় দলগুলো ও সরকার।

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে খোদ আওয়ামীলীগ মাঠে নেমেছে, এতে বিএনপির অবস্থান কি?

ওয়াদুদ ভুইয়া: আমরা এই ইস্যুতে বরাবরই মাঠে আছি সবসময়। আমরা বিভিন্ন জায়গায় সভা, বিভিন্ন সেমিনারে সব সময় দাবি করে আসছি পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হোক। অবৈধ অস্ত্র বহনকারীদের গ্রেফতার করা হোক। অবৈধ অস্ত্রধারী সংগঠনের নেতাদের গ্রেফতার করা হোক, তারা কি করে ঢাকায় আরাম আয়াশে থাকে, তারা কি করে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দেয়। অবৈধ অস্ত্র বহনকারী, চাঁদাবাজি, মুক্তিপণ আদায়কারীরা যে সব অন্যায় কাজ করছে এসবের জন্য সরকার দায়ী, না হলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে এরা এইগুলো করছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিস্কার, আমরা চাই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হোক সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার হোক। শান্তি চুক্তির পর সন্ত্রাসীরা যদি সব অস্ত্র জমা দিয়ে থাকে তাহলে পাহাড়ে অস্ত্র আসে কোথা থেকে? আমার মনে হয় প্রশাসন এদের সহযোগিতা করছে, কারন সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বছরে হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি করে সেই চাঁদার ভাগ হয়ত প্রশাসনের কেউ কেউ পায়, না হলে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন?

প্রশ্ন: পাহাড়ে বাঙালী সংগঠনগুলোর আন্দোলনের বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?

ওয়াদুদ ভুইয়া: পাহাড়ে যে বাঙালী সংগঠনগুলো রয়েছে সেগুলো বেশীর ভাগই ভুইফোড়, এগুলোর কোন কাঠামো, জনভিত্তি নাই। মৌলিক অর্থে আন্দোলন সংগ্রামে জনগণকে সম্পৃক্তকরণে ব্যর্থ হয়েছে, তারা কেবল কে কিভাবে শিরোনামে আসবে ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করে। বাঙালী সংগঠনগুলোর পেছনে কোন জনবল নাই, শুধু একটি মাত্র সংগঠন রয়েছে সেটি হলো সমঅধিকার আন্দোলন। এই সংগঠনটাকে সবাই চিনে এবং সবাই সম্পৃক্ত আছে। কিন্তু এই সংগঠনটা কে সরকার আগাতে দিচ্ছে না। সরকার এবং সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি এই সংগঠনকে গলা চিপে ধরেছে। এই সংগঠনকে বাদ দিলে আর কোন সংগঠন নাই যে বাঙালী সংগঠন বলা যায়। বরং এদের বলা যায় বাঙালী চাঁদাবাজি সংগঠন। এরা বাঙালী অধিকারের নামে চাঁদা সংগ্রহ করে। পেট চালায়, পরিবার চালায়। এদের কেউ করে জামাত, কেউ করে বিএনপি কেউ আওয়ামীলীগ।

বিএনপির কর্মসুচী পালনের সময় পুলিশের বাধা

প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় আসলে পাহাড়ী বাঙালী সর্ম্পক উন্নয়নে কি উদ্যেগ নিবেন?

ওয়াদুদ ভুইয়া: আমরা অবশ্যই পরস্পরের প্রতি সমঝোতামুলক, আস্থা বিশ্বাস স্থাপন করে একটি সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরী করার চেষ্টা করবো, যাতে করে কোন সম্প্রদায় জাতিগোষ্ঠী উন্নয়ন বঞ্চিত না থাকে। এখন জাতি সম্প্রদায় দল দেখে উন্নয়ন করা হচ্ছে, আমি মনে করি সব সম্প্রদায় যখন উন্নয়নের ছোঁয়া পাবে তখন তারা মূল ¯্রােতধারার সাথে সম্পৃক্ত হবে।

পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারীরা থাকলে বাংলাদেশের মানচিত্র, পতাকা, হুমকির মুখে পড়বে। এখনি সময় সরকার এবং তাদের এজেন্সিদের যাতে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়। তা না হলে সরকার যদি এই চাঁদাবাজি সংগঠনগুলোকে আশ্রয় প্রশয় দেয় তাহলে পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এখনি সময় বাংলাদেশকে বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমা রেখার মধ্যে রাখতে হলে পাহড়ের সশস্ত্র গ্রুপগুলোর লাগাম টেনে ধরতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, চাঁদাবাজি বন্ধ এবং মানুষের জীবনের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

প্রশ্ন: আমাদের সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
ওয়াদুদ ভুইয়া: আপনাদেরকেও ধন্যবাদ।

Share This:

The post আওয়ামীলীগ নয়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আঞ্চলিক দলগুলোর সাথে appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
http://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%a8%e0%a7%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%aa/feed/ 0