সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার জামতলী এলাকা থেকে ইউপিডিএফ সমর্থিত এক কর্মীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ নব্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে।
ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) দীঘিনালা ইউনিটের সংগঠক কালো প্রিয় চাকমা আজ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রোজ বুধবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার জামতলিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় এক ইউপিডিএফ সদস্য নিহত ও অপর তিন জন আহত হওয়ার ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আজ সকাল সোয়া নয়টার দিকে সরকারীবাহিনীর মদদপুষ্ট কুখ্যাত সন্ত্রাসী লান কুমার ত্রিপুরার নেতৃত্বে ৭ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল দীঘিনালা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে জামতলির ছাত্রাবাস এলাকায় একটি বাড়িতে হামলায় চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর পোষাক ও সবুজ রঙের পোষাক পরিহিত ছিল। তাদের এলোপাথারি গুলিতে ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য সাইন চাকমা ওরফে সুপার (২৩) মারা যান। এছাড়া অনিল ত্রিপুরা (৪০), মিলন ত্রিপুরা (২৮) ও রুবেল চাকমা (২৬) আহত হন। তাদের মধ্যে অনিল ত্রিপুরার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
উক্ত ঘটনাকে কাপুরুষোচিত ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বর্ণনা করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ‘কোন কোন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিরস্ত্র সাধারণ ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলাকে “দুই পক্ষের গোলাগুলি” বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
তিনি যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত সত্য তুলে ধরার জন্য সংবাদ মাধ্যমে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানান।
জনগণ একদিন মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, ‘সন্ত্রাসী হামলা, খুন, জেল জুলুম, মিথ্যা মামলা তথা দমন পীড়ন চালিয়ে ইউপিডিএফ-এর নেতৃত্বে পরিচালিত গণআন্দোলনকে অতীতে স্তব্ধ করা যায়নি, ভবিষ্যতেও কখনই যাবে না। ইউপিডিএফ জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায় করে ছাড়বে।’
এদিকে দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সামসুদ্দিন ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাবার বাগান এলাকায় গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে।