সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। নিয়োগে জাল-জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খাগড়াছড়ির সাবেক সিভিল সার্জন ও রাঙামাটির বর্তমান সিভিল সার্জনসহ ৬জনের বিরূদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই ঘটনায় উদয়ন চাকমা নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মোঃ আবদুল হান্নান বলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর থানায় বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৪২০/১০৯ ও ১৯৮৭ সালের দুুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এই মামলা করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয় আসামীগণ পরষ্পর যোগসাজসে অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার পরেও ২০১৩ সালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য বিভাগে ফার্মাসিস্ট পদে উদয়ন চাকমা ও সুমন চাকমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা ২০১৪ সালের মার্চ মাসে কর্মস্থলে যোগদান করেন। সেই সময় নিয়োগ বোর্ডের আহবায়ক ছিলেন তৎকালীন জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীর কিশোর চাকমা অটল, তৎকালীন সিভিল সার্জন নারায়ন চন্দ্র দাশ, রাঙামাটির বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রিয় কুমার চাকমা। এই ঘটনায় চাকুরী প্রার্থী দুইজন ও নিয়োগ বোর্ডের ৪ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
এরমধ্যে নারায়ণ চন্দ্র দাশ সর্বশেষ চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক পদ থেকে গত চার মাস আগে অবসরে যান। আর ডা. শহীদ তালুকদার বিগত ২০১৩ সালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মোঃ সফিকুর রহমান ভুইয়া বলেন জাল-জালিয়াতি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকার পরেও চাকুরী প্রদান, অবৈধভাবে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করার পর অনুসন্ধানে সত্যতা খুজে পায় দুদক। মামলা হয়েছে, অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি তারেক মো: আব্দুল হান্নান জানান, মঙ্গলবার রাতে খাগড়াছড়ি শহরে অভিযুক্তদের বাসাবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে জেলা পরিষদেও গিয়েছে দুদকের টীমটি।
এদিকে অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তাঁদের সবার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।