সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে সন্তু লারমার ডাক দেয়া অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ২৯ জুলাই বুধবার রাঙামাটি জেলায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সকল হাট বাজারে আসা যাওয়া বাজার করাসহ সকল বেচা কেনা এবং ক্রয় থেকে বিরত থাকার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়। কেবল জরুরী ঔষুধ কেনা বেচা এই কর্মসুচীর বাইরে থাকবে।
কর্মসুচী সফল করতে আজ বুধবার জনসংহতি সমিতির ওয়েব সাইট এবং বিভিন্ন স্থানে এই সংক্রান্ত লিফলেট বিতরন করা হয়।
লিফলেটে বলা হয়, শান্তি চুক্তির ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের প্রাক্কালে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে জেএসএস প্রধান সন্তু লারমা শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার রোড ম্যাপ ঘোষনা না করলে ১লা মে থেকে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসুচীর ডাক দেন। সে সময় আন্দোলনের ঘোষনা করা হলেও কর্মসুচী দেয়া হয়নি। আজ-ই প্রথম জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে কোন কর্মসুচীর ঘোষনা দেয়া হলো।
লিফলেটে বলা হয় সরকার সংসদের বাজেট অধিবেশনে পার্বত্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি আইন পাস করার কথা থাকলেও করেনি, পর্যটন স্থাপনের নামে পাহাড়ীদের ভুমি অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে, সরকারী আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের হাতে হর্টিকালচার ও রাবার বাগান স্থাপনের নামে জুমভুমি ও মৌজাভুমি জবর দখল করে ইজারা দিচ্ছে সরকার। পার্বত্যবাসীর চরম বিরোধীতা সত্বেও রাঙামাটিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী প্রহরায় চলছে মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন প্রকল্পের কাজ। সরকার একের পর এক জুম্মনির্মুলীকরন কাজ করছে এমন অবস্থায় বসে থাকার সময় নেই, তাই সরকারের গনবিরোধী সকল কার্যক্রম প্রতিহত করতে হবে।
লিফলেটে সকল হাটবাজারে সকল প্রকার দোকান বর্জন, হাটবাজারসহ সকল অলিগলিতে দোকানপাট বন্ধ এবং সকল প্রকার বেচাকেনা থেকে বিরত থাকার আহবান জানানো হয়।
কর্মসুচীর বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ তথ্য প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা জানিয়েছেন, আমরা সরকারকে বিভিন্নভাবে সময় দিয়েছি, কিন্তু সরকার চুক্তি বাস্তবায়নে কোন ধরনের উদ্যোগ নেয়নি, বরং জুম্ম স্বার্থবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গনতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা হাট বাজার বয়কটের ঘোষনা দিয়েছি।