সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি পৌর পিতা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্রো বলেছেন, জনগনের প্রত্যাশা এবং নাগরিক সুযোগ সুবিধা পুরনে আমি ২০১১ সনের ১৮ ফেব্রুয়ারী মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেই। আমার দোষ ছিল একটাই আমি ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী একজন মেয়র তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কল্যানে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক ও বর্তমান প্রতিমন্ত্রী কারো কাছ থেকে একটাও বরাদ্দ পাইনি। সরকারের অল্প বার্ষিক এডিপি বরাদ্দ এবং জনগনের টাকায় যতটুকু সম্ভব পৌর নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা জনগনের দৌড় গোড়ায় পৌছে দিতে চেষ্টা করছি।
সিএইচটি টুডে ডট কমের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উপলক্ষে বিশেষ সাক্ষাতকারে সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্রো এসব কথা বলেন। সাইফুল ইসলাম ভুট্রো ব্যাক্তিগত জীবনে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও খেলা ধুলার সাথে জড়িত।
এক প্রশ্নের জবাবে পৌর পিতা বলেন, জনগনের চাহিদা অপরিসীম তাদের চাহিদা পুরন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়, জনগনের চাহিদা পুরন করতে আমি ক্ষেত্র বিশেষে বিগত পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের শরানাপন্ন হয়েছিলাম কিন্তু কোন সহযোগিতা পাইনি। আবার আমার কার্যক্রমে উনারা প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করেননি, কিন্তু সহযোগিতা না করাও এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা।
আমাদের দেশে এক ধরনের রাজনৈতিক কালচার হয়ে দাড়িয়েছে সরকারের প্রতিপক্ষ দলের কেউ যদি দায়িত্ব থাকে তাকে সহযোগিতা না করা। এই সংস্কৃতির পরিবর্তন হওয়া দরকার, কারন এতে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় জনগন।
তবে রাঙামাটি পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা এবার ইউজিবি ৩ প্রকল্পে অন্তুভুক্ত করেছি। আশা করি ১শ ৩০ কোটি টাকা পাব। সে টাকা দিয়ে আমরা একটি কিচেন মার্কেট, পৌর মার্কেট, পৌর রেষ্ট হাউজ, একটি ছোট মেটানিটি হাসপাতাল, পৌর অডিটি রিয়াম, ড্রেন, পাবলিক টয়লেট, শহরের একটি জায়গা গরু বাজার নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।
পৌর পিতা বলেন, কর আদায়ে আমি সফল অন্তত আশি ভাগ কর আদায় করা সম্ভব হয়েছে, এর কারন হচ্ছে আমি কর আদায়ে কর দাতাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করি এবং তাদের কর প্রদানে উদ্বৃত্ত করছি। কারন জনগনের করে পৌরসভা পরিচালিত হয়।
রাঙামাটি শহরকে ময়লা আর্বজনামুক্ত রাখতে গ্রিন রাঙামাটি ক্লীন রাঙামাটি নামে সেনাবাহিনীর সহায়তায় একটি প্রজেক্ট হাতে নিলে জেলা পরিষদসহ অন্যান্যরা সহযোগিতা না করায় এটি বেশীদুর এগোয়নি। আমাদের প্রকল্পে ১৫ লাখ টাকা থাকলেও এটি আমরা কোন কাজে লাগাতে পারছি না তাই আমাদের পুরানো ধাচে আমাদের ময়লা আর্বজন পরিস্কারের কাজ করতে হচ্ছে। জেলা পরিষদে জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ড থাকলেও আমাদের সাথে তারা কোন সমন্বয় করে না।
পৌর পিতা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, রাঙামাটি শহরকে অবৈধ বিল বোর্ড মুক্ত রাখতে আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি পৌরসভার অনুমতি ব্যাতিরকে যে সব বিল বোর্ড লাগানো সেগুলো অপসারন করে শহরের সৌন্দর্য্য রক্ষা করার জন্য মাঝে মাঝে পৌর কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধ বিল বোর্ড উচ্ছেদে অভিযান চালায়। শহরের সৌন্দর্য্য রক্ষার দায়িত্ব কেবল পৌরসভার একার নয় পৌর নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
আমি রাঙামাটি পৌরবাসীকে বলব আপনারা ঠিকমত পৌর কর দেন, রাঙামাটি শহরের সৌন্দর্য্য রক্ষায় এগিয়ে আসুন।
Pingback: বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ