শিরোনামঃ

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি আসনে প্রাথীদের হলমনামা

সর্বোচ্চ সম্পদশালী জাপা নেতা সোলায়মান শেঠ

সিএইচটি টুডে ডট কম,খাগড়াছড়ি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে কমিশনে কাছে জমা দেয়া প্রতিদ্বন্ধি পাঁচ প্রার্থীর হলফনামায় ব্যাপক অস্বচ্ছতার ছড়াছড়ি দেখা গেছে। সম্পদ গোপনের পাশাপাশি তাঁরা কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন, অসত্য ও হাস্যকর তথ্য।pic-ec

 

জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ অস্থাবর সম্পদের হিসেবে তাঁর কাছে মাত্র ১০ হাজার টাকার ফার্নিচার এবং মাত্র ১০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার রয়েছে। আবার অস্থাবর সম্পদের তালিকায় একটি কার (নং-চট্ট মেট্রো গ-১২-৪৩৫৫), একটি পাজেরো (নং-চট্ট মেট্রো ঘ-১১-১২২৮) থাকার কথা থাকলেও অর্জনকালীন সময়ের মুল্যবান নেই।

পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী সম্পদের (স্থাবর-অস্থাবর ও নির্ভরশীলসহ) মালিক সোলায়মান আলম শেঠ। যার মুল্য দাঁড়ায় ১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এছাড়া তাঁর কাছে নগদ টাকাসহ আসবাবপত্র-ইলেক্ট্রনিক্স এবং স্বর্ণালংকারসহ ৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে দুটি গাড়ীর মুল্য উল্লেখ করা হয়নি। শুধু তাই নয়, বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও তাঁর বার্ষিক আয় মাত্র ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। Khagrachari copy

এর পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তার প্রায় দেড় কোটি টাকা মুল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
একই সাথে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী পরিমাণ ভূমি, গাড়ী এবং বাড়ীর মালিক তিনিই। ৩০ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩’শ ৭৫ টাকা, তাঁর বার্ষিক আয় বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। যা অন্য চার প্রার্থীর তুলনায় সর্বোচ্চ। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র হলফনামায় তাঁর স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীর নামে ৪ একরসহ মোট ৭১ একর কৃষি-অকৃষি ভূমির মালিক।

সম্পদের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন, ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রসিত বিকাশ খীসা।

তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মুল্য ৬৬ লক্ষ ৯০ হাজার। তবে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে সর্বনিম্ন বার্ষিক আয় ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯’শ ২৫ টাকা। একটি আলোচিত আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের প্রধান হবার পরও তাঁর পেশার ঘরে উল্লেখ রয়েছে, তিনি একজন সমাজকর্মী।

সম্পদের দিক থেকে চতুর্থস্থানে রয়েছেন, ইউপিডিএফ সমর্থিত অপর প্রার্থী উজ্জল স্মৃতি চাকমা। তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মুল্যমান ৩৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।

তবে সে তুলনায় তাঁর বার্ষিক আয় ভালোই বলে মনে হয়েছে। তিনি বছরে কৃষি-ব্যবসা এবং নির্ভরশীল থেকে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আয় করে থাকেন।

পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে কম সম্পদশালী প্রার্থী হলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) অংশের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মৃণাল কান্তি ত্রিপুরা।
তাঁর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পদের মুল্য ২২ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা। তবে তাঁর কৃষিখাত থেকে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকাসহ বার্ষিক আয় উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে তিনি পাঁচ জনের মধ্যে দ্বিতীয়।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 502 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen