সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। প্রায় ৫ বছর পর আগামী সোমবার (১ জুন) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল। এই উপলক্ষকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে জেলাশহর এবং উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিশেষ করে সভাপতি পদে ৯ জন এবং সা: সম্পাদক পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর সান্ধ্যকালীন শো-ডাউনে জেলা শহর প্রকম্পিত হচ্ছে মিছিলে মিছিলে। সর্বশেষ ২০১০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিলো। এরিমধ্যে পোস্টার-ব্যানার ও বিলবোর্ডে সয়লাব হয়ে গেছে জেলার প্রতিটি জনপদ। সম্মেলন হতে বেশ বিলম্ব হলেও বিদ্যমান কমিটি বেশ দক্ষতা এবং সুনামের সাথেই জেলায় ছাত্র রাজনীতিকে সমুজ্জ্বল রেখেছিলো বলে সাধারণ নেতাকর্মীদের অভিমত।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এড. নুর উল্লাহ হিরো জানান, সারাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় সম্মেলন ও কাউন্সিল আয়োজনে বিলম্ব হলেও জেলায় সাংগঠনিক কোন স্থবিরতা তৈরী হয়নি। আর এ কারণেই এবারের সম্মেলনে সভাপতি ও সম্পাদক পদে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আমাদের কাছে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
সম্মেলনের সভাসূচী থেকে জানা গেছে, অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি প্রধান অতিথি এবং যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী মাহাবুবুল হক শাকিল, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সহ-সম্পাদক জহিরউদ্দীন মাহমুদ লিপ্টন, শাহজাদা মোঃ মহিউদ্দীন, সাবেক সহ-সভাপতি প্রশান্ত ভূষণ বড়–য়া, সাবেক কেন্দ্রীয় সাঃ সম্পাদক মাহাফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন এবং জেলা আওয়ামীলীগের ছাত্রলীগ বিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ দিদারুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ. এম. বদিউজ্জামান সোহাগ এবং প্রধান বক্তা থাকবেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাঃ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল বাহার জানান, প্রতিযোগিতামুলক এই কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অনুর্ধ্ব ২৯ বছর বয়স এবং ছাত্রত্ব আছে এমন প্রার্থীদের মধ্য থেকে ১০১ সদস্যের জেলা নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে। জেলার সর্বমোট ৪০১ জন কাউন্সিলর যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাঁদের পছন্দের নেতৃত্ব বেছে নিতে পারেন; সেজন্য ব্যালটসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূল প্রতিদ্বন্ধীতা হবে সভাপতি ও সা: সম্পাদক পদেই। সভাপতি পদে এখন পর্যন্ত মংসাপ্রু মারমা, আলোক প্রদীপ ত্রিপুরা বিপন, টিকো চাকমা, আমির হোসেন, মিজানুর রহমান, রোকন মিয়া, মনি শংকর দে, রিপন ওঝা এবং মানিক দে।
আর সা: সম্পাদক পদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র জহির উদ্দীন ফিরোজ, মাইনুল ইসলাম, নাজমুল হাসান অপু, ফাহিম হোসেন খান, কিশোরময় ত্রিপুরা, বাপ্পী চৌধুরী, নয়ন বড়–য়া এবং ভাষ্কর চক্রবর্তী।
জেলা আওয়ামীলীগের ছাত্রলীগ বিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের ক্রান্তিকালীন সাবেক সা: সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম আশাবাদ ব্যক্ত করেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারবে এমন নেতৃত্ব উঠে আসবে এই সম্মেলনের মাধ্যমে।
তিনি সম্মেলনের সব ধরনের প্রস্তুতি চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও দাবী করেন।