সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা উষাতন তালুকদার আজ সোমবার জাতীয়
সংসদে নির্ধারিত রাষ্ট্রতির ভাষনের উপর ১০ মিনিটের আলোচনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের কাছে সময় নির্ধারন করে একটি জাতীয় রোডম্যাপ চাইলেন। তিনি বলেন ১৯৯৭ সনে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় চুক্তি বা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছিল। কিন্তু চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়িত না হওয়ায় এখানকার মানুষ হতাশায় ভুগছে।
শান্তি চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদ আইন কার্যকর করা হয়নি। আঞ্চলিক পরিষদের প্রবিধানমালা প্রনীত হয়নি। পুলিশ ও ভুমি পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে হস্তান্তরিত হয়নি।
তিনি আরো বলেন শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে আমরা বিগত সরকারগুলোকে আন্তরিক দেখেনি, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছিল তাই চুক্তি বাস্তবায়ন এই সরকারের উপর বেশী বর্তায়।
উষাতন তালুকদার এমপি সংসদে আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থসামাজিক বিপ্লব ঘটাতে প্রয়োজন সুষম উন্নয়ন। একটি সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৬০ সনে কর্নফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হলেও পার্বত্য এলাকার দুর্গম এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। অথচ বাঁধের ফলে এখানকার হাজার হাজার পাহাড়ী বাঙ্গালী পরিবার উদ্বুস্ত হয়েছিল। তারা এখনো ক্ষতিপুরনসহ সরকারের প্রতিশ্র“তি দেয়া সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। তিনি পার্বত্য এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম পর্যায়ে সরকারের বিদ্যুৎ সুবিধা পৌছিয়ে দেয়ার দাবী জানান।
উষাতন তালুকদার তার বক্তব্যে আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উল্লেখ করার মত শিল্প কারখানা নেই এখানকার মানুষ আবাদী ফল ফসলাদির উপর নির্ভরশীল। পার্বত্য চট্টগ্রামে আনারস, কাঠাল পঁচে যায় সেই সব ফসল রক্ষা ও কৃষক যেন ন্যায্য মুল্য পায় সে জন্য প্রক্রিয়াজাতকরনের জন্য কোলষ্টোরল স্থাপনের দাবী জানান।
উল্লেখ্য ১৯৭৩ সনে মহান জাতীয় সংসদে আঞ্চলিক দল এবং স্বতন্ত্র হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা সংসদে গিয়েছিলেন। এরপর প্রায় ৪১ বছর পর একই দলের সিনিয়র নেতা উষাতন তালুকদার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয় হয়ে সংসদে গেলেন। আজই তিনি সংসদে প্রথমবারের মত দশম সংসদের প্রথম অধিবেশনে সম সাময়িক জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
Pingback: Joybir Kumar Chakma