কৌশিক দাশ, সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। গৃহিনীদের জন্য অত্যন্ত প্রিয় সামগ্রী যার নাম চাঁট গাইয়ারা বলে পুরইন, আর চলিত ভাষায় ঝাড়ু। বর্তমানে এই ফুল ঝাড়ুর চাহিদা দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। রয়েছে গ্রাম বাংলাতে এর প্রচুর চাহিদা। শুকনো মৌসুমে পার্বত্য বান্দরবানের বিভিন্ন ঝোঁপ-জঙ্গল থেকে লোকজন সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে আটি বেঁেধ বিক্রি করে থাকে।
ব্যবসায়ীরা অল্প অল্প করে ক্রয় এর পর প্রচুর পরিমাণ মজুদ করে দাম বাড়ার সাথে সাথেই ট্রাক ভর্তী করে রপ্তানি করছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যেও রপ্তানি হচ্ছে ফুল ঝাড়– এবং সৌদি আরবের শেখদের নিকট এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ বাইশারী থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা পারমিটের মাধ্যমে বন বিভাগের অনুমোদন নিয়ে রপ্তানি করছেন ফুল ঝাড়–। এতে সরকারও প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব পাচ্ছে।
বন বিভাগের সাঙ্গু রেঞ্জ কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, পার্বত্য অঞ্চল থেকে ফুল ঝাড়– রপ্তানি করে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করছে। বাইশারী বাজারের ব্যবসায়ী এরশাদ মিয়া ও কালা মনু বলেন, এ বছর ফুল ঝাড়–র দাম কিছুটা কম রয়েছে, তারপরও প্রতি ট্রাকে অর্ধ লক্ষ টাকা লাভবান হবে। এ বছর ফুল ঝাড়– প্রত্যন্ত অঞ্চলের খেটে খাওয়া মেহনতি লোকজন প্রচুর পরিমাণ সংগ্রহ করেছে পাহাড় থেকে। দাম বাড়ার অপেক্ষায় তারা দিন গুনছে বলে জানা যায়।
সরকারীভাবে ফুল ঝাড়–র কোন ধরণের চাষাবাদ নেই। পাহাড়ের ঢালে, ছরা, ঝিরি ও ঝর্নার পাশে প্রাকৃতিক ভাবে গজে উঠেছে এসব গাছ। তবে এ ফুল ঝাড়– সরকারীভাবে সংরক্ষন ও রক্ষনাবেক্ষনে এগিয়ে এলে সরকার লক্ষ টাকার পরিবর্তে কোটি টাকার রাজস্ব পেত বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত।