বর্তমান সরকার সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমুহ উন্নয়নে সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
শুক্রবার রাঙামাটি শহরের ট্রাইবেল আদামের পারমী বৌদ্ধ বিহারে ১১তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
সকালে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যে পারমী বৌদ্ধ বিহারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা’সহ শত শত পূর্নাথীরা চীবরদান অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে রাঙামাটি রাজবন বিহার ছাড়াও বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার থেকে পুণ্যক্ষেত্র ভিক্ষুসংঘ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ধর্ম দেশনা দেন লুম্বিনী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ চন্দ্রবংশ স্থবির ও রাঙামাটি রাজবন বিহারের অরিন্দম ভিক্ষু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সদানন্দ চাকমা।
চেয়ারম্যান রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক পারমী বৌদ্ধ বিহার নির্মানে ২৫ লক্ষ টাকা অনুদানের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের সদিচ্ছা ও সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমুহে সুদৃষ্টির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। তবে ২৫ লক্ষ টাকার ভবন এ বিহারের জন্য যথেষ্ট নয়। আমরা ভবিষ্যতেও এ বিহারের উন্নয়নে চেষ্টা চালিয়ে যাবো। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের পাশাপাশি এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে এ বিহার উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। এসময় বিহার সংলগ্ন দেয়াল ও পাকঘর নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে তিনি আরো ২ লক্ষ টাকা দেয়ার আশ্বাস দেন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও বিহারে সাধ্যমত দান করবেন বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান বুদ্ধমুতিদান, হাজার প্রদীপ দানসহ বিভিন্ন দানযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকশ পুণ্যার্থী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
দুপুরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফুরোমন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যাম কেন্দ্রে ৭তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন । ফুরোমন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যাম কেন্দ্রে ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের প্রারম্ভ হয় পরে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন বনধ্যাম কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক নিরু কুমার চাকমা, বিশ্ব শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন উৎপল বর্ণা চাকমা, স্বাগত বক্তব্য রাখেন বনধ্যাম কেন্দ্রের সহ-সভাপতি শান্তি মনি চাকমা, ভিক্ষু সংঘের ধর্ম দেশনা দেনরাজ বনবিহারের ভিক্ষু শ্রীমৎ জ্ঞান প্রিয় মহাস্থবির, খাগড়াছড়ি পানছড়ির শান্তিপুর অরন্য কুঠিরের অধ্যক্ষ শাসন রক্ষিত মহাস্থবির, ফুরোমন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যাম কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভৃগু মহাস্থবির, রাঙামাটি রাজ বনবিহারের বন ভান্তের শিষ্যসংঘ ও আবাসিক ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, এছাড়াও অতিথি হিসেবে শিল্প মন্ত্রীর ছেলে ও সহধর্মীনি, প্রাক্তন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ড. মানিক লাল দেওয়ান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।