শিরোনামঃ

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগদানে বাঁধাদান,হামলা,ভাংচুরের ঘটনায় আটককৃত ইউপিডিএফ নেতা কর্মীদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ, ইউপিডিএফের নিন্দা ও মুক্তি দাবী

সিএইচটি টুডে ডট কম,খাগড়াছড়ি। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগদানে বাঁধাদান,হামলা,ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় থেকে সোমবার রাতে আটক ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামসহ সহযোগী সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ১১ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদের পুলিশ রিমান্ডে দিয়েছে চীফ জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালত।Khagrachari UPDF-

আজ মঙ্গবার দুপুরে খাগড়াছড়ির চীফ জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিকের আদালতে হাজির করা হলে এ আদেশ দেয়া হয়। আটক ১১ জনের মধ্যে ৮ জনকে ৪ দিন করে এবং ৩জনকে ২দিন করে পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ব্যাক্তিরা হলেন, জুয়েল চাকমা, রুপেন্তু চাকমা, মন্টু চাকমা, নিবির চাকমা, সহেল কান্তি চাকমা, সহেল চাকমা, দুনয়ন চাকমা ও পলাশ চাকমা। ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ব্যাক্তিরা হলেন, টকলু চাকমা, কমল চন্দ্র চাকমা ও অমর সিং চাকমা। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এটন চাকমাকে এ ঘটনায় আটক দেখানো হয়েছে।

সোমবার রাতে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে জেলার দীঘিনালা থেকে ৬ জন, মাটিরাঙ্গা থেকে ৩ জন এবং মহালছড়ি থেকে ২জনকে আটক করে। গত ১১ নভেম্বর সোমবার খাগড়াছড়ির স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসতে ইউপিডিএফ নেতাকর্মীদের বাধাঁ প্রদান, গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, গুলি বর্ষন, সেতুর পাটাতন উপড়ে ফেলা, হুমকি, ভাংচুর ও রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলা তাদের আটক করা হয়েছে বলে থানার অফিসার ইনচার্জগণ নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য যে, গত ১৪ নভেম্বর জেলার ৭টি থানায় ১৬টি মামলা দায়ের করে পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্থরা। মামলাগুলোতে ইউপিডিএফের জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামসহ অজ্ঞাত ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। মামলার ২৬ দিনের মাথায় আসামী আটকে যৌথ অভিযান শুরু করে পুলিশ।

এদিকে নেতা কর্মীদের গ্রেফতার নির্যাতন বন্ধের দাবী জানিয়েছেন ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসিত খীসা ও কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমা।
তারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর পূর্বেই পরিকল্পিতভাবে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার, রিমান্ডে প্রেরণ ও হয়রানি এবং এক বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে নিরাপত্তবাহিনীর ভোট প্রার্থনার ঘটনাকে পুরোপুরি নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন এবং প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পক্ষপাতমূলক আচরনের বহিপ্রকাশ।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতৃদ্বয় অনতিবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি, হয়রানিমূলক তল্লাশি বন্ধ করে বিশেষ দল ও ব্যক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িয়ে না পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে আসন্ন নির্বাচনে ২৯৮ নং পার্বত্য খাগড়াছড়ি আসনের প্রার্থীদ্বয় প্রশাসনকে সাংবিধানিক দায়িত্ব ভিন্ন অন্য কোন বিশেষ দল বা ব্যক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিজেদের বিতর্কিত না হবার আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 275 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen