সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। পিলখানায় বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে স্থাপিত অস্থায়ী মহানগর দায়রা জজ আদালত।
রোববার এ হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর রায়ের দিন ঘোষণা করেন আদালত।
জানা গেছে, এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দেয়া অভিযোগপত্রে এ মামলায় সাক্ষী ছিলেন এক হাজার ২৭৫ জন। তাদের মধ্যে ৬৫৪ সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
পিলখানা হত্যা মামলায় আসামির সংখ্যা ৮৫০ জন। তাদের মধ্যে পোশাকধারী বিডিআর সদস্য ৭৮২ জন। বিডিআরে কর্মরত বেসামরিক সদস্য ২৩ জন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ অক্টোবর পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার শেষ হয়েছে। সদর রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ৭২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়ার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহ মামলার বিচার শেষ হয়।
বিদ্রোহের ঘটনায় ১১টি বিশেষ আদালতে ৬ হাজার ৪৬ জওয়ানকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। তাদের মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে ৫ হাজার ৯২৬ জনের। খালাস পেয়েছেন ১১৫ জন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্র্যাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় বিডিআরের নিজস্ব আইনে বিদ্রোহের বিচার হয়। তবে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম তৌহিদসহ ৬ ডিএডিকে বিদ্রোহ মামলায় বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি। তবে পিলখানায় ফৌজদারি অপরাধের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তারা বিচারের মুখোমুখি হন।
১৯৭৪ সালের যে আইনে বিদ্রোহ মামলার বিচার হয়, তাতে বিদ্রোহের সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছর। বর্তমানে বিজিবি আইনে বিদ্রোহের সাজা মৃত্যুদ-। পিলখানা বিদ্রোহের পর বিডিআরের নাম বদলে বিজিবি এবং লোগো ও পতাকাও পরিবর্তন করা হয়।