নানিয়াচর
সিএইচটি টুডে ডট কম। একটি মাত্র সংযোগ সেতু পাল্টে দিতে পারে রাঙামাটি নানিয়াচর উপজেলার হাজার হাজার মানুষের জীবন ব্যবস্থা ও অর্থনীতি। চেঙ্গী সংযোগ সেতুটি নির্মিত হলে শুধু নানিয়াচর নয় রাঙামাটির লংগদু, বাঘাইছড়ি ও খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা ও দ্রুত অর্থনীতিতে উন্নতি সাধিত হবে। এলাকার মানুষের অভিযোগ সরকার আসে সরকার যায় নির্বাচন এলে প্রতিশ্র“তি দেয় কিন্তু বাস্তবায়ন করে না।
সরেজমিনে ঘুরে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাঙামাটি-নানিয়ারচর-লংগদু-বাঘাইছড়ি সড়কে সরাসরি যানবাহন চলাচল ও যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করতে নানিয়ারচর উপজেলা অংশে চেঙ্গি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কথা দীর্ঘদিন ধরে শোনা গেলেও বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে রাঙামাটি জেলার অভ্যন্তরীন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি আমূল পরিবর্তন ঘটেনি এখানকার মানুষের কাংখিত অর্থনৈতিক অবস্থার। দুর্গম পার্বত্য এ জেলার অভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরাসরি রাঙামাটি-নানিয়ারচর-লংগদু-বাঘাইছড়ি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ১৯৯৩ সালে নানিয়ারচর অংশে চেঙ্গি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারও ছিল চেঙ্গী খালের উপর সেতু নির্মানের কিন্তু তারাও এখনো কথা রাখেনি।
নানিয়ারচরের চেঙ্গি নদীর ওপর ওই সেতুটি নির্মিত না হওয়ার কারণে রাঙামাটি-নানিয়ারচর-লংগদু-বাঘাইছড়ি সড়ক দিয়ে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা যাচ্ছে না। অথচ সড়কটির যোগাযোগ চালু হলে পার্বত্য জেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি দুর্গম তিনটি উপজেলা নানিয়ারচর, লংগদু ও বাঘাইছড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হতো। এতে করে এলাকার জনসাধারণের যাতায়াতসহ মালামাল পরিবহন ও বাজারজাত করণের সুবিধা গড়ে উঠতো। সরকারগুলোর বিমাতাসুলভ আচরনের কারনে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বার্থে চেঙ্গি নদীর ওপর ওই নানিয়ারচর সেতুটি আদৌ নির্মিত হবে কিনা- এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
নানিয়াচরের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রীতিময় চাকমা এলাকার অর্থনৈতিক সামাজিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নানিয়ারচর সেতুটি নির্মানের দাবী জানিয়েছেন। সেতুটি নির্মান হলে নানিয়াচর লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর হয়ে উঠবে। আর সরকার সেতুটি নির্মাণের পদপে নিলে রাঙামাটিবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
নানিয়াচরের সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিনয় কৃঞ্চ খীসা বলেছেন, ব্রিজটা হলে জনগনের উপকার হবে এবং উন্নয়নের পুর্ব শর্ত হিসেবে ব্রীজটা হওয়া দরকার। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্র“তি ছিল চেঙ্গী নদীর উপর ব্রীজ করবে কিন্তু আজ পর্যন্ত চোখে পড়ার মত কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি অথচ জেলার সর্বোচ্চ ব্যাক্তি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাসা এখানে।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ ভিাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন রাঙামাটি-বগাছড়ি-নানিয়াচর-লংগদু আঞ্চলিক সড়কের ডাকবাংলা এলাকার চেঙ্গী নদীর সেতুটি নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এখনো অনুমোদন হয়নি প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে একটি পরিপূর্ণ সেতু পেতে আরো দুই বছর লাগতে পারে।
এদিকে এলাকাবাসী এলাকার অর্থনৈতিক সামাজিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নানিয়ারচর সেতুটি নির্মানের দাবী জানিয়েছেন। সেতুটি নির্মান হলে নানিয়াচর লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর হয়ে উঠবে। আর সরকার সেতুটি নির্মাণের পদপে নিলে রাঙামাটিবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।