মহালছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
বিহারী চাকমা, সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বরকলের সুবলং ইউনিয়নের মহালছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের অনেক জানালা, দরজা ভেঙ্গে সম্পুর্ণ ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বারান্দা, শ্রেণীকক্ষগুলোর ফ্লোওে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা এই সমস্যা সংকুল পরিবেশে লেখা পড়া চালিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়াও পানীয় জলের সমস্যা, পায়খানা ঘরের সমস্যাও রয়েছে। বিদ্যালয়ের জন্য নিকটবর্তী একটি জায়গায় নলকুপ বসানো হলেও সেখানে নিয়মিত পানি পাওয়া যায় না। ফলে কুয়া থেকেই অনিরাপদ পানি পান করছে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন আগে নির্মিত বিদ্যালয়ের পায়খানা ঘরটি সংস্কারের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এটি ব্যবহার অযোগ্য হওয়ায় বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির পায়খানা ঘরেই প্রয়োজনীয় কাজ সারছে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা। নানা সমস্যায় জর্জরিত এ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ না হওয়ায় অভিভাবকদের নানা অভিযোগ- অনুযোগ শোনা যাচ্ছে।
চলতি বছর ৪ মার্চ বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল আলম ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মানস মুকুল চাকমাসহ কয়েকজন কর্মকর্তা বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের পরেও বিদ্যালয়ের এ বেহাল দশার কোন পরিবর্তন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা। তবে সম্প্রতি বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হওয়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে কিছুটা উৎসাহও দেখা গেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক কর্মরত আছেন। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রী-ছাত্রীর সংখ্যা ৭০জন। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণীতে ১৪ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ১৯জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ১০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ১১ জন ও প্রথম শ্রেণীতে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মায়াধন চাকমা জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল খুবই ভালো। শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষাদানের জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। তবে অবকাঠামো, পানীয়জল ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। তিনি জানান-গত ২/৩ বছরের মধ্যে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বা সংস্কার কাজে কোন সরকারি সহযোগিতা দেয়া হয়নি।
গ্রামবাসী জানান, জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ করা না হলে আগামীতে পড়া-লেখায় মারাতœক সমস্যা সৃষ্টি হবে। বিদ্যালয়ে পায়খানা ঘর নেই,নলকুপটি অকেজো, পাকা ফ্লোরে ফাটল ধরে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয় বলে মনেই হয় না। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।