জেসমিন ফিরোজা বেগম চিনু , যিনি সকলের কাছে পরিচিত চিনু আপা হিসাবে। রাঙামাটির রাজনৈতিক অঙ্গনে গুটিকয়েক মহিলা রাজনীতিবিদদের মধ্যে যারা দীর্ঘদিন রাজনীতিকে আকড়ে ধরে আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম এই মহিলা রাজনীতিবিদ। আর রাজনীতির জন্যই তিনি সকলের কাছে পরিচিত চিনু আপা হিসাবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে প্রানে লালন পালন করে যে রাজনীতি তিনি করে আসছিলেন সেই রাজনীতির মূল্যায়ন করেছেন জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে ফিরোজা বেগম চিনুকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রদান করার মাধ্যমে সংসদ সদস্য হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি এখন মহান জাতীয় সংসদেও একজন সম্মানিত সদস্য । বাংলাদেশের আইন প্রনেতাদের মধ্যে একজন। রাঙামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ফিরোজা বেগম চিনু এখন দশম জাতীয় সংসদেও একজন মাননীয় সংসদ সদস্য। তাই সংসদ সদস্য হিসাবে চিনু আপাকে অভিনন্দন। শুভ ও সুন্দর হোক সংসদ সদস্য হিসাবে চিনু আপার নতুন অগ্রযাত্রা।
চিনু আপার একজন øেহভাজন হিসাবেই তাঁর প্রতি অনুরোধ চিনু আপা রাঙামাটি তথা পার্বত্য বাসীর উন্নয়ন সহ সকল সম্প্রদায়ের লোকজনের অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য আপনি যে স্বপ্ন দেখে আসছিলেন সেই স্বপ্ন পূরনের এখন সময় এসেছে । অতএব আপনাকে এখন থেকে অগ্রসর হতে হবে ভেবেচিন্তে । মনে রাখবেন একজন মাননীয় সংসদ সদস্য হিসাবে মনোনিত হওয়ার পর আপনার শুভাকাংখীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে । যারা দর্ঘিদিন আপনার সমালোচনায় মুখর ছিলেন তারাও এখন আপনার প্রশংসায় পঞ্চমূখ হয়ে উঠবেন। দুধের মাছির মতো অসংখ্য শুভাকাংখী আপনার চর্তুপাশে ভিড় জমাবেন । তবে আপনাকেই নির্ধারন করতে হবে কারা আপনার প্রকৃত শুভাকাংখী । আর কাদেরকে নিয়ে আপনি অগ্রসর হবেন আপনার স্বপ্ন পূরনের অভিষ্ট্য লক্ষ্যে সেই হিসাব আপনাকেই করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন সে গুরু দায়িত্ব পালনে আপনাতে শতভাগ সফল হতে হবে।
১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে মহান জাতীয় সংসদে মহিলা সংসদ সদস্য হিসাবে শ্রদ্ধেয় সুদীপ্তা দেওয়ানকে মনোনীত করেছিলেন। এর পর প্রায় ৪০ বছর পর ২০১৪ সালে এসে তাঁরই সূযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ফিরোজা বেগম চিনুকে সংরক্ষিত আসনে মহিলা সংসদ সদস্য হিসাবে মনোনিত করেছেন। চিনু আপার মনোনয়ন প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে একটি নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে আর সে ইতিহাসটি হলো তিনিই প্রথম বাঙ্গালী নারী যিনি পার্বত্য চট্রগ্রাম থেকে মহিলা সংসদ সদস্য হিসাবে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে রাঙামাটি জেলার একজন স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে তিনি এখন সকলের প্রতিনিধি । আওয়ামী লীগ এর রাজনীতি যেভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার উপর প্রতিষ্টিত অনুরুপ ভাবে চিনু আপাও তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনে নিজেকে একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার রাজনীতিতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার সকল বাঁধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে যে ভাবে নিজেকে একজন প্রকৃত রাজনীতিবিদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সেই রাজনীতিবিদের মতাদর্শের অনুসারী হিসাবে চিনু আপাও তাঁর নিজস্ব চলার পথে ধাবিত হবেন এটি সকলের প্রত্যাশা।
নতুন রুপে এবং নতুন পরিচয়ে চিনু আপার যে চলার পথ গত ২৩ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে সেই চলার পথ সব সময় তাঁর জন্য সফলতা বয়ে আনবে সেই প্রত্যাশাই এখন সকলের । শুভ হোক চিনু আপার নতুন পদযাত্রা।
মোঃ মোস্তফা কামাল
রাঙামাটি।