শিরোনামঃ

সবার দৃষ্টি ফ্যাক্স বার্তার দিকে

কে হচ্ছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের ৮ম চেয়ারম্যান ?

মোঃ মোস্তফা কামাল, রাঙামাটি। কে হচ্ছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ৮ম চেয়ারম্যান ? কার ভাগ্যে জুটছে চেয়ারম্যানের মনোনয়ন। ফ্যাক্স বার্তায় কার নাম আসছে ? ক্ষুদ্র নৃ জনগোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পদে বাধ্যবাধকতা থাকায় সবারRCHD-Babon দৃষ্টি এখন এই সৌভাগ্যবান উপজাতীয় ব্যক্তিটির দিকে। অত্যন্ত ক্ষমতাধর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আওয়ামীলীগের মধ্যকার উপজাতীয় নেতাদের মধ্যে তোড় জোড় শুরু হয়েছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে আগামী জুন মাস এর মধ্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদসহ তিন পার্বত্য জেলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে নতুন মনোনয়ন তালিকা ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে এসে যাবে।

বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা পরিষদের মধ্যে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা পরিষদের কর্ম পরিধি ও ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন। এই তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের রয়েছে অসীম ক্ষমতা। এই তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ যে ক্ষমতা ভোগ করেন অনেক ক্ষেত্রে কোন কোন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরাও এই ক্ষমতা পান না। ১৯৮৯ সনে গঠিত তৎকালীন স্থানীয় সরকার পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে গৌতম দেওয়ানকে উপমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়া হলেও তাঁর স্বেচ্ছায় পদত্যাগের পর কয়েকজন চেয়ারম্যান এই পদমর্যাদা ভোগ করলেও পরবর্তীতে চেয়ারম্যান এর উপমন্ত্রীর পদ মর্যাদা প্রত্যাহার করে পরিষদ চেয়ারম্যান কে অপরাপর পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ মর্যাদায় নিয়ে আসা হয়। তবে পদমর্যাদার পরিবর্তন হলেও ক্ষমতার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি। ইউএনডিপির সৌজন্য উপহার হিসেবে কোটি টাকার অত্যাধুনিক পাজেরো ছাড়াও চেয়ারম্যানের একাধিক গাড়ী, পুলিশ পাহাড়া, পরিষদের কাছে হস্তাস্তরিত ২৩টি সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাদের বদলি সহ চতুর্থ, তৃতীয় ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সরাসরি নিয়োগ, বদলী, সব ক্ষমতাই চেয়ারম্যানের। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন সিএচটিডিএফ প্রকল্পের একাধিক কম্পোনেন্ট এর পরিচালনার দায়িত্বভার জেলা পরিষদের কাছে ন্যস্ত তাই ক্ষমতাধর এই চেয়ারম্যানের চেয়ারের দিকে সবার দৃষ্টি।
১৯৮৯ সনের ৯ জুলাই প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে তৎকালীন স্থানীয় সরকার পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এই পর্যন্ত পরিষদের একমাত্র নির্বাচিত চেয়ারম্যান গৌতম দেওয়ান। একই সাথে দায়িত্ব নেন বিভিন্ন সম্প্রদায় হতে নির্বাচিত ৩২ জন সদস্য। ১৯৯২ সালের ২০ মে রাঙামাটিতে সংঘটিত একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে স্বেচ্ছায় চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন গৌতম দেওয়ান। সে সময় ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকারের পক্ষ থেকে গৌতম দেওয়ানের পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহারের জন্য অনেকবার অনুরোধ করার পরেও গৌতম দেওয়ান পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় ১৯৯২ সনের ১৭ জুন তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় চেয়ারম্যান পদে ফ্যাক্সযোগে মনোনয়ন কার্যক্রম। তৎকালীন পরিষদ সদস্য এবং পরে বিএনপি’তে যোগদানকারী পারিজাত কুসুম চাকমা ১৭ জুন ১৯৯২ সনে প্রথম ফ্যাক্স চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন পান। ১৫ ফেব্রুয়ারি’৯৬ সালের বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনে পারিজাত কুসুম চাকমা বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করার পর সংসদ সদস্য শপথ গ্রহণ করার জন্য ৯৬ সালের ৪ মার্চ পদত্যাগ করেন। এর পরিষদের সদস্য রবীন্দ্র লাল চাকমা দ্বিতীয় ফ্যাক্স চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। ৯৬ এর ২০ মার্চ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে স্বল্প সময় দায়িত্বভার পালনের পর ৯৭ সনের ৫ জুলাই পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে ৯৬ সনের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে পরিষদের ৪র্থ ফ্যাক্স চেয়ারম্যান হিসেবে ৯৭ সনের ৫ আগষ্ট মনোনয়ন পান আওয়ামীলীগ নেতা চিংকিউ রোয়াজা। আওয়ামীলীগের শাসনামলের পুরোটা সময় চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার পালনের পর ২০০১ সালে তা বিএনপি সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসলে তৎকালীন পার্বত্য উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ানের একক পছন্দে ৫ম ফ্যাক্স চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন পান পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রথম ডক্টরেট ডিগ্রীধারী ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ডীন ড. মানিক লাল দেওয়ান। বিএনপি’র পুরোটা সময় তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর ওয়ান ইলেভেনের পট পরিবর্তনের পর সেনাবাহিনীর পছন্দের চেয়ারম্যান হিসেবে ৬ষ্ঠ ফ্যাক্স চেয়ারম্যান পদ আসনে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জগৎ জ্যোতি চাকমা। ১৫ জুলাই ২০০৭ সালে দায়িত্বভার গ্রহণের পর ২৫ মে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতার মসনদে আসীন হলে ভাগ্য খুলে যায় দীপংকর তালুকদারের অত্যন্ত আস্থাভাজন আওয়ামীলীগের রাজনীতির শুভাকাংখী সদস্য নিখিল কুমার চাকমার। ২৫ মে ২০০৯ সালে ৭ম চেয়ারম্যান হিসেবে ফ্যাক্স বার্তায় নাম আসে তার। এখনো অবদি ৫ বছরের অধিক সময়কাল ধরে তিনি ক্ষমতায় আছেন। অপেক্ষায় আছেন পরবর্তী ফ্যাক্স বার্তার । জোর গুঞ্জন আছে পরিষদের ৮ম চেয়ারম্যান হিসেবেও তার নাম আসতে পারে।
তবে রাঙামাটি জেলা পরিষদের ৮ম চেয়ারম্যান হিসেবে আওয়ামীলীগ সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী কাকে মনোনয়ন দেবেন সে বিষয়ে বিভিন্ন হিসাব নিকাশ চলছে। বিশেষ করে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দীপংকর তালুকদারের পরাজয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলার পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের অধিকাংশ দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের কারণে চেয়ারম্যান হিসেবে এমন একজনকে খোজা হচ্ছে যিনি স্থানীয় আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে পারে। দলীয় নেতা কর্মীদের কাছে যার রয়েছে গ্রহণযোগ্যতা।d…mFg
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব¡ দেয়া হতো সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের মতামতকে। তবে এবার সংসদ নির্বাচনে পরাজয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কোন পদে না থাকায় চেয়ারম্যান মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাঁর মতামত কতটা প্রাধান্য পায় সেটি প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। তবে সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য মনোনয়নে দীপংকর তালুকদারের সমর্থন পেয়ে ফিরোজা বেগম চিনু মনোনয়ন পাওয়ায় এখনো তাঁর প্রভাব প্রতিপত্তি অটুট রয়েছে বলে জানা গেছে।
৮ম চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য যারা জোর লবিং চালাচ্ছেন তাদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার নাম সর্বাধিক আলোচিত। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য তিনি এখন প্রায়শ ঢাকা যাচ্ছেন। দীপংকর তালুকদারের হাত তো মাথার উপর আছেই। তবে একই ব্যক্তিকে পর পর দু’বার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেয়া’র রেওয়াজ না থাকাটাই তার জন্য মাইনাস পয়েন্ট। পাশাপাশি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় সুবিধাবাদী যে কয়েকজন তথাকথিত নব্য আওয়ামীলীগার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে তারাই এখন দুদকসহ বিভিন্ন জায়গায় তার নামে অভিযোগের পাহাড় সৃষ্টি করছেন।
তবে রাঙামাটি জেলা পরিষদের ৮ম চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয়ভাবে যার নাম সর্বাধিক উচ্চারিত হচ্ছে তিনি হচ্ছেন জেলা পরিষদের বর্তমান সদস্য আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী অংশী প্রু চৌধুরীর। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার প্রায় উপজেলায় যেখানে দীপংকর তালুকদার পরাজিত হয়েছেন সেখানে অংশি প্রুর কাউখালী উপজেলায় তিনি সর্বাধিক ভোট পেয়েছেন। কাউখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীকে তিনি বিজয়ের মালা পড়িয়েছেন। ত্যাগী ও অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ পরিষদের চেয়ারম্যান পদের জন্য অন্যতম প্রার্থী। পাশাপাশি একই উপজেলার চিংকিউ রোয়াজা যিনি ইতিপূর্বেও এক দফা চেয়ারম্যান ছিলেন তার নামও উচ্চারিত হচ্ছে।
কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অংসুইসাইন চৌধুরী উন্নয়নকর্মী মংথোয়াই চিং, সহ আরো নাম উচ্চারিত হচ্ছে। তবে সবকিছুই এখন শুধু আলোচনায় সীমাবদ্ধ। অপেক্ষার অবসান হবে জুন মাসের পরবর্তী ফ্যাক্স বার্তায়। তবে এই প্রথমবারের মতো রাঙামাটি জেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান পদে ্একজন উপজাতয়ি নারীর নাম ফ্যাক্্র যোগে আসার কথা ও ভালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে।
জেলা পরিষদের ১০ সদস্য হিসেবে কারা আসছেন ?

এদিকে চেয়ারম্যানগণের পাশাপাশি পরিষদের সদস্য পদে কোন ১০ জন আসছেন – সেটা নিয়েও চলছে জোর লবিং। বিশেষ করে জেলা পরিষদের আইনের ১৬(ক) ধারায় অন্তবর্তীকালীন পরিষদের সদস্য সংখ্যা চেয়ারম্যানসহ ১১ জনে পরিবর্তন পূর্বক আইন পাশ হওয়ায় ৪ জনের স্থলে ১০ জন সদস্যের সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে করে অনেকের মনেই পরিষদ সদস্য হওয়ার আশা সঞ্জারিত হয়েছে।
অনুমোদিত ১০ সদস্যের মধ্যে ৩ জন সদস্য মনোনিত হবেন বাঙ্গালীদের মধ্য থেকে। এই হিসেবে এই তিন জনের মধ্যে ২ জনকে মুসলিম সম্প্রদায় এবং অপর ১ জনকে হিন্দু অথবা বড়–য়া সম্প্রদায় হতে আসতে পারে।
এই হিসেবে পরিষদের বাঙ্গালী সদস্য হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুছা মাতব্বরের নাম অনেকটা নিশ্চিত বলে জানা গেছে। পাশাপাশি আওয়ামীলীগের সাবেক সম্পাদক হাজী মোঃ কামাল উদ্দিন, আব্দুল মতিন, মনসুর আলী, জাকির হোসেন চৌধুরী, নজির আহমেদ, রফিক আহমেদ তালুকদার, জাহিদুল ইসলাম, কে.এম. জসিম উদ্দিন বাবুলের নাম শোনা যাচ্ছে। অপরদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে প্রেসক্লাবের সভাপতি সুনীল কান্তি দে, প্রধান শিক্ষক বাদল চন্দ্র দে, অরুন শীল, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমর দে, আশুতোষ বড়–য়ার নাম শোনা যাচ্ছে।
জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য হিসেবে অপহৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র তংচংগ্যার স্ত্রী সবিতা চাকমা এগিয়ে আছেন। পাশাপাশি পৌর কাউন্সিলর জেবুন্নেসা রহিম, রোকসানা আক্তার, জয়তুন নুর, কৃষ্ণা দেব এর নাম শোনা যাচ্ছে।
চাকমা সম্প্রদায় থেকে বরকল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সন্তোষ চাকমা, বাঘাইছড়ি উপজেলার ক্যারল চাকমা, দানবীর চাকমা, প্রবর্তক চাকমার নাম শোনা যাচ্ছে।
১০ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন পরিষদে ত্রিপুরা সম্প্রদায় থেকে ১ জন্য প্রতিনিধি রাখার দাবী উঠেছে। এই দাবী বাস্তবে রূপ নিলে স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা’র ভাগ্য খুলে যেতে পারে।
এছাড়া অন্যান্য উপজাতীয় সম্প্রদায় থেকে পরিষদ সদস্য হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে আছেন বিলাইছড়ি উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়সেন তংচংগ্যা, অংছা প্রু মারমা, সুনীল কান্তি তংচংগ্যা, মনোজ বাহাদুর, ঊষাং মারমা।
বর্তমানে ৪ সদস্য বিশিষ্ট জেলা পরিষদের যে সব সদস্যরা রয়েছেন তাদের মধ্যে বৃষকেতৃ চাকমা, অভিলাস তংচংগ্যা ও শামীম রশীদের বিদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 976 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen