সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি জেলার ২৯৯ নং একমাত্র আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ করেছেন জনসংহতি সমিতির সহ সভাপতি ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী উষাতন তালুকদার।
শুক্রবার আঞ্চলিক পরিষদের বিশ্রামাগারে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ রেস্ট হাউসের একটি কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা সৌখিন চাকমা ও উদয়ন ত্রিপুরা প্রমুখ।
উষাতন তালুকদার বলেন, মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে সরবরাহকৃত গণপ্রতিনিধি আদেশ ১৯৭২ এর ১২(ক) অনুচ্ছেদ ও চেকলিস্টের ফরম খ (৫) পূরণ করে জমা দেননি।
এখানে বলা আছে ‘‘আপনি সরকারের পণ্য সরবরাহ করার জন্য বা কোন চুক্তি বাস্তবায়ন বা সেবা কার্যক্রমের জন্য বা হিন্দু যৌথ পরিবারের সদস্য হিসাবে কোন অংশ বা স্বার্থ আছে এরূপ কোন চুক্তিতে আবদ্ধ আছেন কি?” এই প্রশ্নের উত্তর হ্যা হলে তাহলে প্রার্থী নির্বাচনে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এতে দীপংকর তালুকদার হ্যা না কোন উত্তর দেয়নি।
তিনি বলেন, দীপংকর তালুকদার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাগড়াছড়ি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের একজন তালিকাভুক্ত ঠিকাদার। তার প্রতিষ্ঠানের নাম মের্সাস তালুকদার এন্টারপ্রাইজ, মালিক দীপংকর তালুকদার, চম্পক নগর, বনরুপা, রাঙামাটি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী গত ২ ডিসেম্বর তার প্রতিষ্ঠানকে খাগড়াছড়ি, পানছড়ি এবং দিঘীনালায় ৩৩ মে:টন গম পরিবহন করতে বলা হয়। যার স্মারক নং-১৩.০৩.৪৬০০.০০৫.০০১.১৩-২৫৯৭।
উষাতন তালুকদার বলেন গত ৫ ডিসেম্বর এই বিষয়ে জেলা রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আপত্তি জানানোর পর এ ব্যাপারে তিনি পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ফ্যাক্স পাঠিয়েছেন।
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার রিটানিং অফিসারের কার্যালয়ে শুনানীর সময় জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, রিটানিং অফিসারের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে যে কেউ নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারেন।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে অধিকাংশ সংবাদকর্মীকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।