সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন পাওয়ার দাবিতে সারাদেশের মতো রাঙামাটি পৌরসভার কর্মচারি কর্মকর্তারা নেমেছেন আন্দোলন। এমাসের ১০ তারিখ থেকে ঢাকায় অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচীতে যোগ দিয়েছেন রাঙামাটি পৌরসভার ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
ঢাকায় কর্মসূচীতে যোগ দেয়ার পাশাপাশি রাঙামাটি পৌরসভাতেও সকল প্রকার সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারিরা। আবর্জনা অপসারণ বন্ধ করে দেয়ায় পুরো শহরে জমেছে আবর্জনার স্তুপ,বন্ধ আছে পৌরসভার বিদ্যুৎ সেবাও। জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিক সনদ,ট্রেড লাইসেন্স প্রদানসহ সকল সেবাই বন্ধ আছে। সারাদেশে চলশান আন্দোলনের অংশ হিসেবেই এইসব সেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে বলে জানিয়েছেন পৌর কর্মচারিরা। নাগরিক সুবিধা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। বিশেষ করে শহরের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না করায় রাঙামাটি এখন আবর্জনার শহরে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধে জনগন চলাচল করতে পারছে না, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে রাঙামাটি ময়লা আর্বজনার শহরের পরিণত হয়েছে। আর্বজনার গন্ধে পথচারীদের নাকে রুমাল কিংবা নাক চেপে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এসময় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আন্দোলন করবে ভালো কথা, এতে আমাদের কোন সমস্যা নেই কিন্তু আমাদের নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত করে কেন?
রাঙামাটি পৌর কর্মচারি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব তালুকদার জানিয়েছেন, রাঙামাটি পৌরবাসির সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দু:খ প্রকাশ করছি। আমাদের মানবিক ও মৌলিক এই দাবি বাস্তবায়নে আশা করছি সারাদেশের সব পৌরবাসির মতো রাঙামাটি পৌরবাসিও সাময়িক এই কষ্টকে হাসিমুখে মেনে নিবেন। জনগনের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দু:খ প্রকাশ করছি কিন্তু আন্দোলন থেকে পিছু হটার সুযোগ নেই। আমরা কথা দিচ্ছি,আন্দোলনে বিজয়ী হয়ে ফিরে আসার পর আমার পৌরবাসির এই কষ্টের দ্রুত লাঘব করার ব্যবস্থা করব।
রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন পৌরবাসীর কষ্টের জন্য দু:খ প্রকাশ করে বলেন, পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসুচীর সাথে আমরাও একমত, সরকার দাবি মানলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। তবে জনগনের জন্য ভোগান্তির জন্য আমরা দু:খ প্রকাশ করছি।