সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আর্ন্তজাতিক ট্যুরিজম সামিট অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাঙামাটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠান কভারেজ করতে গিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফের অসৌজন্যমূলক আচরনের শিকার হয়েছেন রাঙামাটিতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা।
সোমবার বেলা এগারোটার সময় রাঙামাটি শহরের আরন্যক’এ এই ঘটনা ঘটে। সংসদ সদস্যের এই ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরনের প্রতিবাদ জানিয়ে বর্জন করে অনুষ্ঠানস্থল থেকে দুরে সরে যায় স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। পরে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনুরোধে সংবাদকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে ফেরত আসলেও প্রতিবাদ স্বরুপ দুপুরে মধ্যাহৃভোজ বর্জন করে।
এদিকে রাঙামাটির সাংবাদিকদের প্রায় সকল সংগঠনগুলোও এই ধরনের আচরনের নিন্দা জানিয়েছে।
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টি কৃর্তক “ইন্টারন্যাশনাল টুরি্যজম সামিট অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জম নাসির প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় তার ছবি ও ফুটেজ নিতে গেলে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ নিজেই স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন এবং অসৌজন্যমূলক আচরন করেন। একজন সংসদ সদস্যের এহেন আচরনে রাগে-ক্ষোভে অভিমানে ফেটে পড়েন রাঙামাটির সাংবাদিকরা।
এমপি আব্দুল লতিফের এই ধরনের আচরনের নিন্দা জানিয়েছেন, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল। তিনি জানান, ট্যুরিজম এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ন খাত নিয়ে রাঙামাটিতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স কর্তৃপক্ষ। অথচ এই অনুষ্ঠানটি কভারেজ করার জন্য ন্যূনতম আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সাংবাদিকদের। তারপরও নিজেদের পেশাদারিত্বের খাতিরেই কাভারেজ করতে গিয়েছিলো সাংবাদিকরা। কিন্তু সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ যে আচরন করলেন, এতে করে আমরা সাংবাদিক মহল খুবই দুঃখিত এবং ক্ষুব্ধ। এই ধরনের আচরনের নিন্দা জানাচ্ছি আমি।
অপরদিকে অনুষ্ঠান কাভারেজে গিয়ে এমপি আব্দুল লতিফের অসৌজন্যমূলক আচরনের নিন্দা জানিয়েছেন রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ। তিনি জানান, আমরা পেশাদারিত্বের খাতিরে অনুষ্ঠানটি কভারেজ করতে এসেছিলাম। কিন্তু এমপি’র আচরনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। তার এই ধরনের অশোভনীয় আচরনের নিন্দা জানাচ্ছি আমরা।
এদিকে সাংবাদিকদের সাথে এমপি আব্দুল লতিফের অসৌজন্যমূলক আচরনের নিন্দা জানিয়েছের রাঙামাটি রিপোটাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান রাজন। তিনি বলেন, চেম্বারের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি ও একজন দায়িত্বশীল এমপির কাছে এই ধরনের অশোভন আচরন আমরা মোটেও কামনা করি না।
এদিকে গতকাল চেম্বার অব কমার্সের অনুষ্ঠানকে যারা নান্দনিক করে তুলেছে সেই শিল্পীরাও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিল্পী জানান, চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দরা খুবই অসৌজন্য মুলক আচরণ করেছে আমাদের সাথে। প্রচন্ড রোদের মধ্যে আমাদের অনুষ্ঠান করতে হয়েছে। খাবার পানি চাইলেও তারা আমাদেরকে ঠিক মতো খাবার পানি সরবরাহ করেনি। তারা নিজেদের জন্য ভালো ভালো খাবারের আয়োজন করলেও আমাদের শিল্পীদের জন্য কোন খাবারের আয়োজন করেনি তারা। দুপুর বেলা আমরা বাইরে থেকে খাবার সংগ্রহ করে এনে খেয়েছি। আমাদের জন্য কোন খাবারের ব্যবস্থা করেনি।