সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ উদ্বোধনের দিন সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার বিষয়ে রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি একদিকে মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন অন্যদিকে মেডিকেল কলেজে ছাত্র ভর্তির জন্য ডিও লেটার দিচ্ছে , এমন দ্বেতনীতি অবলম্বন করে তারা শান্তি প্রিয় জনগনের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, আপনারা যদি বিপক্ষেই থাকেন, তাহলে আবার সুপারিশ করছেন কেন? জনগনের মাঝে কেন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
আজ শনিবার সকালে রাঙামাটিতে নিজ বাসভবনে স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফিরোজা বেগম চিনু এমপি আরো বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া, আমরা বলছি চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন করা হয়েছে আর জেএসএস বলছে চুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়নি, তাই বলব আসুন বসি চুক্তি কি বাস্তবায়ন হয়েছে আর কি হয়নি আমরা বিষয়টা নিয়ে আলেচনা করি। আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করি।
ফিরোজা বেগম চিনু সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনার বিষয়ে বলেন, এ ধরনের ঘটনা পার্বত্যাঞ্চলে নতুন নয়। কিন্তু ভবিষ্যতে ঘটুক তা আমরা চাই না। ঘটনাগুলো ঘটছে সাধারণ বিষয় থেকে। তাই ভবিষ্যতে যাতে ঘটতে না পারে সেজন্য সম্মিলিত উদ্যোগে যে কোনো বিষয় স্থানীয়ভাবে সমাধান করে ফেলতে হবে। তিনি যেভাবেই হোক এলাকার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সম্প্রীতি রক্ষায় দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা কিছুতেই ঘটতে দেয়া যাবে না। কাজেই এজন্য সবাইকে আন্তরিক ও সহমর্মি হতে হবে।
মেডিকেল স্থাপন নিয়ে এমপি চিনু বলেন, রাঙামাটিবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাঙামাটিতে মেডকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এর বিরোধিতা যারা করছে তারা গুটিকয়েক। তারা চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসেও লিপ্ত। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সব কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রধামন্ত্রী রাঙামাটি থেকে এ মেডিকেল কলেজটি কোথাও সরাবেন না। বান্দরবানে মেডিকেল কলেজটি স্থানান্তরে সরকারের প্রস্তাবনার বিষয়টির সত্যতা উল্লেখ করে ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসন থেকে খোঁজ নিয়ে প্রস্তাবনার বিষয়টি জানতে পেরেছি।
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন প্রশ্নে মহিলা এমপি চিনু বলেন, এটা চলমান প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতে সময় দিতে হবে। ইতিমধ্যে চুক্তির সিংভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি অংশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবে সরকার। চুক্তি আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। বাস্তবায়নও করবে এ সরকার। এতে উদ্বেগের কিছুই নেই।
ফিরোজা বেগম চিনু এমপি আরো বলেন, চুক্তির কোথাও লেখা নাই যে পার্বত্য চট্টগ্রামে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন করতে গেলে আঞ্চলিক পরিষদ ও জেএসএস কে বলে করতে হবে। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমাকে আহবান করলেও তার কাছ থেকে কোন সহযেগিতা পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা স্থানীয়, জাতীয় , প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।